গিরিশচন্দ্র বিদ্যারত্ন

বাঙালি লেখক

গিরিশচন্দ্র বিদ্যারত্ন (২৬ সেপ্টেম্বর, ১৮২২ - ৩ ডিসেম্বর, ১৯০৩) ছিলেন আঠেরোশ শতকের পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক। তিনি বিদ্যাসাগরের সহপাঠী ছিলেন।[]

কৃতিত্ব

সম্পাদনা

বিদ্যারত্ন অবিভক্ত বাংলার চব্বিশ পরগনার রাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল রামধন বিদ্যাবাচস্পতি। গিরিশচন্দ্র ১৮৪৫-৫১ সাল সংস্কৃত কলেজের গ্রন্থাধ্যক্ষ ছিলেন। ১৮৫১-৮২ সেখানে অধ্যপনা করেন। বিধবা বিবাহ আন্দোলনে উৎসাহী ছিলেন তিনি। প্রথম জীবনে ব্রাহ্মধর্মের অনুরাগী হলেও পরে বৈদান্তিক মতাবলম্বী হন। জাতিভেদ প্রথার বিরোধী ছিলেন। সংস্কৃত যন্ত্র প্রেস স্থাপনে বিদ্যাসাগরের প্রধান সহযোগী ছিলেন। নিজে বিদ্যারত্ন যন্ত্র, পরে কলকাতায় গিরিশ বিদ্যারত্ন যন্ত্র নামে প্রেস স্থাপন করেন। নিজ গ্রামে দশ হাজার টাকা দিয়ে দরিদ্র ভান্ডার স্থাপন করেছিলেন।[] হরিনাথ মজুমদার তার দ্বি-মাসিক পত্রিকা গ্রামবার্তা গিরিশচন্দ্র বিদ্যারত্ন প্রেস থেকেই প্রথম প্রকাশ করেন।[]

তার রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থাবলীর মধ্যে আছে রঘুবংশ (মল্লিনাথটীকা সমেত), দশকুমার চরিতের বঙ্গানুবাদ, বিধবা বিষম বিপদ (নাটক), মুগ্ধবোধ ব্যাকরণশব্দসার[]

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "লেখক:গিরিশচন্দ্র বিদ্যারত্ন"bn.wikisource.org। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ 
  2. প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত (২০০২)। বাঙালি সংসদ চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ১৩১। আইএসবিএন 81-85626-65-0 
  3. "বাংলা সংবাদপত্র প্রকাশনার ইতিহাসের উপাদান কাঙালকুঠির ও এম.এন. প্রেস"। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা