ক্রেতাকেন্দ্রিকীকরণ
উৎপাদন ব্যবস্থাপনাতে সুনির্দিষ্ট ক্রেতার (ব্যক্তি, দল বা প্রতিষ্ঠান) জন্য উপযোগী করে অর্থাৎ ক্রেতার পছন্দ, রুচি, প্রয়োজন, চাহিদা, ক্রয়ক্ষমতা বা ফরমায়েশ অনুযায়ী পণ্য বা সেবা উৎপাদন, সরবরাহ ও বণ্টন করা এবং পণ্য বাজারজাতকরণ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার প্রক্রিয়াকে ক্রেতাকেন্দ্রিকীকরণ বা ক্রেতাকেন্দ্রিকতা (ইংরেজিতে Customization বা Personalization) বলে। বাস্তবপক্ষে সাধারণত ক্রেতার জন্য অদ্বিতীয় এরকম একটি পণ্য বা সেবা উৎপাদন করা অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল, তাই বেশিরভাগ উৎপাদক কিছু মান বা আদর্শ বৈশিষ্ট্যবিশিষ্ট দ্রব্য বা সেবা তৈরি করে, যেগুলির কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য বদলানোর সুযোগ থাকে; এছাড়া কিছু অতিরিক্ত সুবিধা যোগ করার পছন্দও ক্রেতাকে প্রদান করা হয়।[১]
ক্রেতাকেন্দ্রিকীকরণ প্রক্রিয়াতে প্রতিটি ক্রেতার চাহিদা ভালভাবে নির্ধারণ করা হয় এবং তা পূরণের জন্য পণ্য ও সেবা উৎপাদন করা হয়। বর্তমানের তীব্র প্রতিযোগিতার যুগে, তথ্য ও টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবস্থার উন্নয়নের সাথে সাথে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের উৎপাদন ব্যবস্থা নমনীয় করেছে। এর উদ্দেশ্য প্রতিযোগিতায় নিজের পণ্যকে আলাদা করা, ক্রেতার সন্তুষ্টি বৃদ্ধি করা ও মার্কার মূল্যবৃদ্ধি।
ইন্টারনেটে সামাজিক গণমাধ্যমের যুগে এসে ব্যক্তিবিশেষকে লক্ষ্য করে ক্রেতাকেন্দ্রিকীকরণ একটি আধুনিক ব্যবসায় মডেলে পরিণত হয়েছে। গুগল ও ফেসবুকের মতো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলি ক্রেতাকেন্দ্রিক বিজ্ঞাপনের সুবিধা প্রদান করে তাদের সিংহভাগ আয় উপার্জন করে। ক্রেতার ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ-ই এখন এক ধরনের পণ্যে পরিণত হয়েছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Jonathan Law (২০১৬), A Dictionary of Business and Management, Oxford University Press