চার্লস জিমেলিন
চার্লস জিমেলিন (ইংরেজি: Charles Gmelin) (২৮ মে, ১৮৭২ - ১২ অক্টোবর, ১৯৫০) সম্পূর্ণ নাম চার্লস হেনরি স্টুয়ার্ট জিমেলিন, একজন ব্রিটিশ দৌড়বীর এথলিট যিনি ১৮৯৬ সালে অ্যাথেন্সের প্রথম আধুনিক অলিম্পিক গেমসে গ্রেট ব্রিটেনের হয়ে সর্বপ্রথম পদক জেতার কৃতিত্ব অর্জন করেন।[১]
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম | কৃষ্ণনগর, নদীয়া, ব্রিটিশ ভারত | ২৮ মে ১৮৭২|||||||||||||
মৃত্যু | ১২ অক্টোবর ১৯৫০ অক্সফোর্ড, ইংল্যান্ড | (বয়স ৭৮)|||||||||||||
ক্রীড়া | ||||||||||||||
ক্রীড়া | দৌড় | |||||||||||||
ঘটনাসমূহ | ১০০ মিটার, ৪০০ মিটার | |||||||||||||
পদক রেকর্ড
|
প্রারম্ভিক জীবনসম্পাদনা
চার্লস জিমেলিন ব্রিটিশ ভারতের নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন খৃষ্টান মিশনারী। ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে কৃষ্ণনগরে থাকতেন। জিমেলিনের শৈশব কাটে কৃষ্ণনগরে। তিনি প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করে ইংল্যান্ড চলে যান। অক্সফোর্ডের ম্যাগডালেন কলেজ স্কুল ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেলবে কলেজে পড়াশোনা করেন।[২] স্নাতক হওয়ার পর ফ্রেশফিল্ড বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকতার কাজ নেন। ১৯০৪ সালে বেডফোর্ডশায়ারে হেস্টার রয়ড কে বিবাহ করেছিলেন তিনি।
কৃতিত্বসম্পাদনা
তিনি একজন দক্ষ ক্রীড়াবিদ ছিলেন। অক্সফোর্ডশায়ারের হয়ে ক্রিকেট ও ফুটবল দুই দলেরই প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ১৮৯৫ থেকে ১৯০৬ সালে তিনি মাইনর কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ক্রিকেট দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৮৯৬ সালের প্রথম আধুনিক অলিম্পিকে এথেন্সে যোগদান করেছিলেন। গ্রেট ব্রিটেনের ইতিহাসে তিনিই প্রথম অ্যাথলিট যিনি অলিম্পিকের ১০০ মিটারে নেমেছিলেন ও প্রথম পদকপ্রাপ্ত অলিম্পিয়ান হন। ১০০ মিটারে হিটে তৃতীয় হয়েছিলেন, ফাইনালে ওঠেননি কিন্তু ৪০০ মিটার দৌড় ৫৫.৬ সেকেন্ডে সম্পন্ন করে ব্রোঞ্জ পদক জেতেন চার্লস জিমেলিন।[১][২][৩]
মৃত্যুসম্পাদনা
১৯৫০ সালের ১২ অক্টোবর অক্সফোর্ডের ক্রওলে রোড হাসপাতালে ৭৮ বছর বয়েসে তার মৃত্যু হয়।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ "প্রথম অলিম্পিকে নামা কৃষ্ণনগরের চার্লস জিমেলিনকে ভুলে গিয়েছে বাংলা"। ৪ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ "Charles Gmelin"। sports-reference.com। ১৪ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৭।
- ↑ "CHARLES GMELIN"। olympic.org। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৭।