গড়াইটুপি অমরাবতী মেলা
গড়াইটুপি অমরাবতী মেলা চুয়াডাঙ্গা জেলার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের গড়াইটুপি গ্রামে হযরত খাজা মালিক-উল-গাউস (রা.) স্মরণে তার মাজারে অনুষ্ঠিত হয়।[১] সকলের কাছে এই মেলা গড়াইটুপি মেটেরী মেলা নামেই অধিক পরিচিত। আনুমানিক প্রায় ৪শ বছর পূর্ব থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বাংলদেশের ঐতিহ্যবাহী গড়াইটুপি মেটেরী মেলা।[২] মেলাটির সাথে মিশে আছে চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্য। দেশের প্রায় ৪৭ জেলার মানুষের মিলন মেলায় পূর্ণ হতো অমরাবতী মাঠ।[৩]
ইতিহাস সম্পাদনা
কথিত আছে, হযরত খাজা মালিক উল গাউস (রা.) (মল্লিক শাহ্) একজন সাধক ছিলেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা গড়াইটুপি গ্রামে একটি নির্জন মাঠে আস্তানা গড়ে তোলেন। সেখান থেকে তিনি ইসলাম ধর্ম প্রচার করতেন। তৎকালীর রাজা গৌরগোবিন্দ নামের হিন্দু শাসকের বিরুদ্ধে ধর্মীয় প্রচারক হিসেবে এই এলাকায় পীর পরিচিতি লাভ করেন। রাজা গৌরগোবিন্দের করারোপের বিরুদ্ধে ও ধর্মীয় প্রচারক হিসেবে সমাদৃত হন।
সেখানে তিনি বাংলা সনের ৭ আষাঢ় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গড়াইটুপি গ্রামের মাঠের মধ্যে তার মাজার আছে। প্রতিবছর ৭ আষাঢ় হযরত খাজা মালিক-উল-গাউস (রা.) স্মরণে ৭ দিনব্যাপী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। যা মেটেরি মেলা নামে পরিচিত।[১]
২ বছর মহামারী করোনা ভাইরাসসহ নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে বিগত ৫ বছর কয়েক শত বছরের ঐতিহ্যবাহী গড়াইটুপি মেটেরি মেলা বন্ধ রয়েছে।[৪]
মেলার সময়সূচি সম্পাদনা
প্রতিবছর ৭ আষাঢ় হযরত খাজা মালিক উলগাউস (রাঃ) স্মরণে সাত দিন ব্যাপী মেলা অনুষ্ঠিত হয়।[৫]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ "ঐতিহ্য হারাতে বসেছে অম্রবুচি : বিগত ৪ বছর বন্ধ মেটেরি মেলা; সরকার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত"। sorboseshsangbad.com। ২০২২-০৯-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-০৫।
- ↑ "চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ গড়াইটুপি ঐতিহ্যবাহী অম্রবর্তী মেলার অনুমোদন শেষ মিথ্যা প্রতিশ্র"তিতে আটকে পড়েছে সার্কাস ও যাত্রা মালিকেরা"। dailysomoyersomikoron.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-০৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "চুয়াডাঙ্গা গড়াইটুপির মেটেরি মেলা সর্ম্পকে যারা জানতে যান"। www.rmctvnews.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-০৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী মেটেরি মেলা দেখতে চায় এলাকাবাসী"। mathabhanga.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-০৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "গড়াইটুপি অমরাবতী মেলা"। chuadanga.gov.bd। ২০২২-০৯-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-০৫।