চাঁপাডাঙ্গার বৌ (চলচ্চিত্র)

চাঁপাডাঙ্গার বৌ হল একটি বাংলা চলচ্চিত্র যা নির্মল দে পরিচালনা করেন। এই চলচ্চিত্রটি ১৯৫৪ সালে নির্মল দে প্রোডাকশন ব্যানারে মুক্তি পেয়েছিল। এই চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেছেন মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়। এই চলচ্চিত্রটি তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়এর গল্প অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল। এই চলচ্চিত্রটির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, উত্তম কুমার, অনুভা গুপ্ত, কানু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তুলসী চক্রবর্তী।

চাঁপাডাঙ্গার বৌ
পরিচালক	নির্মল দে
শ্রেষ্ঠাংশে	সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় উত্তম কুমার অনুভা গুপ্ত কানু বন্দ্যোপাধ্যায় তুলসী চক্রবর্তী
সুরকার	মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়
মুক্তি	১৯৫৪
ভাষা	বাংলা

কাহিনী

এক পরিবারে চারজন ছিল। এর মধ্যে অন্যতম ছিলেন কাদম্বিনী। তিনি 'চাঁপাডাঙ্গার বৌ' নামে বেশি পরিচিত ছিলেন। তাঁর স্বামী সেতাপ ছিলেন পঞ্চায়েতের প্রধান। অর্থের প্রয়োজনে গ্রামবাসীরা কেবল তার কাছে ছুটে আসে। কিছু জিনিস বন্ধক রেখে তিনি লোণ দিতেন। তিনি মনে করেন যে অর্থ জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। তাঁর ভাই মহাতাপ পুরোপুরি বিপরীত ছিলেন। অর্থ তাঁর কাছে বিষের মতো ছিল। তিনি মজা করে জীবন যাপন করতেন। মহাতাপের স্ত্রী মনোদা সর্বদা চেয়েছিলেন যে তিনি তাঁর বড় ভাইয়ের মতো জীবনে আরও হিসাবী হন। সেতাপ যখন কেবল অর্থের প্রতি আগ্রহী ছিলেন, তাঁর স্ত্রী কাদম্বিনী কেবল মহাতাপের মত খুশি ছিলেন। ঘোটন ঘটনাস্থলে প্রবেশ না হওয়া পর্যন্ত কাদম্বিনী দুই ভাইয়ের মধ্যে পার্থক্য দেখে তাদের পরিবারকে সুখী ও ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা করছিলেন। মহাতাপ তার বন্ধকী ধান এবং ঘোটনকে মুক্তি দিয়েছিল তার দাদা সেতাপকে না জানিয়ে - যদিও মহাতাপ পূরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তাঁর দাদাকে, কিন্তু সেতাপ ঘোটনকে ডেকেছিল। ঘোটন সেতাপ বলে কাদম্বিনী এবং মহাতাপের অবৈধ সম্পর্কের কথা। তিনি আরও বলেছিলেন যে কাদম্বিনীর সাথে পরামর্শ করে মহাতাপ অনেক কাজ করছিল যা সেতাপের অজানা ছিল। ঘোটনের এই কথা শুনে সেতাপ পাগল হয়ে গেল। তিনি অজানা সম্পর্কের কথা জানতে তিনি উদগ্রীব হয়ে পড়েন।

শ্রেষ্ঠাংশে

• কমলা অধিকারী
• দেবেন বন্দ্যোপাধ্যায়
• উত্তম কুমার
• তুলসী চক্রবর্তী
• সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়
• কানু বন্দ্যোপাধ্যায়
• তুলসী চক্রবর্তী
• অনুভা গুপ্ত
• আশা দেবী
• অর্ধেন্দু মুখোপাধ্যায়
• কবিতা সরকার

বহিঃসংযোগ

• ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে চাঁপাডাঙ্গার বৌ (ইংরেজি)