আধুনিক সমরাস্ত্রে ক্ষেপণাস্ত্র (ইংরেজি: missile) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ক্ষেপণাস্ত্র হচ্ছে স্ব-প্রণোদিত (সেলফ প্রপেলড) সিস্টেম। ক্ষেপণাস্ত্র চারটি অংশ নিয়ে গঠিত: টার্গেটিং অথবা গাইডেন্স, ফ্লাইট সিস্টেম, ইঞ্জিন এবং ওআর হেড। ক্ষেত্রবিশেষে নানারকম কাজের জন্য বিশেষভাবে তৈরিকৃত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়, যেমন: ভুমি থেকে ভুমি এবং আকাশ থেকে ভুমি, আকাশ থেকে আকাশ, ভুমি থেকে আকাশ অথবা অ্যান্টি-স্যাটেলাইট ক্ষেপণাস্ত্র।

টেস্ট স্ট্যান্ড VII থেকে একটি ভি ২ ক্ষেপণাস্ত্র' নিক্ষেপ, ১৯৪৩ সাল

নামকরণ এবং ব্যবহারসম্পাদনা

ক্ষেপণাস্ত্র শব্দটি এসেছে ল্যাটিন ক্রিয়াপদ মিটের অর্থাৎ "কিছু পাঠানো" থেকে। সমরাস্ত্রে কোনো কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্যে প্রক্ষেপন করাকে কয়েকভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়:

  • নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ছোড়া শক্তিশালী গাইডেড গোলাবারুদকে ক্ষেপণাস্ত্র অথবা গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র বলে।
  • শক্তিশালী কিন্তু গাইডেড নয় এরকম প্রক্ষেপন করা যায় এইরকম গোলাবারুদকে রকেট বলে।

প্রকার ভেদসম্পাদনা

ব্যালিস্টিকসম্পাদনা

 
আর-৩৬ ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ

ক্রজসম্পাদনা

আন্টি শিপসম্পাদনা

আন্টি ট্যাঙ্কসম্পাদনা

সারফেস টু এয়ারসম্পাদনা

আন্টি এয়ারক্রাফটসম্পাদনা

 
মিম-১০৪ প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হচ্ছে

আন্টি ব্যালিস্টিকসম্পাদনা

এয়ার টু এয়ারসম্পাদনা

হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রসম্পাদনা

 
হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র

রাশিয়া নতুন এক ধরনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উদ্ভাবন করার দাবি করেছে যার নাম আভনগার্ড হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। এটি চলে শব্দের চেয়ে বিশগুণ বেশি গতিতে। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ তে রাশিয়া পরীক্ষামূলকভাবে এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায়। এই পরীক্ষায় ক্ষেপনাস্ত্রটি উরাল পর্বতমালা থেকে উৎক্ষেপিত হয়ে ছয় হাজার কিলোমিটার দূরে দূরপ্রাচ্যের কানচাকায় গিয়ে আঘাত হানে। হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপনের পর খুব দ্রুত উপরে উঠে আবার দ্রুত নেমে আসে। এরপর আনুভূমিকভাবে বায়ুমন্ডলের মধ্যেই চলতে থাকে এবং চলমান অবস্থাতেও গতিপথ পরিবর্তন করা যায়, যা ব্যালিস্টিক মিসাইল থেকে ভিন্ন।[১]

তথ্যসূত্রসম্পাদনা