গ্রাসিয়েলা বোগ্রান

গ্রাসিয়েলা বোগ্রান (১৯ অক্টোবর ১৮৯৬- ২০০০) ছিলেন একজন হন্ডুরান শিক্ষিকা, লেখিকা এবং নারী অধিকারকর্মী। তিনি নারীদের ভোটাধিকারের লড়াই সহ শ্রমিক সঙ্ঘের আন্দোলন এবং রাজনৈতিক প্রতিবাদ উভয় ক্ষেত্রেই জড়িত ছিলেন। তিনি নারীবাদী জার্নাল আলমা লাতিনার সম্পাদক হিসাবেও সুপরিচিত ছিলেন। নারীদের ভোটাধিকার অর্জনের পরে তাকে জনশিক্ষা বিভাগে মন্ত্রিসভায় দায়িত্বে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ১৯৬৩ সালে মাদ্রিদে তিনি হিস্পানিক সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।[১][২][৩]

গ্রাসিয়েলা বোগ্রান
জন্ম
গ্র্যাসিলা বোগ্রান রোদ্রিগেজ

(১৮৯৬-১০-১৯)১৯ অক্টোবর ১৮৯৬
মৃত্যু২০০০ (বয়স ১০৩–১০৪)
জাতীয়তাহন্ডুরাস
পেশাশিক্ষক, লেখক, মহিলা অধিকারকর্মী

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

গ্রাসিয়েলা বোগ্রান রদ্রিগেজ ১৯৯৯ সালের ১৯ অক্টোবর হন্ডুরাসের সান্তা বারবারার সান নিকোলাসে পেট্রোনা রদ্রিগেজ এবং মার্কো আন্তোনিও বোগ্রান দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।[৪] তিন ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়, পেট্রোনা "এলভিরা" (জন্ম ১৯০৪) নামে তাঁর একটি বোন এবং নেপোলিয়ান নামে একটি ভাই (জন্ম ১৯০৭) ছিল। [৫] [৬] তাঁর পরিবার ব্রিটিশদের ফরাসি উপনিবেশ রোমন বোগ্রান থেকে ১৯ শতকের গোড়ার দিকে হন্ডুরাস এসেছিল। সেইসূত্রে তিনি লুইস বোগ্রেন এবং ফ্রান্সিসকো বোগ্রিন উভয় রাষ্ট্রপতির সাথে সম্পর্কযুক্ত ছিলেন ।[৭][৮][৯]

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার পরে, বোগ্রান ১৯১৪ সালে এস্কুয়েলা নরমাল ডি সেওরিটাস (লেডিজ নরমাল স্কুল) থেকে স্নাতক হন এবং শিক্ষক হিসাবে কাজ শুরু করেছিলেনন। [৪] [১০] ১৯১৬ সালে তিনি কবি রুবান বার্মাডেজ মেজাকে বিয়ে করেছিলেন এবং পরবর্তীকালে তাঁদের তিনটি সন্তান হয়েছিল: গ্রাসিয়েলা, রুবেন এবং রবের্তো। তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পরে তিনি আবার উত্তর আমেরিকার ব্যবসায়ী আলভিন এম ব্যারেটের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। [১০] [১১]

মৃত্যু সম্পাদনা

২০০০ সালে হন্ডুরাসের সান পেড্রো সুলায় বোগ্রান মারা যান। তিনি তাঁর যুগের শীর্ষস্থানীয় নারী অধিকার কর্মী এবং অনুগ্রাহক হিসাবে স্মরণীয়। [১২] [১৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা