☆চলতি সম্পদঃ যে সকল সম্পদ সর্বোচ্চ এক বছরের মধ্যে ব্যবসায়ের স্বাভাবিক প্রকিয়ায় নগদ অর্থে রূপান্তর করা যায় তাহাই চলতি সম্পদ বা স্বল্প মেয়াদি সম্পদ

আরও নির্দিষ্ট করে বললে, যে দায় সমুহ চলতি সম্পদ দ্বারা বা নতুন চলতি দায় সৃষ্টির মাধ্যমে পরিশোধ করা হয় বা নিষ্পত্তি করা হয় তাকে চলতি দায় বলে। উদাহরণস্বরূপ, ব্যবসা পরিচালনার জন্য ক্রয় করা পণ্য বা পরিষেবা বা সরবরাহের জন্য প্রদেয় হিসাব একটি চলতি দায় এবং এটি সাধারণত ৩০ দিনের মধ্যে বা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হয়। সাধারনত পাওনাদার, প্রদেয় হিসাব, প্রদেয় নোট, প্রদেয় বিল, ব্যাংক জমাতিরিক্ত, সকল প্রকার বকেয়া খরচ, অনুপার্জিত সেবা আয়, অগ্রিম আয়, প্রদেয় কমিশন, বন্ধকি ঋণের বকেয়া সুদ ইত্যাদি চলতি দায় হিসেবে বিবেচিত।[১]

বন্ড, বন্ধক এবং ঋণ, যা এক বছরের বেশি মেয়াদে প্রদেয়, এগুলো দীর্ঘমেয়াদী দায় হিসেবে পরিচিতি। তবে বর্তমান অর্থবছরে দীর্ঘমেয়াদী ঋণের জন্য বকেয়া প্রদেয় চলতি দায় হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।

চলতি দায় সমূহ যেমনঃ

১। পাওনাদার, প্রদেয় হিসাব, প্রদেয় নোট, প্রদেয় বিল।

২। ব্যাংক জমাতিরিক্ত।

৩। সকল প্রকায় বকেয়া ব্যয় সমূহঃ বয়েকা ভাড়া, বকেয়া বেতন, বকেয়া মজুরি, বকেয়া মনিহারি, বকেয়া ঋণের সুদ, বকেয়া অফিস খরচ,বকেয়া শিক্ষানবিশ ভাতা।

৪। অনুপার্জিত সেবা আয়, অগ্রিম আয়।

৫। প্রদেয় কমিশন, প্রদেয় বেতন, প্রদেয় ব্যাংক ঋণের সুদ , প্রদেয় ভাড়া, প্রদেয় সুদ , প্রদেয় বীমা, প্রদেয় উপযোগ খরচ।

৬। বন্ধকি ঋণের বকেয়া সুদ।

৭। অগ্রিম শিক্ষানবিশ সেলামি।

৮। ব্যবসায়িক ঋণ।

৯। প্রস্তাবিত লভ্যাংশ।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Current Liabilities"Corporate Finance Institute (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-০২