ক্লাইভ ওয়েন

ব্রিটিশ অভিনেতা

ক্লাইভ ওয়েন (ইংরেজি: Clive Owen; জন্ম: ৩ অক্টোবর ১৯৬৪)[] হলেন একজন ইংরেজ অভিনেতা। তিনি যুক্তরাজ্যে আইটিভির ধারাবাহিক চেন্সার-এ ১৯৯০ থেকে ১৯৯১ সালে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করে প্রথম পরিচিতি অর্জন করেন। ক্লোজ মাই আইজ (১৯৯১) ছবিতে তার কাজের জন্য তিনি সমাদৃত হন এবং ক্রুপিয়ার (১৯৯৮) ছবিতে একজন লেখক চরিত্রে কাজ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সকলের নজরে আসেন। ২০০৪ সালে নাট্যধর্মী ক্লোজার চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে বাফটা পুরস্কারগোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতার জন্য একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।

ক্লাইভ ওয়েন
Clive Owen
২০০৯ সালে বার্লিনালেতে ওয়েন
জন্ম (1964-10-03) ৩ অক্টোবর ১৯৬৪ (বয়স ৬০)
জাতীয়তাব্রিটিশ
মাতৃশিক্ষায়তনরয়্যাল একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্ট
পেশাঅভিনেতা
কর্মজীবন১৯৮৮-বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীসারা জেন ফেন্টন
(বি. ১৯৯৫)
সন্তান

ওয়েন সিন সিটি (২০০৫), ডেরেইল্ড (২০০৫), ইনসাইড ম্যান (২০০৬), চিলড্রেন অব মেন (২০০৬) ও দি ইন্টারন্যাশনাল (২০০৯) চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন। ২০১২ সালে তিনি হেমিংওয়ে অ্যান্ড গেলহর্ন-এ অভিনয়ের জন্য মিনি ধারাবাহিক বা টিভি চলচ্চিত্রে সেরা মুখ্য অভিনেতা বিভাগে তার প্রথম প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। সিনেম্যাক্সের চিকিৎসা নাট্যধর্মী ধারাবাহিক দ্য নিক-এ ডক্টর জন ডব্লিউ. থ্যাকারি চরিত্রে তার কাজের জন্য তিনি একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

ওয়েন ১৯৬৪ সালের ৩রা অক্টোবর ওয়ারউইকশায়ারের কভেন্ট্রিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জেস ওয়েন ছিলেন একজন কান্ট্রি ও পশ্চিমা ধারার গায়ক এবং মাতা পামেলা কটন। তিনি তার পিতামাতার পাঁচ সন্তানের মধ্যে চতুর্থ। তার যখন তিন বছর বয়স, তার পিতা পরিবার ছেড়ে চলে যান। তার ১৯ বছর বয়সে তারা পুনরায় অল্প কিছুদিনের জন্য একত্রিত হন এবং আবার আলাদা হয়ে যান।[] তিনি তার মাতা ও সৎ বাবার আশ্রয়ে বড় হন। তার সৎ বাবা ছিলেন রেলওয়ের টিকেট কেরানী।[] ওয়েন তার বাল্যকালকে "কঠিন সময়" বলে উল্লেখ করেন। শুরুতে তিনি নাট্য স্কুলে ভর্তি হতে অনিচ্ছুক হলেও পরে তিনি কিছুকাল কাজের সন্ধানে ব্যর্থ হওয়ার পর ১৯৮৪ সালে মত পাল্টান। তিনি রয়্যাল একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্ট থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পড়াশোনা শেষ করে তিনি ইয়ং ভিসে কয়েকটি শেকসপিয়ারীর নাটকে অভিনয় করেন।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Clive Owen"বায়োগ্রাফি (ইংরেজি ভাষায়)। এঅ্যান্ডই টেলিভিশন নেটওয়ার্কস। ২৩ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৮ 
  2. ম্যাহের, কেভিন (৮ সেপ্টেম্বর ২০০৭)। "Clive Owen's orgy of violence"দ্য টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৮ 
  3. উডি, গেবি (১১ জুলাই ২০০৪)। "Interview: Clive Owen"দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা