গুয়াহাটি তারকাগৃহ

গুয়াহাটি তারকাগৃহ আসামের গুয়াহাটিতে অবস্থিত জ্যোতির্বিজ্ঞানের শিক্ষা এবং গবেষণা কেন্দ্র। এটি আসাম এবং সমগ্র উত্তর ভারতের জ্যোতির্বিজ্ঞান সংক্রান্তীয় এক বিশেষ কেন্দ্র। ১৯৯৪ সালের ১৭ আগষ্টে গুয়াহাটি তারকাগৃহ স্থাপন করা হয়েছিল।[১] সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে গুয়াহাটি তারকাগৃহ প্রথম বিশেষ হাইব্রীড তারকাগৃহ প্রজেকশন ব্যবস্থা লাভ করেছিল। গোটা ভারতে প্রথমে এই প্রযুক্তি নতুন দিল্লীর নেহরু তারকাগৃহত ব্যবহার হয়েছিল এবং গুয়াহাটি তারকাগৃহে দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা হয়েছিল।

গুয়াহাটি তারকাগৃহ
স্থাপিত১৭ আগষ্ট ১৯৯৪
অবস্থানমহাত্মা গান্ধী পথ, দীঘলীপুখুরী, গুয়াহাটি
ধরনতারকাগৃহ সংগ্রাহালয় এবং পুথিভান্ডার
পরিচালককিমনেই চাংসেন
তত্ত্বাবধায়কবাবুল বরা
ওয়েবসাইটplanetariumguwahati.assam.gov.in/as

গুয়াহাটি তারকাগৃহ আসাম সরকার-এর বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেন।

অবস্থান সম্পাদনা

গুয়াহাটি তারকাগৃহ গুয়াহাটি শহরের মাঝের মহাত্মা গান্ধী পথে অবস্থিত। এটি ঐতিহাসিক দীঘলীপুখুরীর পারে এবং গুয়াহাটি উচ্চ ন্যায়ালয়-এর নিচেই কাছে অবস্থিত।

বিশেষত্ব সম্পাদনা

গুয়াহাটি তারকাগৃহ এর স্থাপত্য এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের জন্য জানা যায়। এর বিশেষ গম্বুজ এবং হেলানো দেওয়াল দিগন্ত বা দিকবলয়ের ক্ষেত্র পৃথক করেছে। তারকাগৃহটিতে জাপানীজ সফ্টওয়্যার গোটো ব্যবহৃত হয়। দৈনন্দিন প্রদর্শনী বাদেও তারকাগৃহে নিয়মিতভাবে সম্মিলন, কর্মশালা এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কিত বিভিন্ন আলোচনাচক্র এবং প্রদর্শনী, কুইজ ইত্যাদি অনুষ্ঠিত করা হয়।

এর সাথে এটি বিভিন্ন মহাজাগতিক ঘটনা যেমন সূর্যগ্রহণ, চন্দ্রগ্রহণ ইত্যাদির সময় ছাত্র-ছাত্রী এবং স্থানীয় জনসাধারণের জন্য আকাশ নিরীক্ষণ সম্পর্কিত কার্যসূচী অনুষ্ঠিত করে। তারকাগৃহের মধ্যে একটি গ্রন্থাগারও আছে। বিশেষজ্ঞ দ্বারা নিয়মিত মহাকাশ নিরীক্ষণ অনুষ্ঠান ছাড়াও, গম্বুজ আকৃতির, মাথার উপরের পর্দাত প্রদর্শন করা বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠান, তারকাগৃহটির মুখ্য আকর্ষণ। এই প্রদর্শনীসমূহ অসমীয়া, হিন্দী এবং ইংরাজীতে উপলব্ধ।[২]

মডেল এবং সরঞ্জাম সম্পাদনা

গুয়াহাটি তারকাগৃহত বিভিন্ন আকারের দূরবীক্ষণ যন্ত্র আছে। এর সাথে এখানে পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল, ইন্ডিয়ান রিমোট সেন্সিং উপগ্রহ এবং গুয়াহাটি তারকাগৃহর মডেল আছে।

প্রদর্শনীর সময় সম্পাদনা

তারকাগৃহের প্রতিটি প্রদর্শনীতে আসনের সংখ্যা ১৪১টি। দিনের ১১ টায়, ১.৩০ টায় ও বিকেল ৩ টায় অসমীয়াতে এবং ১২ টায় ও বিকেল ৪ টায় ইংরাজী ভাষাতে প্রদর্শনী প্রদর্শন করা হয়। প্রতি মাসের ১ তারিখ এবং ১৫ তারিখে তারকাগৃহ বন্ধ রাখা হয় এবং এর প্রতিটি প্রদর্শনীর টিকিটের মূল্য ৩০ টকা।

আসামের অন্যান্য তারকাগৃহসমূহ সম্পাদনা

যোরহাট বিজ্ঞানকেন্দ্র এবং তারকাগৃহ আসামের দ্বিতীয় তারকাগৃহ। ২০১৩ সালের ৬ জুলাই তারিখে তদানীন্তন আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ বিজ্ঞান কেন্দ্র এবং তারকাগৃহটি উদ্বোধন করেন।[৩] তদুপরি কোকরাঝার তারকাগৃহ এবং বিজ্ঞান কেন্দ্র, নলবাড়ি এবং উত্তর লক্ষিমপুর উপ-আঞ্চলিক তারকাগৃহ এবং বিজ্ঞান কেন্দ্র এবং মাজুলী, কলিয়াবর, আমিনগাঁও, বঙাইগাঁও, ডিফু এবং শিলচরে ছটা নতুন তারকাগৃহ নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে পরিকল্পনা করা হয়েছে।[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Articles.timesofindia.indiatimes.com (২০১১-০৬-০৪)। "Guwahati Planetarium has unique hybrid projection system - Times Of India"Times of Assam। ২০১২-০৯-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১২ 
  2. "Facilities and Infrastructures Available"। planetariumguwahati.assam.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৪ 
  3. TI Trade। "The Assam Tribune Online"। Assamtribune.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৯-০১ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "New Planetariums"। snt.assam.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৪