গ্যাব্রিয়েল টার্জম্যান

দ্য ইভাসিভ পেডোফিল নামে পরিচিত গ্যাব্রিয়েল টারজম্যান (জন্ম ১৯৫৭) একজন ইসরাইলি সিরিয়াল ধর্ষক, যিনি ২০০২ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত আশদোদে কমপক্ষে পাঁচটি তরুণীকে ধর্ষণ করেছিলেন। তার অপরাধের জন্য, তাকে ৪৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, যা দেশের যৌন অপরাধীর জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি।

জীবনী

গ্যাব্রিয়েলের অতীতের জীবন সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়। আশদোদে ১৯৫৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি মাদক ও সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধের জন্য পূর্বে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তিনি বিবাহিত ছিলেন এবং গ্রেপ্তারের সময় তার চার সন্তান ছিল।

২০০২ সাল থেকে ২০০ সালের মধ্যে, আশদোদ ও আশক্লোনে ধারাবাহিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল, যার প্রত্যেকটি একই পদ্ধতি অনুসরণ করেছিল: ভুক্তভোগী সবসময় ৬ বছর থেকে ১০ বছর বয়সী একটি যুবতী মেয়ে ছিল, যে একটি হারেদি ইহুদি পাড়ায় বাস করত এবং রেনল্ট এক্সপ্রেস চালানো একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ তাকে অপহরণ করেছিলেন। প্রথম নথিভুক্ত ঘটনাটি ২০০২ সালের নভেম্বরে ঘটেছিল, যখন গ্যাব্রিয়েল আশদোদের একটি পাড়া থেকে ১০ বছরের এক কিশোরীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে এবং শহরের বাইরে একটি বিচ্ছিন্ন এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে, তিনি তার ভ্যানের পিছনের আসনে মেয়েটিকে ধর্ষণ করার আগে কাপড় খুলে, শ্বাসরোধ করে এবং মারধর করেন। ভুক্তভোগীর মতে, তিনি অতীতে অন্যান্য বাচ্চাদের অপহরণ করার দাবি করেছিলেন এবং তিনি প্রতিবাদ করলে তিনি "ছুরিগুলি বের করে আনবেন এবং [তাকে] কেটে ফেলবেন" বলে হুমকি দিয়েছিলেন। তার সাথে পথ চলার পর, গ্যাব্রিয়েল মেয়েটিকে মেয়েটির বাড়িতে নিয়ে যায় এবং মেয়েটিকে কাউকে না বলার হুমকি দিয়ে ফেলে দেয়।

আরেকটি ঘটনায়, তিনি ২০০৩ সালের মার্চ মাসে বাড়িতে থেকে বিদ্যালয়ের দিকে হেঁটে চলা একটি ১০ বছর বয়সী মেয়ের নিকট আসেন এবং তাকে একটি প্রশ্ন করার পর জোর করে তার ভ্যানে তুলে নেন। এরপর তিনি একটি বিচ্ছিন্ন এলাকায় গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যান, যেখানে তিনি তার কান্না করা ভুক্তভোগীকে মারধর ও হত্যার হুমকি দেন। এরপর তিনি মেয়েকে কাপড় খুলে ধর্ষণ করেন, আবার তাকে তার বাড়িতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান।

তদন্ত ও গ্রেফতার

মামলার তদন্তের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছিল, যাতে কর্মকর্তারা তাদের সন্দেহভাজনকে আটকে রাখার জন্য অ্যাম্বুশের আয়োজন করে।