চলে যায় বসন্তের দিন
নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় উপন্যাস ধারাবাহিকগুলোর মধ্যে হিমু অন্যতম।[১][২] নব্বই দশকে হিমুর প্রথম উপন্যাস ময়ূরাক্ষী প্রকাশিত হয়। প্রাথমিক সাফল্যের পর হিমু চরিত্র বিচ্ছিন্নভাবে হুমায়ুন আহমেদের বিভিন্ন উপন্যাসে প্রকাশিত হতে থাকে। চলে যায় বসন্তের দিন উপন্যাসটি হিমু চরিত্রের ১১ম উপন্যাস।
লেখক | হুমায়ূন আহমেদ |
---|---|
প্রচ্ছদ শিল্পী | ধ্রুব এষ |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
ধারাবাহিক | হিমু |
মুক্তির সংখ্যা | ১১ |
বিষয় | হিমু, মহাপুরুষ |
ধরন | উপন্যাস |
প্রকাশক | অন্যপ্রকাশ, ৩৮/২ ক বাংলাবাজার, ঢাকা। |
প্রকাশনার তারিখ | ২০০২ |
মিডিয়া ধরন | ছাপা (হার্ডকভার) |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ৮০ |
আইএসবিএন | ৯৮৪ ৮৬৮ ১৭৬ ০ |
পূর্ববর্তী বই | তোমাদের এই নগরে |
পরবর্তী বই | সে আসে ধীরে |
হিমু ধারাবাহিকের একটি উপন্যাস |
বইটি ২০০২ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয়। বইটির প্রকাশনা সংস্থাঃ অন্যপ্রকাশ, ৩৮/২ ক বাংলাবাজার, ঢাকা।
হিমু
সম্পাদনাহিমু মূলত একজন বেকার যুবক; যার আচরণে বেখেয়ালী, জীবনযাপনে ছন্নছাড়া ও বৈষয়িক ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন ভাব প্রকাশ পায়। চাকরির সুযোগ থাকলেও সে চাকরি কখনো করে না বলেই সে বেকার। তার অস্বাভাবিক চরিত্রের মধ্যে সে হলুদ পাঞ্জাবী পরে খালি পায়ে রাস্তাঘাটে দিন-রাত ঘুরে বেড়ায় এবং মাঝে মাঝে ভবিষ্যদ্বাণী করে মানুষকে চমকে দেয়।[৩] উদাসীন হিমু একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকের বাঙ্গালী তরুণদের ব্যাপকভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল।
এই উপন্যাসের চরিত্রসমূহ
সম্পাদনা- হিমু
- মাজেদা – হিমুর খালা
- জহির – হিমুর খালাত ভাই
- ফুলফুলিয়া – জহিরের বান্ধবী
- রহমতউল্লাহ তালুকদার – জহিরের বাবা
- শমসের উদ্দিন – ফুলফুলিয়ার বাবা
কাহিনীসংক্ষেপ
সম্পাদনাহিমুর খালাত ভাই জহির ভালোবাসে ফুলফুলিয়া নামের মেয়েকে কিন্তু ফুলফুলিয়ার বাবা সবাইকে বলে তার মেয়ের নাকি বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ফুলফুলিয়ার বাবার কথা শুনে তার মনের অস্থিরতার জন্য জহির ঠিক করে সে তেতুলিয়া থেকে টেকনাফ হেঁটে যাবে।
অন্যদিকে জহিরের তেতুলিয়া থেকে টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপ পর্যন্ত যাওয়ার পরিকল্পনার জন্য হিমুকে দায়ী করে হিমুর খালু রহমতউল্লাহ তালুকদার। সে হিমুর নামে ওয়ারেন্ট বের করে। মিথ্যা মামলা সাজানো হয় হিমুর বিরুদ্ধে। একসময় ডেড বেড রেফারেন্স দেয় হিমুর বিরুদ্ধে।
শেষে হিমুর খালু চেষ্টা করতে থাকে হিমুকে বাঁচানোর জন্য। একপর্যায়ে হিমুকে থানা হাজত থেকে জেল খানায় নিয়ে যাওয়া হয়। শেষ বারের মতো হিমু দেখা করতে চায় রাধাচূড়া গাছের সাথে।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ প্রশান্ত ত্রপিুরা (জুলাই ২১, ২০১৩)। "Humayun Ahmed, Himu and identity conflicts in Bangladesh"। bdnews24.com। ঢাকা। ৫ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ "হিমু ধারাবাহিক"। goodreads.com (ইংরেজি ভাষায়)। গুডরিড্স। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।
- ↑ তুষার তালুকদার (আগস্ট ১১, ২০১২)। "Humayun Ahmed and his stories"। দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)। ঢাকা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]