খসড়া:খাজা ফরিদপুরী

শাহ সূফি খাজা ফরিদপুরী
জন্ম
পাকুরিয়া দরবার শরীফ, পাকুরিয়া, শেরপুর
মৃত্যু১ মে ২০০১
বনানী দরবার শরীফ, ঢাকা ।
অন্যান্য নামখাজা বাবা ফরিদপুরী, গাউসুল আজম ফরিদপুরী
উল্লেখযোগ্য কর্ম
ইসলাম প্রচার,বিশ্ব জাকের মঞ্জিল আটরশি দরবা্‌র প্রতিষ্ঠা,জাকের পার্টী,
সন্তানপীরজাদা মাহফুজুল হক মুজাদ্দেদী পীরজাদা মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী
ওয়েবসাইটsufibad.com

বিশ্বওলি খাজা বাবা ফরিদপুরী (রাঃ) সাহেব বেশি পরিচিত খাজা ফরিদপুরী বা আটরশি পীর নামে। বিশিষ্ট পীর ও সাধক খাজা ফরিদপুরী (রাঃ) জন্ম গ্রহণ করেন পাকুরিয়া দরবার শরীফ, পাকুরিয়া, শেরপুরে। তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত সুফী সাধক। তার পিতার নাম শাহ সুফী মৌলানা আবদুল আলিম। তিনি এলাকায় খাজা পীর বলেই বেশি পরিচিত ছিলেন। নিজ যোগ্যতায় তিনি খাজা ইউনুস আলী এনায়েতপুরী সাহেবের সত্তর লাখ মুরিদানের মধ্যে শীর্ষস্থান অধিকার করে প্রাপ্তহন তরীকতের সর্বোচ্চ খিলাফত। এই তরিকা নকশবন্দি-মুজাদ্দিদিয়া তরিকা নামে পরিচিত। খাজা ফরিদপুরী ভোগবিলাসী জীবনযাপনের চরম বিরোধী ছিলেন। তিনি ইসলামের মর্মবাণী-তরিকত দর্শন প্রচারের পাশাপাশি সমাজসেবা মুলক কাজেও রেখেছিলেন অনন্য অবদান। খাজা ফরিদপুরী কে ভক্তবৃন্দ সুলতানুল আউলিয়া এবং চিরস্থায়ী সংস্কারের জন্য আখেরী মুজাদ্দেদ বলে অভিহত করেন। তিনি ১লা মে ২০০১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

ব্যক্তিগত জীবন

সম্পাদনা

খাজা ফরিদপুরী (রাঃ) ছাহেব জন্ম ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দ। তিনি ইলমে তাসাউফ শিক্ষা ও গবেষণা জন্য ১০ বছর বয়সে সিরাজগঞ্জ জেলার প্রখ্যাত সূফিসাধক খাজা ইউনুস আলীকে অনুসরণ করেন । উপমহাদেশের প্রখ্যাত ধর্মীয় নেতা, ওলিয়ে-কামেল ফরিদপুরের হযরত শাহ্ সুফি খাজা ফরিদপুরী ইসলাম প্রচারে এক অবিসংবাদিত নেতা।

বিশ্ব জাকের মঞ্জিল জাতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান। এখানের সমস্তই মানব কল্যাণের জন্য। এই বহুমুখী প্রতিষ্ঠানে আছে আলীয়া মাদ্রাসা, সোনালী ব্যাংকের শাখা, পোষ্ট অফিস, টেলিফোন এঙ্চেঞ্জ, আছে ৬০০ শয্যাবিশিষ্ট(প্রস্তাবিত) একটি হাসপাতাল (নির্মাণাধীন); আছে সম্পূর্ণ পাথর নির্মিত দ্বিতল একটি মসজিদ (নির্মাণাধীন) ইহা ছাড়াও জাকেরানদের থাকিবার জন্য আছে বহু অট্টালিকা।

মাদ্রাসার ছাত্রদের ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে প্রতিদিন শত শত, হাজার হাজার তালেবে মাওলাগণ আসে। তাহাদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়-শরীয়ত, তরিকত, হকিকত ও মারেফাত তথা পূর্ণাংগ ইসলাম সম্পর্কে। দিবা-নিশি ২৪ ঘন্টা চলে এই প্রশিক্ষণ কর্ম। যাহারা জাগতিক সমস্যা লইয়া আসে, সেই সমস্যা সমাধানের উপদেশ দানের মাধ্যমেই আমি তাহাদেরকে আধ্যাত্মিকতা শিক্ষা দেই; খোদাতায়ালার দিকে পথ দেখাই। তাহাদের প্রত্যেকের জিহ্বাতেই এক ফোটা করিয়া আধ্যাত্নিক মধু প্রদান করি; যে অমীয় মধুর মিষ্টি স্বাদে ও আকর্ষণে পুনঃপুনঃ তাহারা আসে আল্লাহ ও রাসূল (সাঃ) এর এই দরবারে, আরও অধিক মধু পানের অতৃপ্ত তৃষ্ণায়।

শ্রেষ্ঠ অবদান

সম্পাদনা

বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের সমুদয় সম্পত্তি ট্রাস্ট করিয়া যান। তাহার নিজ পুস্তুকে তিনি বলেন, "আমি শূন্য হাতে আসিয়া ছিলাম, রিক্ত হস্তেই যাইতে মনস্ত করিয়াছি; মিছকিন হালাতে আসিয়াছিলাম, মিছকিন হালতেই যাইতে চাই। সেই জন্য আল্লাহতায়ালার অপূর্ব এই দান-বিশ্ব জাকের মঞ্জিল বিশ্বের মোসলমান্দের তীর্থস্থান হিসেবে, খোদাঅন্বেষীদের খোদাপ্রাপ্তির প্লাটফর্ম হিসেবে রেজিষ্ট্রিভুক্ত করিয়া ট্রাস্ট করিয়া গেলাম। আমি ছিলাম খোদাতায়ালার রাস্তার মোসাফির। পীর কেবলাজান আমাকে বলিয়াছিলেন, 'তুই আল্লাহর রাহে মোসাফির।' আমিও আমার অর্ধ শতাব্দির পরিশ্রমের ফসল - বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের সমুদয় সম্পত্তি ট্রাস্ট করিয়া নিজ সন্তানদিগকে আল্লাহর রাহে মোসাফির করিয়া গেলাম। তাহাদেরকে খোদাতায়ালার হাতে সোপর্দ করিলাম ।"

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম

সম্পাদনা

তৎকালীন সেনাশাসিত সরকারে সেনা বাহিনিতে তিঁনার ভূমিকা নিয়ে ফার ইষ্টার্ন ইকোনমিক রিভিয়্যুর পত্রিকায় শিরোনাম হয়, ” Shah Sufi Faridpuri, a Highly popular muslim saint disagrees with His military devotees on power sharing”

সংবিধানের ৮ম সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম কে ইসলাম ঘোষণা করা হয়।সংবিধানের ৮ম সংশোধনী বিলের মাধ্যমে রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে ইসলাম গৃহিত হবার পর তৎকালিন রাষ্ট্রপতি এরশাদ তার বক্তব্যে বলেন,

” আমি আমার মুর্শিদ বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পীর হযরত ফরিদপুরী কেবলাজান হুজুরের শিক্ষাই এই পদক্ষেপের অনুপ্রেরনার উৎস হিসাবে নিয়েছি। তিঁনারই কারনে আজকের স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম।”

সম্পাদনা

এই বিল মহান সংসদে পাশ হবার পরদিন রাষ্ট্রপতি এরশাদ এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা মওদুদ আহমদ বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে গমন করে হযরত খাজা ফরিদপুরী কেবলাজান হুজুরের কদমে তাঁদের ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা ব্যক্ত করেন।

বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের অপরিসীম ভুমিকায় সংবিধানের ৮ম সংশোধনী বিল দ্বারা ইসলামই কেবল রাষ্ট্রীয় ধর্ম হিসাবে স্বীকৃতি পায়নি। একই সঙ্গে এই বিলে অন্যান্য সকল ধর্ম প্রচার ও পালনের অধিকারও স্বীকৃতি পেয়েছে। সংবিধানের ৮ম সংশোধনী বিল এদেশের ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের প্রবক্তাদের সমস্ত উদ্দেশ্য ভেস্তে দিয়েছে।

সূফী ইসলামের তাৎপর্য এই যে, আদর্শ ভিত্তি করেই ইসলামের সাবর্জনীন আদর্শ বৃহত্তর জনগোষ্ঠির ঐক্যের যেমন ভিত্তি হবে তেমনি স্বাধীন জাতিসত্তার ধারা সৃষ্টি করে এদেশের ইতিহাসে অবিস্মরনীয় হয়ে থাকবেন বিশ্ব জাকের মঞ্জিল পাক দরবার শরীফের মহামহিম প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বওলী খাজা ফরিদপুরী (কুঃছেঃআঃ) ছাহেব।

সংবিধাবের ৮ম সংশোধনী বিল পাশ হওয়ার পর বিশ্ব জাকের মঞ্জিল দরবার শরীফে শোকরানা মিলাদ শরীফ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। তখন দেশের খ্যাতনামা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় শিরোনাম করা হয় এভাবে,

” ৯ কোটি মুসলামানের আশা পূরন হয়েছে- আটরশির পীর ছাহেব” দৈনিক ইনকিলাব ২০ জুন, ১৯৮৮

দৈনিক বাংলা ২০ জুন’ ১৯৮৮ সালের তাদের পত্রিকার আর্টিকেলে লিখেন,

” বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পীর ছাহেব হযরত মাওলানা শাহসূফী ফরিদপুরী (মাঃজিঃআঃ) ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষনায় আল্লাহতায়ালার দরবারে শুকরিয়া আদায় করে বলেছেন, ” ভিন্ন ধর্মাবলম্বী নাগরিকদের নিজ নিজ ধর্ম পালন ও তাদের আর্থ-সামাজিক অধিকার ভোগের ব্যবস্থা ইসলামের বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রকে করতে হবে। পীর ছাহেব সম্প্রতি এক নসিহতে বলেন, ইসলাম আল্লাহতায়ালার মনোনীত ধর্ম। এই ধর্মের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে দেশের ৯ কোটি মুসলমানের ঈমানের বিজয় হয়েছে। তিনি সংঘাতমুক্ত,শ্রেনী ভেদাভেদহীন সাম্য ও সম্প্রীতি সৃষ্টির উপদেশ দিয়ে বলেন,শুধু মুসলমানকে নয় সমগ্র মানবজাতিকে ভালোবেসে আশরাফুল মাকলুকাত হবার সৌভাব অর্জন করতে হবে।

যারা এখনো রাষ্ট্র ধর্মের বিরোধীতা করছেন, তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে আসার আহবান জানিয়ে পীর ছাহেব বলেন, যারা আমাদের আত্নপরিচয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে চান মুসলমানগন তাদের মোকাবেলা করবে।”

তাই গর্ব করে বলতে পারি, বিশ্ব জাকের মঞ্জিল শুধু মাত্র পীর-মুরিদীর জন্য নয়। এখানে মানুষকে সত্যিকারে মানুষ হওয়ার শিক্ষা দেয়া হয়। পারিবারিক বন্ধন,সামাজিক বন্ধন, রাষ্ট্রিয় সম্প্রীতির শিক্ষা দেয়া হয় বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে।

রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা

সম্পাদনা

আটরশির পীর শাহসূফি হজরত খাজাবাবা ফরিদপুরী (রাঃ) ছাহেব ফরিদপুরের বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে ১৪ই অক্টোবর ১৯৮৯ সালে রহমতের সময় জাকের পার্টির ফলক উন্মোচন করেন। তিনি তার ছোট ছেলে পীরজাদা খাজা মোস্তফা আমীর ফয়সল কে দলের চেয়ারম্যান হিসাবে নিযুক্ত করেন।

উত্তরাধিকার ও খেলাফত দান

সম্পাদনা

খাজা ফরিদপুরী তথা আটরশি পীর উত্তরাধিকার ও খেলাফত দান সম্পর্কে তাহার লেখা "বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পরিচালনা-পদ্ধতি" তে উল্লেখ করেন;- আমার অবর্তমানে আমার দুই ছেলেই  ( মাহফুযুল হক মুজাদ্দেদীমোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী ) হেদায়েতের দায়িত্ব পালন করিবে। হেদায়েতের মুল দায়িত্ব থাকিবে বড় ছেলের উপর। সে আমার স্থলাভিষিক্ত হইবে।  এই খানকা শরীফ হইতে সত্য তরিকা প্রচার, খোদাতালাসীদের তালিম প্রদান, জাকেরানদের দেখাশুনা করা, উপদেশ দেওয়া ইত্যাদি দায়িত্ব পালন করিবে বড় ছেলে মাহফুযুল হক মুজাদ্দেদী। আর জাকেরানদের নিয়ে সভা সমিতি করা, দেশের সর্বত্র এবং দেশের  বাইরে তথা বহির্বিশ্বে আমার এ সত্য তরিকা প্রচারের এবং ট্রাস্টের কর্যাবলী সম্পন্ন করার দায়িত্ব থাকিবে ছোট ছেলে মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদীর উপর। দুইজনের কর্মকান্ডই মূলত: একই কাজের দুইটি অংশ। এইকাজ ইসলামের সত্য আদর্শ প্রচারের কাজ। আমার অবর্তমানে তাহারা দুইজন পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে এ কাজকে সম্মুখে আগাইয়া নিবে। এক্ষেত্রে একজন  অপর জনের পরিপূরক।  এক্ষেত্রে ছোট ছেলে বড় ছেলেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করিবে এবং বড় ছেলে ছোট ছেলের উপদেষ্টা থাকিবে।

দুই ছেলেকে যে দায়িত্ব দেওয়া হইলো তাহা পালনের যোগ্যতা ও গুণাগুণ উভয়েরই আছে। তাহাদের উভয়কেই ইসলামের জাহেরী ও বাতেনী- উভয় শিক্ষাই প্রদান করা হইয়াছে।

পরবর্তী সময়ে ছেলেদ্বয়ের অবর্তমানে আমার বংশের পুত্রগণ একইভাবে কাজ পরিচালনা করিবে। যদি কখনও আমার বংশে কোন পুত্রসন্তান না থাকে, তবে জাকের ফাউন্ডেশন কিভাবে চলিবে, তাহা নির্ধারণ করিবেন তৎকালীন সরকার। শরীয়তের বিধানমতে কোন কন্যা সন্তান এই আধ্যাত্মিক প্লাটফর্ম বা খোদাপ্রাপ্তিতত্ত্বজ্ঞান শিক্ষা দানকেন্দ্রের দায়িত্ব গ্রহণ করিতে পারিবে না।

অন্তিম বানী

সম্পাদনা

জীবনের শেষ প্রান্তে আসিয়া আমি সমুদয় জাকেরান ও আশেকানদেরকে আমার নির্দেশ জানাইয়া দিলাম। যাহারা আমার মুরীদ তাহারা কস্মিনকালেও আমার নির্দেশের বাহিরে যাইবে না। তোমরা শরীয়তের বিধান মত চলিবে। কখনও শরীয়তের খেলাফ কিছু করিবে না। তরিকতের নিয়ম অনুযায়ী চলিবে। জাকের পার্টির শক্তি বৃদ্ধিতে সর্বদা প্রয়াস চালাইবে। যে দিক নির্দেশনা এই পুস্তকে দেওয়া হইল ; যদি সেই অনুযায়ী চলিতে পার, তবে ইহকাল-পরকাল কোথাও ঠেকিবে না। আল্লাহ তোমাদের দয়া করুন। আমীন!

মৃত্যু ও সমাধিস্থল

সম্পাদনা

ঢাকায় তার নিজস্ব বাস ভবন বনানী দরবার শরীফ তথা জাকের পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১লা মে ২০০১ সালে ইন্তেকাল করেন। পরে তাকে ফরিদপুর জেলা সদরপুর উপজেলায় বিশ্ব জাকের মঞ্জিল আটরশি দরবারে জানাযা শেষ করে, সেখানেই তাকে দাফন ( মাজার ) করা হয়। তার জানাজা নামাজের ইমামতি করেন বাইতুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব অধাক্ষ্য মাওলানা সালাউদ্দিন আহমেদ

আরো দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা

[২] রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণায় হযরত শাহ সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরী(কূঃ) ছাহেবের ভূমিকা - সূফিবাদ.কম

[৩] আটরশি পীরের জীবনী

[৪] সাধনা, বিশালত্বে আটরশি পীর ও তাঁর দরবার ; দৈনিক পূর্বকোণ

[৫] হজরত ফরিদপুরীর সঙ্গে চিত্রবাংলা প্রতিনিধির বিশেষ সাক্ষাৎকার