গোয়া পাথর হচ্ছে একটি মনুষ্য নির্মিত পাথর যার ওষধি ও তালিসমান গুন আছে বলে ভাবা হয়ে থাকে।[১] ভারতের গোয়ায় সতেরো সতকের শেষের দিকে জেসুইটগণ গোয়া পাথর প্রস্তুত করতো কারণ প্রাকৃতিকভাবে তৈরি পাথরের সংখ্যা কম ছিলো।[২] এর উদ্ভাবক ফ্লোরেইন্টাইন লে ব্রাদার গ্যাসপার এন্টোনিও এবং ১৬৯১ সালের ৬ মার্চ পর্তুগীজদের স্বীকৃতিতে জেসুইটরা এটার একচেটিয়া ব্যবসা করতে থাকে।[৩] চুল, খোলস, খোসা, রেজিন, ভাঙা রত্নসহ বিভিন্ন জৈব ও অজৈব উপাদান মিশিয়ে এটা তৈরি করা হয়। এরপর একে গোলাকৃতি করে উজ্জ্বলতা প্রদান করা হয়। বিশ্বাস করা হতো গোয়া পাথরের রোগ প্রতিরোধ এবং বিষমুক্ত করার ক্ষমতা আছে।[৪]

গোয়া পাথর, সম্ভবত ভারতের গোয়ায় ব্যবহৃত হতো, ১৭ শতকের শেষভাগ থেকে ১৮ শতকের প্রথম পর্যন্ত

গোয়া পাথর অলংকার হিসেবে ধারণ করা হতো খাঁটি সোনার সংগে। বিশ্বাস করা হতো যে এতে পাথরের ঔষধি ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।[৫]

চিত্র সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Goa Stone with Gold Case"The Metropolitan Museum of Art। The Metropolitan Museum of Art। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৭ 
  2. Bailly, Muriel। "Foolish Remedies: Goa Stone"Wellcome Collection। Wellcome Collection। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৭ 
  3. Fonseca, José Nicolau da (১৮৭৮)। An Historical and Archæological Sketch of the City of Goa: Preceded by a Short Statistical Account of the Territory of Goa (ইংরেজি ভাষায়)। Thacker & Company, limited। পৃষ্ঠা 317। 
  4. "Bezoar Stone with Case and Stand"The Metropolitan Museum of Art। The Metropolitan Museum of Art। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৭ 
  5. Grundhauser, Eric। "The Man-Made Gut Stones Once Used to Thwart Assassination Attempts"Atlas Obscura। Atlas Obscura। সংগ্রহের তারিখ ১৯ নভেম্বর ২০১৭