চালা শিল্পরীতি

হিন্দু মন্দিরের নির্মাণ শৈলী

চালা শিল্পরীতির বাংলার সমাজজীবনের প্রতিফলন দেখা যায়। এটি খড়ের চালা দাওয়া মাটির ঘরের আদলে তৈরী। এই শিল্পরীতির প্রধান বৈশিষ্ট চলার বাঁকানো শীর্ষ ও কার্নিশ।[১]

ইতিহাস সম্পাদনা

শ্রেনি বিভাগ সম্পাদনা

এটিও কয়েকটি ভাগে বিভক্ত।[২][৩]

  • দোচালা
  • জোড় বাংলা
  • চার চালা
  • আট চালা

দোচালা সম্পাদনা

 
চন্দননগরের নন্দ দুলাল মন্দির্, দোচালা

সামনে ও পিছনে দুটি ঢাল যুক্ত চাল তৈরী করে এই শিল্পরীতির মন্দির গুলি তৈরী হয়েছিল। চন্দননগরে নন্দদুলাল এই ধরনের শিল্পরীতিতে তৈরী।

জোড় বাংলা সম্পাদনা

মন্দিরের কাঠামোকে আরোও শক্তিশালী করার জন্য পাশাপাশি দুটি দোচালা মন্দির জোড়া থাকলে তাকে জোড় বাংলা স্থাপত্য বলা হয়। নদিয়ার বীরনগরে এই ধরনের একটি মন্দির আছে। ডেভিডের মতে, জোড় বাংলা শৈলীর মন্দিরগুলি পুরুলিয়া থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত এলাকায় (অর্থাৎ গঙ্গার দক্ষিণে ও পদ্মার পশ্চিম) অধিকমাত্রায় পরিলক্ষিত হয়।

চারচালা সম্পাদনা

দোচালার মতনই যদি দুটি চালার পরিবর্তে চারটি চালা ব্যবহার করা হয় তখন তাকে চার চালা স্থাপত্য বলা হয়। এটি খুব পরিচিত ও বেশি তৈরী হওয়া মন্দির শিল্পরীতি। দিগনগরে এই ধরনের চারচালা মন্দির আছে।

আটচালা সম্পাদনা

চালা ধরনের স্থাপত্যের বিখ্যাত একটি রূপ হলো আটচালা শিল্পরীতি। চার চালা স্থাপত্যের উপরেই আরও একটি চার চালা স্থাপত্য তৈরী করাকে আটচালা স্থাপত্য বলা হয়। নদিয়ার কল্যাণীর রথতলায় এই ধরনের একটি মন্দির আছে।

আরোও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. রায়, প্রণব (২৭ জানুয়ারী ১৯৯৯)। বাংলার মন্দির। তমলুক: পুর্বাদ্রী প্রকাশক। 
  2. "Sthapatya" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-১০-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১২ 
  3. "Terracotta Temples of Bengal"Amit Guha (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-১১-১৫। ২০১৮-০৯-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১১