গোমতী নদী (উত্তর প্রদেশ)
গোমতী, গুমতি বা গোমতি নদী হল গঙ্গা নদীর একটি শাখা নদী। হিন্দুধর্মের ইতিহাস অনুসারে, নদীটি হিন্দু ঋষি বশিষ্ঠের কন্যা; একাদশীতে গোমতিতে স্নান করে (হিন্দু বর্ষপঞ্জী মাসের দুটি চন্দ্র পর্বের একাদশতম দিন) পাপকে ধুয়ে ফেলে সম্ভব। ভাগবত পুরাণ অনুসারে হিন্দু ধর্মের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় রচনা, গোমতী ভারতের এক প্রাচীন নদী। বিরল গোমতী চক্র সেখানে পাওয়া যায়। এটি ভারতের উত্তর প্রদেশের লখনৌতে অবস্থিত । উল্লেখ্যযে বাংলাদেশের কুমিল্লায় জেলায় গোমতী নদী নামে আরো একটি ঐতিহ্যবাহী নদী রয়েছে।
গোমতী নদী গুমতি নদী | |
---|---|
অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য | |
উৎস | গোমাত তাল |
• অবস্থান | মধ্য গঙ্গা সমভূমি |
• স্থানাঙ্ক | ২৫°৩০′২৯″ উত্তর ৮৩°১০′১১″ পূর্ব / ২৫.৫০৮০৬° উত্তর ৮৩.১৬৯৭২° পূর্ব |
• উচ্চতা | ২০০ মি (৬৬০ ফু) |
দৈর্ঘ্য | ৯০০ কিমি (৫৬০ মা) |
নিষ্কাশন | |
• অবস্থান | সৈয়দপুর, উত্তর প্রদেশ |
• গড় | ২৩৪ মি৩/সে (৮,৩০০ ঘনফুট/সে) |
ভূগোল
সম্পাদনাগোমতী, একটি বর্ষা এবং ভূগর্ভস্থ জলে পুষ্ট নদী, ভারতের পিলিভিটের মাধো টান্দার কাছে গোমত তাল (আনুষ্ঠানিকভাবে ফুলহার ঝিল নামে পরিচিত) থেকে উৎপন্ন হয়। এটি উত্তরপ্রদেশের মধ্য দিয়ে ৯৬০ কিলোমিটার (৬০০ মাইল) প্রবাহিত এবং বারাণসী জেলা থেকে ২৭ কিলোমিটার (১৭ মাইল) দূরে সৈয়দপুরের কাছাকাছি গঙ্গা নদীর সাথে মিলিত হয়।
এটি গাইহাই নামে একটি ছোট নদীর সাথে মিলিত হয় উৎস থেকে ২০ কিলোমিটার (১২মাইল) দূরে। গোমতী উৎস থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে সংকীর্ণ স্রোত হিসাবে লক্ষীপুর খেরি জেলার একটি তহসিল মোহাম্মদী খেরিতে পৌঁছা, যেখানে এটি সুখেতা, চোহা এবং অন্ধ্র চোহার মতো উপনদীর সাথে যুক্ত হয়। এরপরে নদীটি সু-সংগঠিত হয়, কাঠিনা উপনদীটি মাইলানীতে এবং সরায়ণ উপনদীটি সীতাপুর জেলার একটি গ্রামে যোগদান মিলিত। গোমতী নদীর একটি প্রধান উপনদী হ'ল সাঁই নদী, যা জৌনপুরের কাছে গোমতীর সাথে মিলিত হয়। গোমতি ও গঙ্গার সঙ্গমে মার্কান্ডে মহাদেও মন্দির রয়েছে।
২৪০ কিলোমিটার (১৫০ মাইল) পরে গোমতী লখনউ শহরে প্রবেশ করে, প্রায় ১২ কিলোমিটার (৭ মাইল) প্রবাহ পথ শহর জুড়ে বিস্তৃত এবং নদীটি এই অংশে শহরের জন্য জল সরবরাহ করে। লখনউ অঞ্চলের, ২৫ টি নিকাশী পথে বর্জ্য নদীতে ফেলা হয় পরিশোধন না করে। প্রবাহিত পথে, গোমতী ব্যারাজ নদীকে একটি হ্রদে রূপান্তরিত করে।
লখনউ ছাড়াও, লখিমপুর খেরি, সুলতানপুর কেরাকাত এবং জৌনপুর'সহ নদীর অববাহিকার ১৫ টি শহর রয়েছে। নদীটি সুলতানপুর জেলা এবং জৌনপুরকে অর্ধেক কেটে দেয় এবং শহরের মধ্যে আরও প্রশস্ত হয়।
দূষণ
সম্পাদনাসীতাপুর জেলার গোমতী উত্তর প্রদেশের পললভূমিতে ৯৪০ কিলোমিটার (৫৮০ মাইল) গতিপথে গোমতী নদীটি বেশ কয়েকটি স্থানে দূষিত।[১] দূষণের প্রধান উৎস হ'ল শিল্প বর্জ্য, চিনি কারখানাগুলি, ডিস্টিলারিগুলি, আবাসিক বর্জ্য এবং নিকাশী থেকে মিশ্রিত জল।
নদীতীরের উন্নয়ন বিতর্ক
সম্পাদনাসরকারী সংস্থা বড়ভাড়া নিকাশী ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট এবং যান্ত্রিক ড্রেজিংয়ের মতো বড় প্রকল্পগুলির পরিকল্পনা করে, তবে বেশিরভাগই ব্যর্থ হয়।[২] র্ষার সময় গোমতীতে জল ১০-১২ মিটার বৃদ্ধি পায় এবং ২০০৮ সালে একটি বড় বন্যা সংগঠিত হয়।[৩]
বন্যা
সম্পাদনাবর্ষার পরে বন্যার জল নেমে যাওয়ার সাথে সাথে শুকনো গর্তগুলি (যেটি ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর মতো মশার সৃষ্টি করে) অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Aiming for a scrubbed clean look"। The Times Of India। ২০১০-০১-২৮। ২০১২-১১-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০১-২৮।
- ↑ "River linking urgent as Gomti gasps for water - Times of India"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-০৫।
- ↑ "Flood waters enter parts of Lucknow | Latest News & Updates at Daily News & Analysis"। dna (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৮-০৮-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০১-০৫।