চীনা জনগণের অনুভূতিতে আঘাত

গণচীনের সরকার ও সরকারি গণমাধ্যমগুলিতে অসন্তোষ প্রকাশকারী বহুল ব্যবহৃত উক্তি

চীনা জনগণের অনুভূতিতে আঘাত” (চীনা: 伤害中国人民的感情) গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদ ও প্রচার মাধ্যম যেমন; রেনমিন রিপাও ("জনগণের দৈনিক"),[১] চায়না ডেইলি ("দৈনিক চীন"),[২] শিংহুয়া সংবাদ সংস্থা[৩] এবং গ্লোবাল টাইমস[৪] দ্বারা ব্যবহৃত একটি রাজনৈতিক উক্তি যা কোনও ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সরকারের কোনও প্রকার উক্তি, কাজ বা কর্মপন্থা চীনা বিরোধীরূপে উপলব্ধ হলে তার বিরুদ্ধে অসন্তোষ এবং নিন্দা প্রকাশের লক্ষ্যে তাদেরকে চীনা জনমত বিরোধী অবস্থানে দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হয়। [৫][৬][৭][৮][৯] উক্তিটির বিকল্প রূপসমূহের মধ্যে রয়েছে “১৩০ কোটি মানুষের অনুভূতিতে আঘাত[৩][FN ১] (চীনা: 伤害13亿人民感情) এবং “চীনা জাতির অনুভূতিতে আঘাত” (চীনা: 伤害中华民族的感情)।[১০][১১]

উৎপত্তি সম্পাদনা

উক্তিটি প্রথম ১৯৫৯ সালে রেনমিন রিপাও (“জনগণের দৈনিক”) পত্রিকায় ভারতের সাথে সীমান্ত বিরোধের জের ধরে সমালচনার প্রেক্ষিতে প্রকাশিত হয়। [১] উক্তিটি পরবর্তী দশকসমূহ ধরে নিয়মিতভাবে চীনা সরকারের দ্বারা বিভিন্ন সরকারি মাধ্যমে অসন্তোষ প্রকাশে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন সরকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা [১২] এমনকি মোটরগাড়ি নির্মাতা [১] এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে [১৩][১৪][১৫] “চীনা জনগণের অনুভূতিতে আঘাত” উক্তিটি ব্যবহৃত হয়েছে।

বিশ্লেষণ সম্পাদনা

 
বছরানুক্রমে “চীনা জনগণের অনুভূতিতে আঘাত” উক্তিটি ব্যবহারের হার[১৬]

হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ে চীন মিডিয়া প্রজেক্টের অংশ হিসেবে ডেভিড ব্যান্ডারস্কি দ্বারা পরিচালিত এক গবেষণায় রেনমিন রিপাও পত্রিকায় ১৯৫৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রকাশনায় উক্তিটির ১৪৩টি নমুনা বাছাই করা হয়; এই নমুনাসমূহে সবচেয়ে বেশি জাপান-এর বিরুদ্ধে ৫১ বার “চীনা জনগণের অনুভূতিতে আঘাত” করার অভিযোগ আনা হয় এবং ৩৫টি অভিযোগের বদৌলতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় অবস্থানে অবস্থান করছে। উক্তিটি ব্যবহারের কারণসমূহ বিশেষভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ২৮টি ক্ষেত্রে তাইওয়ানের রাজনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপট এবং ১২ বার তিব্বতের স্বাধীনতা সংক্রান্ত বিতর্কে নিন্দা প্রকাশে ব্যবহৃত হয়।[৬]

মার্কিন টাইম সাময়িকীর ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের একটি প্রবন্ধে রেনমিন রিপাও (“দৈনিক জনগণ”) পত্রিকায় উক্তিটির ব্যবহার পর্যালোচনা করার জন্য একটি অনানুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান জরিপের ব্যবহার করা হয়, যেখানে দেখা যায় ১৯৪৬ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে শতাধিক প্রবন্ধে কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, দেশ বা অন্য কোনকিছুর বিরুদ্ধে “চীনা জনগণের অনুভূতি” তে আঘাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। [১৭] ২০১৫ সালের জুনে দ্য গ্লোবাল টাইমস একটি বিশ্লেষণ প্রকাশিত করে যেখানে পরিশেষে এই সিদ্ধান্তে আসা হয় যে ১৯৪৬ সালের ১৫ই মে থেকে ২০১৫ সালের পহেলা মে পর্যন্ত রেনমিন রিপাও ২৩৭টি প্রবন্ধ প্রকাশিত করে, যেখানে ৯টিতে ভারতকে, ১৬টিতে ফ্রান্স, ৬২টিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ৯৬টিতে জাপান এবং এছাড়াও ২৯টিতে বিভিন্ন "দেশের বিরুদ্ধে অনুভূতিতে আঘাতের" অভিযোগ আনা হয়। [১৮]

ওয়্যাং হংলুন (চীনা: 汪宏倫), তাইওয়ানের কেন্দ্রীয় গবেষণা একাডেমীর সমাজবিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের একজন সহযোগী গবেষক, ১৯৪৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত রেনমিন রিপাও পত্রিকায় “চীনা জনগণের অনুভূতিতে আঘাত”-এর ৩১৯টি নমুনা রেনমিন রিপাও পত্রিকার ডেটাবেজ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে খুঁজে পান।[১৬]

ঐতিহাসিক ঘটনাসমূহ সম্পাদনা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পাদনা

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রগণ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের দ্বারা প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন,[১৯] জর্জ ডাব্লিউ বুশ[২০] এবং বারাক ওবামা[২১][২২] তিনজনই চতুর্দশ দালাই লামার সাথে তাদের নিজ নিজ সাক্ষাৎকারের জন্যে অভিযুক্ত হন “চীনা জনগণের অনুভূতিতে আঘাত” করার।

ভ্যাটিকান সম্পাদনা

২০০০ সালের ১ই অক্টোবর পোপ দ্বিতীয় জন পল চীনের ছিং রাজবংশ এবং প্রজাতন্ত্র সময়ের মৃত্যুবরণকারী ১২০ জন ধর্মপ্রচারক এবং অনুসারিদের মরণোত্তর সিদ্ধিকরণ করেন যার প্রত্যুত্তরে রেনমিন রিপাও অভিমত ব্যক্ত করে যে এটি “গভীরভাবে চীনা জাতির অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে এবং চীনের ১২০ কোটি জনগণের জন্য এটি মারাত্মকভাবে উস্কানিমূলক”। [১০] চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দেয় যে ভ্যাটিকান “গভীরভাবে চীনা জনগণের অনুভূতিতে আঘাত এবং চীনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছে”।[২৩]

ইউরোপ সম্পাদনা

২০০০ সালে নোবেল একাডেমি কাও শিংশিয়ানকে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রদান করে, ফল স্বরূপ রেনমিন রিপাও প্রতিবেদন করে যে এই “পশ্চাদ্মুখী সিদ্ধান্ত” “গভীরভাবে চীনা জাতির অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে এবং ১.২ বিলিয়ন জনগণের জন্য এটি মারাত্তকভাবে উস্কানিমূলক”। [১১]

২০০৮ সালের ২৮ই অক্টোবর ইউরোপীয় সংসদ সমাজকর্মী হু চিয়াকে শাখারভ পুরস্কার প্রদান করে। ঘোষণার আগে হু চিয়াকে পুরস্কার পাওয়া থেকে প্রতিহত করতে চীন ইউরোপীয় সংসদকে ব্যাপক চাপ দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের চীনা রাষ্ট্রদূত সিং চো কর্তৃক ইউরোপীয় সংসদের সভাপতিকে সতর্কমূলক চিঠি লিখে যে, হু চিয়া পুরস্কার পেলে তা চীনা-ইউরোপীয় সম্পর্ককে মারাত্মকভাবে বিপন্ন করবে এবং “চীনা জনগণের অনুভূতিতে আঘাত হানবে”।[২৪][২৫][২৬]

মেক্সিকো সম্পাদনা

২০১১ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর মেক্সিকোর রাষ্ট্রপতি ফেলিপে কালদেরন চতুর্দশ দালাই লামার সাথে সাক্ষাত করেন। তার পরের দিনই চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়য়ের মুখ্যপাত্র মা ঝওক্সূ একটি সরকারি বিবৃতিতে বলেন যে সাক্ষাৎকারের প্রতি চীন প্রবল অসন্তোষ এবং দৃঢ় বিরোধিতা জ্ঞাপন করছে এবং এই সাক্ষাৎকারটি “চীনা জনগণের অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে”[২৭]

জাপান সম্পাদনা

২০১২ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বরে জাপানের সরকার সেনকাকু দ্বীপের অধীনে তিনটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন দ্বীপকে জাতীয়করণ করার পর শিংহুয়া সংবাদ সংস্থা প্রতিবেদন করে যে এই পদক্ষেপটি “চীনা জনগণের অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে”। [৩]

হংকং সম্পাদনা

২০১৯ এর ৩রা আগস্টে ২০১৯-২০ হংকং বিক্ষোভ চলাকালে এক অজানা বিক্ষোভকারী সিম শা সুই এর চীনের জাতীয় পতাকা নামিয়ে সমুদ্রে নিক্ষেপ করে;[২৮] ফলাফলে হংকং এবং ম্যাকাউ অ্যাফেয়ার্স অফিস থেকে এর ধিক্কার জানিয়ে বিবৃতিতে “উগ্রপন্থিরা গুরুতরভাবে চীন গনপ্রজাতন্ত্রের জাতীয় পতাকা আইন লঙ্ঘন করেছে...প্রকাশ্যে দেশ এবং রাষ্ট্রের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছে, একদেশ দুই প্রথা রীতির ভিত্তিকে অসম্মান করেছে এবং জঘন্যভাবে সকল চীনা জনগণের অনুভূতিতে আঘাত করেছে”[২][২৮]

পাদটীকা সম্পাদনা

  1. সঠিক জনসংখ্যা উল্লেখিত হয় ১২০ কোটি[১০][১১] থেকে ১৪০ কোটির[২] মধ্যে

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "'Hurting the feelings of the Chinese people' is just a way of registering state displeasure"Hong Kong Free Press (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০২-১৬। ২০১৮-০২-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  2. "Tung: Desecration of national flags hurts feelings of 1.4b people"China Daily (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৯-২৪। ২০১৯-১১-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. "日方"购岛"伤害13亿中国人民感情"NetEase (চীনা ভাষায়)। Jiangxi Daily। ২০১২-০৯-১৫। ২০১৪-০২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  4. Zhong Sheng (২০২০-০৪-২৮)। "Provocation to human civilization must be rejected"Global Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০৫-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  5. "李肇星:日本领导人不应再做伤害中国人民感情的事"People's Daily (চীনা ভাষায়)। ২০০৬-০৩-০৭। ২০০৬-১০-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  6. Bandurski, David (২০১৬-০১-২৯)। "Hurting the feelings of the "Zhao family""University of Hong Kong (ইংরেজি ভাষায়)। China Media Project। ২০১৬-০২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  7. "中国留学生"玻璃心"缘何而来?"Deutsche Welle (চীনা ভাষায়)। ২০১৭-০৯-০৯। ২০১৭-১০-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  8. Bandurski, David (২০১৬-০১-২৯)। "Why so sensitive? A complete history of China's 'hurt feelings'"Hong Kong Free Press (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০১-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  9. Keith B. Richburg (২০১৮-০২-২২)। "China's hard power and hurt feelings"Nikkei Asian Review (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৪-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  10. "梵蒂冈"封圣"是对中国人民的严重挑衅"People's Daily (চীনা ভাষায়)। ২০০০-১০-০৩। ২০১৫-১১-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  11. "《人民日報》評論員文章"People's Daily (চীনা ভাষায়)। ২০০০-১০-১৩। ২০২০-০৯-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  12. "China says unity at stake over Tibet"Reuters (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৮-০৪-১২। ২০২০-০৯-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৯ 
  13. "China Hurt by Bjork"The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৮-০৩-০৮। ২০১২-০৫-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৯ 
  14. "People in China don't quite know why they are boycotting Arsenal player Mesut Özil"Quartz (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১২-১৬। ২০২০-০৮-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  15. "Angelina Jolie Hurts the Feelings of the Chinese People"The Wall Street Journal (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-০৬-১০। ২০২০-০৯-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  16. 汪宏倫 (২০১৪)। "理解當代中國民族主義:制度、情感結構與認識框架" (পিডিএফ) (চীনা ভাষায়) (19): 189–250। ২০২০-১২-১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৮ 
  17. "Hurt Feelings? Blame Deng Xiaoping"Time (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৮-১১-১১। ২০১৬-০৬-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  18. "揭秘:是谁"伤害了中国人民的感情"?"Global Times (চীনা ভাষায়)। ২০১৫-০৬-০৫। ২০১৬-০৫-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  19. "Dalai Diplomacy"Wired (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯৯৮-১১-০৫। ২০২০-০৯-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  20. "'Bush must cancel meet with Dalai'"Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৭-১০-১৬। ২০২০-০৯-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  21. "China lodges solemn representations on Obama-Dalai meeting"Xinhua News Agency (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১১-০৭-১৭। ২০১১-০৬-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  22. "Why the US has nothing to fear from China's warnings about the Dalai Lama"Quartz (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-০২-২১। ২০১৪-০৩-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  23. "中国外交部发表声明强烈抗议梵蒂冈"封圣""Ministry of Foreign Affairs of the People's Republic of China (চীনা ভাষায়)। ২০০০-১১-০৭। ২০২০-০৯-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  24. "Sakharov Prize 2008 awarded to Hu Jia"European Parliament (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৮-১০-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  25. "欧洲议会授予胡佳人权奖"The Wall Street Journal (চীনা ভাষায়)। ২০০৮-১০-২৩। ২০০৯-০১-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  26. "外交部发言人秦刚就欧洲议会授予胡嘉"萨哈罗夫奖"答记者问"Ministry of Foreign Affairs of the People's Republic of China (চীনা ভাষায়)। ২০০৮-১০-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  27. "外交部发言人马朝旭就墨西哥总统卡尔德龙会见达赖事发表谈话"Ministry of Foreign Affairs of the People's Republic of China (চীনা ভাষায়)। ২০১১-০৯-১০। ২০১১-০৯-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  28. "【旺角遊行】港澳辦、中聯辦譴責:極端激進分子侮辱國旗必須嚴懲"香港01 (চীনা ভাষায়)। ২০১৯-০৮-০৪। ২০২০-১১-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৯ 

আরও দেখুন সম্পাদনা