চাঁদপাল ফেরি ঘাট

কলকাতার বিবাদী বাগ এলাকাতে হুগলী নদীর পূর্ব তীরে ২ টি জেটি নিয়ে গঠিত

চাঁদপাল ফেরি ঘাট বা চাঁদপাল জেটি কলকাতার বিবাদী বাগ এলাকাতে হুগলী নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত। এই ফেরি ঘাটটি ২ টি জেটি নিয়ে গঠিত।

চাঁদপাল ফেরি ঘাট
চাঁদপাল ফেরি ঘাটের ১ নং জেটি বা উত্তর জেটি।
দাপ্তরিক নামচাঁদপাল জেটি
ধরনফেরি ঘাট
স্থানস্ট্র্যান্ড ব্যাংক রোড, ফেয়ারলি প্লেস, বিবাদী বাগ
মালিকপশ্চিমবঙ্গ পরিবহন নিগম
পরিচালনায় নিযুক্তপশ্চিমবঙ্গ পরিবহন নিগম
উদ্বোধনী তারিখ১৭ শতকের ৬ এর দশকে
উপলব্ধ নোঙরের ঘাট সংখ্যা

নামকরণ

সম্পাদনা

অতীতে মাঝিরা হুঁকো টানতে টানতে খানিক জিরিয়ে নিত গাছের ছায়ায়— সে বট হোক বা পাকুড়। খিদের মুখে ঘাটের দোকান থেকে খাবার কিনে খেত। এমনই এক মুদির দোকানের মালিক ছিল চন্দ্রনাথ পাল। সেই নাম লোকমুখে চাঁদপাল হয়ে যায়। কথিত, তার নামেই হয় ঘাটের নামকরণ।[]

ইতিহাস

সম্পাদনা

অতীতে এই ঘাট ছিল শহরের প্রধানতম জাহাজঘাটা। ইংরেজ আমলে রেলপথ চালু হওয়ার আগে অবধি যত প্রশাসনিক প্রধান বা ‘রাজপুরুষ’ কলকাতায় আসা-যাওয়া করতেন, তাঁদের জাহাজ এই ঘাটেই নোঙর করত। হাওড়া রেল স্টেশন চালু হওয়ার পর এই জাহাজঘাটার গুরুত্ব কমে যায়। এখন জাহাজ না এলেও এই ঘাট থেকে নিয়মিত ফেরী পরিষেবা চালু রয়েছে। ইতিহাস অনুযায়ী প্রথম ১৭৭৪ সালের মানচিত্রে ‘চাঁদপাল ঘাট’-এর নামের উল্লেখ করা হয়।[]

১৯০৭ সালে এই ঘাট থেকে পোর্ট ট্রাস্ট-এর পরিচালনায় প্রথম স্টিমার চলাচল শুরু হয় ‘ফেরী’ পরিষেবা হিসেবে। শুরুটা ঠিকই ছিল, কিন্তু ট্রেন-বাস-গাড়ির সংখ্যা বাড়তে থাকায় কদর কমে যায় ফেরীর। শেষে, ১৯২৭ সালে, প্রায় কুড়ি বছর পর এই পরিষেবা বন্ধ করে দেয় পোর্ট ট্রাস্ট। তখন তাদের স্টিমারের সংখ্যা মাত্র ১৩। এর পর আবারও এই পরিষেবা শুরু হয় ‘ক্যালকাটা স্টিম ন্যাভিগেশন কম্পানি লিমিটেড’-এর পরিচালনায়। তাদের অফিস ছিল ৫ ফেয়ারলি প্লেস-এ।[] দৈনিক দু’টি ফেরী চলত তখন—

  • চাঁদপাল-রামকৃষ্ণপুর-তেলকলঘাট[]
  • চাঁদপাল-শিবপুর-তক্তাঘাট-বটানিক্যাল গার্ডেন-মেটিয়াবুরুজ-রাজাবাগান-রাজগঞ্জ[]

১৯৫২ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত সুন্দরবন লঞ্চ সিন্ডিকেটের অধীনে ছিল এই ফেরী ঘাট। এর পর এটি হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির অধীনে আসে।[]

ফেরী পরিষেবা

সম্পাদনা

এখন এই ঘাট থেকে ৩ টি রুটে ফেরী চলাচল করে।[] প্রতিটি রুটে মাথাপিছু ভাড়া ৫ টাকা। রুট গুলি হল -

  • চাঁদপাল-রামকৃষ্ণপুর (সকাল ৫-৫০ থেকে রাত ৮-৩০),
  • চাঁদপাল-শিবপুর (সকাল ৭-৩০ থেকে রাত ৮-৩০),
  • হাওড়া-চাঁদপাল (সকাল ৭-৩০ থেকে রাত ৮টা)
  • চাঁদপাল-হাওড়া (৭-৪৫ থেকে ৮-১৫)

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "শহরের নদী-ঘাট চাঁদপাল"। archives.anandabazar.com। ২১ জুন ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০২০ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা