গ্যাস্ট্রাইটিস
গ্যাস্ট্রাইটিস, যা সংক্রামক ডায়রিয়া নামেও পরিচিত, এটি “গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট এর” প্রদাহ যা পাকস্থলী এবং ক্ষুদ্রান্ত্রের সাথে জড়িত। গ্যাস্ট্রাইটিসের লক্ষণগুলির মধ্যে ডায়রিয়া, বমি ও পেটে ব্যথা থাকতে পারে।[১] এমনকি জ্বর, শক্তির অভাব এবং পানিশূন্যতা ঘটতে পারে। এটি সাধারণত দুই সপ্তাহের কম সময় থাকে। এটি "পাকস্থলীর ফ্লু" নামে অভিহিত হলেও এটি ইনফ্লুয়েঞ্জার সাথে সম্পর্কিত নয়।
গ্যাস্ট্রাইটিস ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, পরজীবী এবং ছত্রাকের দ্বারা সংক্রমণের কারণ হতে পারে। তবে সাধারণত ভাইরাসের মাধ্যমেই গ্যাস্ট্রাইটিস এর সংক্রমণ হয় । শিশুদের মধ্যে রোটা ভাইরাসটি গুরুতর সব রোগের কারণ। প্রাপ্তবয়স্কদের রোগের কারণ হিসেবে নোরোভিরাস এবং ক্যাম্পাইলোব্যাক্টারকেই দায়ী করা হয়। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, দূষিত জল পান করা বা সংক্রমিত ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করতে পারে। সাধারণত রোগ নির্ণয় করার জন্য কোন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হয় না।
গ্যাস্ট্রাইটিসের প্রতিরোধের মধ্যে সাবান দিয়ে হাত ধৌত করা, নিরাপদ জল পান করা, মানুষের বর্জ্যের সঠিক নিষ্পত্তি এবং শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। শিশুদের ক্ষেত্রে রোটা ভাইরাসের ভ্যাক্সিন ব্যবহারের সুপারিশ করা হয়। জল, লবণ, এবং চিনির সংমিশ্রণ খাওয়ানোর মাধ্যমে পানিশূন্যতার অভাব দূর করানো হয়। যেসব শিশু বুকের দুধ খাওয়া ছাড়েনি, তাদেরকে বুকের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। আরো গুরুতর ক্ষেত্রে, অন্ত্রে ফ্লুইডের প্রয়োজন হতে পারে। ফ্লুইডস একটি ন্যাজোগ্যাস্ট্রিক নল দ্বারাও দেওয়া যেতে পারে। সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয় না।
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ Rosen & Barkin's 5-Minute Emergency Medicine Consult (4 সংস্করণ)। Lippincott Williams & Wilkins। ২০১২। পৃষ্ঠা 447। আইএসবিএন 9781451160970। ২০১৫-০৪-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |