গুরুনাথ সেনগুপ্ত

সনাতন ধর্ম সংস্কারক

গুরুনাথ সেনগুপ্ত' (১৮৪৮-১৯১৪) একজন প্রখ্যাত হিন্দু সংস্কৃত পণ্ডিত এবং কবি ছিলেন। যশোর জেলার নড়াইলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৮৬৭ সালে কলকাতা নর্মাল স্কুল থেকে ত্রিবার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে একাডেমিক সাফল্য অর্জন করেন। তিনি "কবিরত্ন" অর্থাৎ "কবিদের মধ্যে একটি রত্ন" উপাধি লাভ করেন। সেনগুপ্ত কলকাতার আহিরীটোলা বঙ্গবিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে জ্ঞান প্রদান করেন।

সারা জীবন ধরে সেনগুপ্ত সংস্কৃত এবং বাংলায় অসংখ্য রচনা রচনা করেছেন। যার মধ্যে সাহিত্যের বিভিন্ন ধারা রয়েছে। তাঁর লেখার মধ্যে রয়েছে কবিতা, ভাষ্য, টীকা, ধর্মীয় বক্তৃতা, দার্শনিক গ্রন্থ, উপন্যাস এবং প্রবন্ধের সংকলন। সংস্কৃত সাহিত্যের পরিমন্ডলে, তার উল্লেখযোগ্য কিছু রচনা হল "সত্যধর্ম" (শাশ্বত ধর্ম), "গুনারত্নম" (সদ্গুণ), "সত্যামৃত" (সত্যের অমৃত), "গুণসূত্রম" (সদাচারের উপর ভিত্তিমূলক গ্রন্থ), "ধর্মজীবসা"। " (ধর্মীয় বক্তৃতা), "শ্রীরামচরিতম" (রামের উপর একটি মহাকাব্য), "শ্রীগৌরব্রত্তম" (মহাকাব্য), "বারিদুতম" (দ্য রেইন মেসেঞ্জার), "পত্নীশতকম" (স্ত্রীদের উপর শ্লোক), এবং "শিক্ষাশতকম" (শিক্ষা সম্পর্কিত আয়াত)।

বাংলা সাহিত্যে, সেনগুপ্তের উল্লেখযোগ্য রচনাগুলির মধ্যে রয়েছে "তত্ত্বজ্ঞান" (দর্শন), "দামপতিধর্মালপ" (একটি দম্পতির ধর্মীয় আলোচনা), "অদ্ভূত উপাখ্যান" (একটি অদ্ভুত গল্প), "কমালিনী" (মহাকাব্য), এবং "সুভদ্রহরণ" (মহাকাব্য)। , যা পাঠকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

তাঁর সাহিত্যিক অবদানের বাইরে, গুরুনাথ সেনগুপ্ত আধ্যাত্মবাদের প্রবক্তা হিসাবেও স্বীকৃত ছিলেন। বছরের পর বছর কঠোর তপস্বী অনুশীলন এবং আত্মদর্শনের মাধ্যমে, তিনি জ্ঞান অর্জন করেছিলেন এবং "সত্যধর্ম" (শাশ্বত ধর্ম) নামে সনাতন ধর্মের একটি নতুন ধর্মীয় মতবাদ প্রচার করেছিলেন। এই মতবাদ ঈশ্বরের উপাসনায় উদ্ভাসিত গুণাবলীর অনুশীলনের মাধ্যমে নফসের উচ্চতাকে জোর দিয়েছিল।

গুরুনাথ সেনগুপ্তের জীবন ও সাহিত্যকর্ম একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে, সংস্কৃতে তাঁর গভীর পাণ্ডিত্য এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞানার্জনের সাধনাকে তুলে ধরে।[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Sengupta, Gurunath - Banglapedia"en.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-২০