গাব
গাব বা বিলাতি গাব একটি ফল। গাব গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Diospyros discolor বা Diospyros blancoi যা Ebenaceae পরিবারভুক্ত। এটি সুস্বাদু ও মিষ্টি ফল। যদিও একে বিলাতি গাব বলা হয়, এর আদি নিবাস ফিলিপাইন[১]। ইংরেজিতে একে velvet apple, velvet persimmon, kamagong, বা mabolo tree বলা হয়।[২])
গাব / বিলাতি গাব Diospyros blancoi | |
---|---|
![]() | |
গাব গাছের ফল | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
শ্রেণীবিহীন: | Angiosperms |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Asterids |
বর্গ: | Ericales |
পরিবার: | Ebenaceae |
গণ: | Diospyros |
প্রজাতি: | D. blancoi |
দ্বিপদী নাম | |
Diospyros blancoi A.DC. |
বিবরণসম্পাদনা
গাব গাছ সর্বোচ্চ ৩৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এর কাণ্ড কালচে, যার ব্যাস ৭০ সে.মি. পর্যন্ত হতে পারে। গাব পাকলে এর রঙ হয় গাঢ় লাল। খোসার উপরটা মখমলের মত। ফলের ভেতরটা নরম, ক্রিমের মতো সাদা বা গোলাপী শাঁস যুক্ত। স্বাদ এবং সুগন্ধ অনেকটা একটি পীচের মতো।[৩] আপেলের আকারের এই ফলগুলো গোলাকার হয়। প্রায় ৩-৪ ইঞ্চি লম্বা ও ২-৪ ইঞ্চি ব্যাসযুক্ত এবং ওজনে ১০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়।এটি বহুল পরিমাণে বাজারজাত করা হয় এবং জনপ্রিয় একটি ফল[৪]।
পুষ্টি উপাদানঃ
প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্য-উপযোগী গাবে রয়েছে ৫০৪ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ৮৩ থেকে ৮৪ গ্রাম জলীয় অংশ, ২ দশমিক ৮ গ্রাম আমিষ, শূন্য দশমিক ২ গ্রাম চর্বি, ১১ দশমিক ৮৮ গ্রাম শর্করা, ১ দশমিক ৮ গ্রাম খাদ্য আঁশ, ১১ দশমিক ৪৭ গ্রাম চিনি, ৪৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৩৫ আইইউ ভিটামিন-এ, ১৮ মিলিগ্রাম ফসফরাস, শূন্য দশমিক ৬ মিলিগ্রাম লোহা, শূন্য দশমিক ২ মিলিগ্রাম থায়ামিন, ১৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি, ১১০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৩০৩ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম।
দেশি গাব নামে অন্য একটি ফল রয়েছে যা সম্পূর্ণ ভিন্ন এক প্রজাতি।
গুনাগুণসম্পাদনা
- ডায়বেটিস রোগির জন্য কাঁচা ও পাকা গাব উপকারী।
- আমাশয় ও পেটের অসুখে গাছের ছাল উপকারী।[৫]
ছবি গ্যালারিসম্পাদনা
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ Boning, Charles R. (২০০৬)। Florida’s Best Fruiting Plants: Native and Exotic Trees, Shrubs, and Vines। Sarasota, Florida: Pineapple Press, Inc.। পৃষ্ঠা 135। আইএসবিএন 1561643726।
- ↑ "Diospyros discolor"। জার্মপ্লাজম রিসোর্স ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক (জিআরআইএন)। কৃষি গবেষণা পরিসেবা (এআরএস), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভে ২০১৬।
- ↑ Hargreaves, Dorothy; Hargreaves, Bob (১৯৭০)। Tropical Trees of the Pacific। Kailua, Hawaii: Hargreaves। পৃষ্ঠা 29।
- ↑ দ্বিজেন শর্মা লেখক; বাংলা একাডেমী ; ফুলগুলি যেন কথা; মে, ১৯৮৮; পৃষ্ঠা-২১, আইএসবিএন ৯৮৪-০৭-৪৪১২-৭
- ↑ আঃ খালেক মোল্লা সম্পাদিত;লোকমান হেকিমের কবিরাজী চিকিৎসা; আক্টোবর ২০০৯; পৃষ্ঠা- ২২৩-২৪
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |