খসড়া:শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ

পরিচয় সম্পাদনা

শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ
অবস্থান
কুতুবপুর, কেন্দুয়া, নেত্রকোণা
তথ্য
প্রতিষ্ঠাকাল2006
প্রতিষ্ঠাতাড. হুমায়ুন আহমেদ
শ্রেণীষষ্ঠ থেকে দশম
লিঙ্গছেলে ও মেয়ে
ভাষাবাংলা
শিক্ষায়তন৩৩ একর

শহীদ স্মৃতি বিদ্যপীঠ (Shaheed Smriti Bidyapeeth) নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলাধীন রোয়াইলবাড়ী আমতলা ইউনিয়নে গ্রামীণ প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে অবহেলিত শিক্ষা বঞ্চিত বিশাল জনঅধ্যসিত এলাকায় শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ (মাধ্যামিক) ২০০৬ সাল থেকে পূর্ণঙ্গ   ভাবে চালু  হয়ে শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছে । ৩০ কাঠা জমির উপর এক কোটি টাকার অধিক ব্যায়ে নির্মিত স্কুলটি অত্যাধুনিক স্থাপত্য নকশায় সুরম্য ভবন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের  স্মৃতি ধরে রাখার জন্য নির্মিত অত্যাধুনিক শহীদ মিনার, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক অসামন্য গ্রন্থাগার; যার নাম শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদ পাঠাগার । এতে রয়েছে ৪ হাজারেরও বেশি বই, মুক্তিযুদ্ধের দুর্লভ আলোকচিত্র, দলিল পত্র এবং বই পড়ার সু- ব্যবস্থা । সুপরিসর খেলার মাঠ, আধুনিক শিক্ষোপকরণ, মাল্টিমিডিয়া[১]


ইতিহাস সম্পাদনা

লেখালেখির মাধ্যমে সাধারণ বাঙালির পাঠ প্রবনতা বৃদ্ধি ও সাহিত্যরস ছড়িয়ে দেয়ার নায়ক ড. হুমায়ুন আহমেদ । কথা সাহিত্যিক ড. হুমায়ুন আহমেদ এর পিতা শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদ । সুদূর গভীর মফস্বল  কুতুবপুর থেকে হেটে রওনা দিয়ে ছিলেন অচেনা কোন এক বিদ্যালয়ের খোঁজে, কেননা তার জম্মগ্রাম তো ছরে থাক সেই ব্রিটিশ আমলে কুতুবপুরের ১০০ মাইলের মধ্যেই কোন বিদ্যালয় ছিলনা । তারপর ও দমেননি তিনি, শিক্ষার আলো ঠিকই খুঁজে নিয়েছিলেন তারই ধারাবাহিকতায় আজকের সুযোগ্য পুত্র হুমাযূন আহমেদ । পুত্রের নাম কীর্তি কিছুই দেখে যাননি পিতা , তার আগেই দেশের জন্য অসীম বীরত্নের সংগে শহীদ হয়েছেন । তবে পুত্রের অন্তরে আলো ঠিকই জ্বেলে গিয়েছেন পিতা। তাইপ্রতিষ্ঠিত পুত্র তার মায়ের দেখা স্বপ্ন পূরণের জন্য এলাকার মানুষের ব্যাপক উৎসাহও সহযোগীতায় তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন তার এবং তার কয়েক পুরুষের জন্মগ্রামে অসামান্য ও অনিন্দ এক বিদ্যানিকেতন । মুক্তিযোদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ এর মে মাসে কথাশিল্পি হুমায়ুন আহমেদর বাবা পুলিশ অফিসার ফয়জুর রহমান আহমেদ পাকিস্তানের হাতে নিহত হন। বাবা সহ মুক্তিযোদ্ধের নাম জানা-অজানা সব শহীদের স্মরণে বিদ্যানিকেতনের নামকরণ করা হয় “শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ”১৯৯৬ সালে অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের ভিত্তি প্রস্তর  স্থাপন করেন । এককোটি টাকার অধিক ব্যয়ে ২৪টি শ্রেণীকক্ষ সমৃদ্ধ নির্মিত ভবনের নকশা করেছেন হুমায়ুন আহমেদের স্ত্রী অভিনেত্রী স্থপতি মেহের আফরোজ শাওন । ২০০৮ সালে শুধুমাত্র ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে প্রতি শাখায় ২৪জন করে দুই শাখায় মোট ৪৮জন শিক্ষার্থী ৫ জন শিক্ষক ও দুজন কর্মচারী নিয়ে যাত্রা শুরু হয়ে বর্তমানে ১৪জন শিক্ষক দুজন কর্মচারী এবং মাধ্যমিক একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করলেও এমপিওভুক্ত হয়নি। প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় খরচ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ড.হুমায়ুন আহমেদ স্যার ও পরবর্তিতে তার স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন বহন করছেন ।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. kendua.netrokona.gov.bd https://kendua.netrokona.gov.bd/en/site/top_banner/TwE6-%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%80%E0%A6%A0। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-২১  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  2. kendua.netrokona.gov.bd https://kendua.netrokona.gov.bd/en/site/top_banner/TwE6-%E0%A6%B6%E0%A6%B9%E0%A7%80%E0%A6%A6-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A7%80%E0%A6%A0। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১২-২১  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)