চারকুলা হল উত্তর প্রদেশের ব্রজ অঞ্চলে পরিবেশিত একটি বিশেষ জনপ্রিয় লোক নৃত্য শৈলী।[১]

চারকুলা নৃত্য

এই নৃত্যে, পর্দানশীন মহিলারা তাদের মাথায় বৃহৎ বহু-স্তরযুক্ত বৃত্তাকার কাঠের পিরামিড নিয়ে ভারসাম্য বজায় রেখে কৃষ্ণের ভজনসংগীতে নৃত্য পরিবেশনা করে। প্রতিটি পিরামিডে সর্পিলভাবে ১০৮ টি আলোকিত তেলের বাতি সাজানো থাকে। এটি বিশেষভাবে হোলির পরে তৃতীয় দিনে সঞ্চালিত হয়। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে সেই দিন শ্রী রাধার জন্ম হয়েছিল।

শোনা যায় যেদিন শ্রী রাধিকার জন্ম হয়েছিল সেদিন আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে শ্রী রাধার জন্মের কথা সকল ব্রজবাসীকে জানানোর জন্য তার ঠাকুমা মস্তকে চারকুলা ধারন করেই ঘর থেকে ছুটে বের হয়ে যান। তারপর থেকেই চরকুলা ব্রজভূমির একটি জনপ্রিয় নৃত্যশৈলী হয়ে উঠেছে এবং বিভিন্ন উৎসবের দিনে, বিশেষত শ্রী রাধার জন্মোৎসব ও হোলিতে এই নৃত্য পরিবেশিত হয়।

চারকুলা উত্তরপ্রদেশের ব্রজভুমির লোকনৃত্য। উত্তরপ্রদেশের ব্রজ অঞ্চলের সংস্কৃতি ওতপ্রোতভাবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও তার লীলার সাথে জড়িত। চারকুলা নৃত্যও তার থেকে আলাদা নয়। একটি ভিন্ন লোককথা থেকে চারকুলা নাচের আরেকটি উৎপত্তির কথা শোনা যায় যা ভগবান শ্রী কৃষ্ণের সাথে সম্পর্কিত। এই কাহিনী অনুসারে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ যখন দেবরাজ ইন্দ্রের উপর জয়লাভ করেন তখন সেই বিজয় উৎসব আনন্দের সাথে উদযাপন করার জন্য ব্রজভুমির গোপালক সম্প্রদায়ের মহিলারা এই চারকুলা নৃত্য পরিবেশন করেন। এই নৃত্য, তাই আনন্দ, হর্ষ ও উল্লাসের প্রতীক হিসাবে চিহ্নিত। ভগবান কৃষ্ণ গোবর্ধন পর্বত উত্থাপন করে ব্রজভুমিকে ইন্দ্রের প্রবল বর্ষার হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। সেই গোবর্ধন পর্বতের প্রতীক স্বরূপ ব্রজের নৃত্যরত মহিলারা ৫০ কিলো ওজনের চারকুলা তাদের মাথায় স্থাপিত করে নৃত্য প্রদর্শন করেন।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Charkula Arts Academy: Dances of India"। ২৬ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০২৩