চন্দন কুমার সরকার
চন্দন কুমার সরকার (মৃত্যু ১৯ নভেম্বর ২০১৮)[১] আসাম রাজ্যের একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি ২০১৫ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তৃতীয় তরুণ গগৈ মন্ত্রকের সেচ ও মৃত্তিকা সংরক্ষণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন[২][৩][৪][৫] তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬, ২০০১ থেকে ২০০৬ এবং আবার ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত অভয়পুরী দক্ষিণ নির্বাচনী এলাকা থেকে আসাম বিধানসভার সদস্য ছিলেন। তাঁর ছেলে প্রদীপ সরকার অভয়পুরী দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বর্তমান বিধায়ক ছিলেন।
চন্দন কুমার সরকার | |
|---|---|
 | |
| Minister of Irrigation and Soil Conservation,Government of Assam | |
| কাজের মেয়াদ 23 January 2015 – 19 May 2016 | |
| Chief Minister | Tarun Gogoi |
| Member of Assam Legislative Assembly | |
| কাজের মেয়াদ 13 May 2011 - 19 May 2016 | |
| পূর্বসূরী | Rabin Banikya |
| উত্তরসূরী | Ananta Kumar Malo |
| সংসদীয় এলাকা | Abhayapuri South |
| কাজের মেয়াদ 2001 - 2006 | |
| পূর্বসূরী | Rabin Banikya |
| উত্তরসূরী | Rabin Banikya |
| সংসদীয় এলাকা | Abhayapuri South |
| কাজের মেয়াদ 1991 - 1996 | |
| পূর্বসূরী | Ratneswar Sarkar |
| উত্তরসূরী | Rabin Banikya |
| সংসদীয় এলাকা | Abhayapuri South |
| ব্যক্তিগত বিবরণ | |
| মৃত্যু | 19 November 2018 (aged 65)[১] Lower Assam Hospital,Bongaigaon |
| রাজনৈতিক দল | Indian National Congress |
| দাম্পত্য সঙ্গী | Swapna Rani Sarkar |
| সন্তান | 3, including Pradip |
| পেশা | Politician and Businessman |
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা সম্পাদনা
সরকার প্রয়াত বিজয় চৌধুরী সরকারের ছেলে। তিনি ১৯৭৪ সালে চাকলা এইচএসএস স্কুলে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েন।
রাজনৈতিক পেশা সম্পাদনা
সরকার 1991 সালের আসাম বিধানসভা নির্বাচনে অভয়পুরী দক্ষিণের জন্য ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন, তিনি ২২,৩১১ ভোট পান, মোট ভোটের ৩২.৫৮%।[৩]
১৯৯৬ সালের আসাম বিধানসভা নির্বাচনে, সরকার ১৬,৯৭৭ ভোট পেয়েছিলেন, মোট ভোটের ২২.২৪%। তিনি এজিপি প্রার্থী রবীন বণিক্যের কাছে ২৬,৫৭২ ভোটে হেরে যান।[৩]
2001 আসাম বিধানসভা নির্বাচনে, তিনি 45318 ভোট পান, মোট ভোটের 50.02% এবং তিনি আবার অভয়পুরী দক্ষিণের বিধায়ক হন। তিনি বণিক্যকে ৩৬৩৩ ভোটে পরাজিত করেন।[৩]
2006 আসাম বিধানসভা নির্বাচনে, তিনি 26638 ভোট পেয়েছিলেন এবং আবার 4034 ভোটে বনিক্যার কাছে পরাজিত হন।[৩]
2011 সালের আসাম বিধানসভা নির্বাচনে তিনি অভয়পুরী দক্ষিণের জন্য আবার ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন, তিনি তার নিকটতম প্রতিপক্ষকে 15899 ভোটে পরাজিত করেছিলেন।[৩] 23 জানুয়ারি, মন্ত্রিসভায় রদবদল করে, সরকারকে তরুণ গগৈ মন্ত্রিসভায় সেচ ও মৃত্তিকা সংরক্ষণ মন্ত্রী করা হয়েছিল।
2016 আসাম বিধানসভা নির্বাচনে, তিনি অনন্ত কুমার মালোর কাছে 191 ভোটে পরাজিত হন। তিনি ছিলেন 10 জন ক্যাবিনেট মন্ত্রীর একজন যারা নির্বাচনে হেরেছিলেন।[৬]
ব্যক্তিগত জীবন এবং মৃত্যু সম্পাদনা
সরকার ও তার স্ত্রীর ২ ছেলে ও ১ মেয়ে ছিল। তাঁর ছেলে প্রদীপও 2021 সালে অভয়পুরী দক্ষিণের বিধায়ক হয়েছিলেন।[২]
19 নভেম্বর 2018-এ, সরকার বোঙ্গাইগাঁওয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাকে দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরে তার মৃত্যু হয়।[১][৭]
রিপুন বোরা, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের মতো অনেক রাজনীতিবিদ সরকারকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সোনোয়াল বলেন, "আগের কংগ্রেস সরকারের একজন মন্ত্রী হিসাবে, সরকার মূল্যবান সেবা দিয়েছিলেন, যা সর্বদা মানুষ মনে রাখবে এবং তার মৃত্যু সমাজের জন্য একটি অপূরণীয় ক্ষতি।"[৭]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ গ "Former Assam minister Chandan Kumar Sarkar passes away"। The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-১১-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১৩। উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে ":0" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে - ↑ ক খ "Pradip Sarkar(Indian National Congress(INC)):Constituency- ABHAYAPURI SOUTH (SC)(NORTH SALMARA) - Affidavit Information of Candidate:"। myneta.info। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১৩।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "Abhayapuri South Assembly Constituency Election Result - Legislative Assembly Constituency"। resultuniversity.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১৩।
- ↑ "Gogoi allocates portfolios to new Assam ministers"। Firstpost (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০১-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১৩।
- ↑ "Tarun Gogoi reshuffles Assam ministry, 11 cabinet ministers join"। Firstpost (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০১-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১৩।
- ↑ "10 Gogoi cabinet ministers bite the dust"। www.telegraphindia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১৪।
- ↑ ক খ Service, Tribune News। "Former Assam minister Chandan Kumar Sarkar passes away"। Tribuneindia News Service (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-১৩।