চাকমা বিদ্রোহ বা কার্পাস বিদ্রোহ হচ্ছে ইংরেজদের শোষণের বিরুদ্ধে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী চাকমা জাতিগোষ্ঠীর বিদ্রোহ। ১৭৭৬ থেকে ১৭৮৭ সালের মধ্যে চারবার ভিন্ন নেতৃতে এই বিদ্রোহ সংগঠিত হয়।মূলত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিভাগের চাকমা গোষ্ঠী তাদের উপর ইংরেজদের নানাবিধ শোষণের প্রতিবাদে ১৭৭৬ সালের মাঝামাঝি সময় প্রথমবার বিদ্রোহ ঘোষণা করে। এর পর পর্যায়ক্রমে আরও তিনটি বিদ্রোহ সংগঠিত হয়।[১][২]

পটভূমি সম্পাদনা

মুঘল শাসনামলে চাকমা সম্প্রদায় কর হিসেবে তুলা দিয়ে অন্যান্য জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে বিভিন্ন পণ্য সংগ্রহের অধিকার পায়।ইংরেজরা ক্ষমতায় আসার পর পার্বত্য জনপদে অধিক টাকার বিনিময়ে বাইরের লোকদের কাছে কার্পাস কর আদায়ের চুক্তি করে ইজারা দিতে থাকে। এই ইজারাদাররা চাকমাদের কাছ থেকে আগের তুলনায় অনেক বেশি তুলা রাজস্ব হিসেবে আদায় করত এবং চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ তুলা শাসকদের কাছে জমা দিয়ে বাকি তুলা আত্মসাৎ করতে থাকে। ফলে চাকমাদের জীবিকা নির্বাহ কঠিন হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে ১৭৭৬ সালে চাকমা দলপতি রাজা শের দৌলত ও তাঁর সেনাপতি রামু খাঁর নেতৃতে প্রথমবার চাকমা বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। ১৭৮২ ও ১৭৮৪ সালে রামু খাঁর পুত্র জানবকস খাঁর নেতৃত্বে আরও দুটি বিদ্রোহ হয়। সর্বশেষ ১৭৮৭ সালে আরেকটি বিদ্রোহ দ্বিতীয় শের দৌলত খাঁর নেতৃত্বে ঘটে।[১]

নেতৃবৃন্দ সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "চাকমাদের বিদ্রোহ | কালের কণ্ঠ"Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১১ 
  2. "আদিবাসীদের গৌরবময় ইতিহাসের মূল্যায়ন চাই"www.prothom-alo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১১ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]