খাজা মোহাম্মদ কায়সার
খাজা মোহাম্মদ কায়সার একজন বাংলাদেশী কূটনীতিক এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি।[১][২]
জীবনের প্রথমার্ধ সম্পাদনা
কর্মজীবন সম্পাদনা
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কায়সার ১৯৭১ সালে চীনে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।[৩] অন্যান্য বাঙালি কূটনীতিকদের মতো তিনি বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।[৩] ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি চীনে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।[৪] পরে তিনি বাংলাদেশে চলে আসেন।[৫]
কায়সার ১৯৭৫ সালে মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন[৬] জুলাই মাসে, রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান তাকে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি নিযুক্ত করেন।[৬] শেখ মুজিবুর রহমান অভ্যুত্থানে নিহত হওয়ার পর তার নিয়োগ বাতিল করা হয় এবং তাকে চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত করা হয়।[৬] তিনি তার স্ত্রীর হার্টের অবস্থা এবং অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনীয়তার কারণে এই আদেশের বিলম্ব চেয়েছিলেন।[৬] তিনি শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যাকারী সেনা কর্মকর্তাদের নিরাপদে থাইল্যান্ডে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন এবং বিনিময়ে বাংলাদেশে আটক ছয়টি থাই মাছ ধরার ট্রলার ছেড়ে দেন।[৬] তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে ভারতের প্রতিক্রিয়ারও সমালোচনা করেছিলেন।[৬]
১৯৭৬ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত কায়সার জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন।[৭]
কায়সার ১৯৮১ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের ৩৬ তম সাধারণ পরিষদের সভাপতি হওয়ার জন্য লড়েছিলেন। কিন্তু ভোটের তৃতীয় রাউন্ডে ইরাকের ইসমত কিত্তানির কাছে হেরে যান।[৮] তিনি প্রথম রাউন্ডে তৃতীয় এবং দ্বিতীয় দফা ভোটে দ্বিতীয় হন।[৮]
১৯৮৪ সালে, কায়সার দুই বছরের মেয়াদে চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন।[৪]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "Some More Bengalis, Pre- and Post-1971 | Daily Sun"। daily sun (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-১৮।
- ↑ "Foreign Relations of the United States, 1977–1980, Volume XIX, South Asia - Office of the Historian"। history.state.gov। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-১৮।
- ↑ ক খ গ Ahsan, Syed Badrul (২০১২-০৩-২৮)। "Old images from a long-ago war"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-১৮।
- ↑ ক খ "OP-ED: The Chinese dilemma"। Dhaka Tribune। ২০২১-০১-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-১৮।
- ↑ Outlook; a Journal of Opinion (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯৭২। পৃষ্ঠা 7।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ O'Brien, Terence। "Confidential" (পিডিএফ)। Network Myanmar।
- ↑ "Permanent Representatives of Bangladesh to the UN through the Years"। Permanent Mission of the People's Republic of Bangladesh to the United Nations (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৮-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-১৮।
- ↑ ক খ Times, Special to the New York (১৯৮১-০৯-১৬)। "IRAQI IS PRESIDENT OF U.N. ASSEMBLY"। The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৬-১৮।