গিয়াসুদ্দিন আহমেদ

গিয়াসুদ্দিন আহমেদ ( ১৮৯০ – ৭ জুলাই ১৯৯৭) ছিলেন একজন বাঙালি কবি। [১]

গিয়াসুদ্দিন আহমেদ
জন্ম১৮৯০
আমগাছিয়া গ্রাম, বিষ্ণুপুর, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ)
মৃত্যু৭ জুলাই ১৯৯৭(1997-07-07) (বয়স ১০৬–১০৭)
ভাষাবাংলা

সংক্ষিপ্ত জীবনী সম্পাদনা

গিয়াসুদ্দিন আহমেদের জন্ম ব্রিটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার বিষ্ণুপুর ১ নম্বর সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত আমগাছিয়া গ্রামে। পিতা এ গফুর গাজী এবং মাতা নসীমন। ছোটবেলা থেকেই তার কবিতা রচনায় আগ্রহ জন্মে আর প্রকৃতি তাকে ভীষণভাবে টানত। তার কবিতা প্রথম প্রকাশিত হয় শারদীয়া লীলাময় পত্রিকায়। কবিতার নাম ছিল ক্যানিং লাইনের একটি দৃশ্য। তারপর তার কবিতা প্রকাশিত হয়েছে নয়া বাংলা, কৃষ্ণ, সওগাত, সংহতি, দন্দুভি, প্রভাত, প্রবর্তক প্রভৃতি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়। জীবৎকালে তার একটি মাত্র কাব্যগ্রন্থ- কবি কল্পনা প্রকাশিত হয়েছিল।

গিয়াসুদ্দিনের কাব্যে প্রকৃতি মূল উপজীব্য হলেও প্রকৃতির কোলে আশ্রিত হতদরিদ্র মানুষের কথা তিনি কখনো ভোলেননি। এদের প্রতি ভালোবাসায়, সহমর্মিতায় তাদের ছেড়ে স্বর্গসুখ কবির কাঙ্খিত ছিল না, তাই তার কবিতায় পাই—

" চাই না আমি রাজার প্রাসাদ

চাই না রাজ্যভার

চাইছি শুধু পর্ণকুঠির

থাকবে নদীর ধার।"

সমস্ত রকমের ক্ষুদ্রতা, সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদের বিরুদ্ধেও তিনি ছিলেন অটল যোদ্ধা। তার কবিতার ছত্রে ছত্রে ছিল তার অনড় মানসিকতার পরিচয়।

" কোন সে বিধির কোন সে বিধান

কোন সে কোরাণ-বেদ-পুরাণে

আছে এমন রীতিনীতি?"

বা

"শিশুর বুকে ছুরি মারা

কিংবা তাকে হত্যা করা

কোন বীরত্বের আইন সেটা

কোন সে দেশের এমনধারা?"

পরবর্তীকালে গিয়াসুদ্দিন কলকাতার বেহালা সরশুনা অঞ্চলে পরুই কাঁচা রোডের বুলবুল বাগিচা-র বাসিন্দা হয়ছিলেন। ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১ মার্চ বেহালার শহীদ সুধাসিন্ধু মার্কেট প্রাঙ্গণে লেখক-শিল্পী- বুদ্ধিজীবীদের সংগঠন প্রোগ্রেসিভ রাইটার্স গিল্ড-এর তরফে কবি গিয়াসুদ্দিনকে সংবর্ধনা জানানো হয়। সভাটিতে সভাপতিত্ব করেছিলেন কথাসাহিত্যিক ভবানী মুখোপাধ্যায়

জীবনাবসান সম্পাদনা

কবি গিয়াসুদ্দিন আহমেদ ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের ৭ জুলাই কলকাতায় প্রয়াত হন।


তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, দ্বিতীয় খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, জানুয়ারি ২০১৯ পৃষ্ঠা ১০৮, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-২৯২-৬