চট্টগ্রাম পালি কলেজ
চট্টগ্রাম পালি কলেজ হলো বাংলাদেশের একটি বিশেষায়িত বৌদ্ধধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে বৌদ্ধধর্ম এবং পালি ভাষা শিক্ষা দেওয়া হয়। কলেজটি ১৯৩৯ সালে চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি একটি অবৈতনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।[১]
স্থাপিত | ১৯৩৯ |
---|---|
অবস্থান | , |
অবস্থান
সম্পাদনাকলেজটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তম শহর চট্টগ্রামের বৌদ্ধমন্দির সড়কস্থ এনায়েত বাজার এলাকায় অবস্থিত।[২]
ইতিহাস
সম্পাদনাচট্টগ্রাম পালি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন অগ্গমহাপণ্ডিত ধর্মবংশ মহাস্থবির। প্রতিষ্ঠা বছরেই তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন পণ্ডিত দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান মহাথের। তিনি আমৃত্যু এ কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তার সময়ে কলেজের অনেক উন্নয়ন কাজ ঘটে। তাই তার কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ কলেজের নতুন নামকরণ করা হয় ‘দীপঙ্কর পালি কলেজ’।[১]
অবকাঠামো
সম্পাদনাএকটি তিনতলা ভবনের চারটি শ্রেণীকক্ষে ছাত্রদের পাঠদান করা হয়। কলেজ পরিচালনার জন্য একটি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা পরিষদ আছে। প্রতি পাঁচ বছর পর পর পরিচালনা পরিষদ নবায়ন করার সরকারি বিধান রয়েছে। বাংলাদেশ সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে টোল ও কলেজগুলির প্রশাসনিক ও শিক্ষা কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। কলেজে একটি লাইব্রেরী রয়েছে, যার নাম ‘চিন্তামণি লাইব্রেরি’। এখানে একটি মিউজিয়ামও আছে।[১]
ভর্তি
সম্পাদনান্যূনপক্ষে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরাই এ কলেজে ভর্তি হতে পারে। শিক্ষার বিষয় পালি ত্রিপিটক। ত্রিপিটকের সুত্ত বিভাগ, বিনয় বিভাগ ও অভিধম্ম বিভাগে আদ্য, মধ্য ও উপাধি শ্রেণীতে তিন বছর মেয়াদি ভিন্ন ভিন্ন কোর্স চালু আছে। যেকোনো একটি বিভাগে তিন বছর অধ্যয়ন করে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে সে বিষয়ে তাকে ‘বিশারদ’ ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ‘উপাধি’ ডিগ্রিধারী ব্যক্তি সাধারণ শিক্ষাপদ্ধতিতে স্নাতক ডিগ্রিধারীর সমতুল্য। এরপর তারা সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারে। কলেজে বর্তমানে চারজন অধ্যাপক এবং ২৫০জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। অধ্যক্ষ পরিচালনা পরিষদের সম্পাদক হিসেবে উভয় দায়িত্ব পালন করেন।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ ঘ "চট্টগ্রাম পালি কলেজ - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-১৮।
- ↑ "School & College"। www.bbsbd.org। ২০১৮-০৭-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-১৮।