কে-বিউটি
কে-বিউটি (কোরীয় ভাষা : 케이뷰티; RR : Keibyuti) হল দক্ষিণ কোরিয়া থেকে প্রাপ্ত ত্বকের যত্ন পণ্যগুলির একটি আখ্যা।[১][২][৩] এটি এখন বিশ্ব ব্যাপী জনপ্রিয়তা অজর্ন করেছে বিশেষ করে পূর্ব এশিয়া,[৪][৫] দক্ষিণ এশিয়া[৬][৭][৮], দক্ষিণ- পূর্ব এশিয়া[৯][১০][১১] এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যায়[১২][১৩][১৪][১৫][১৬] প্রধান লক্ষ্য স্বাস্থ্য, হাইড্রেসন এবং পিগমেণ্ট[১৭][১৮][১৯] কে-বিউটি কোরিয়ার প্রচার করতেও যুক্ত (Korean Wave) উদাহরণ স্বরূপ দক্ষিণ কোরিয়ান প্রসাধনী সংস্থা আমোরেপ্যাসিফিক (Amorepacific), 'My Love from the star' একটি কোরিয়ান ড্রামা যা এই সংস্থার সামগ্রী প্রচার করতে থাকে যার ফলে রূপচর্চার সামগ্রীর এবং লিপস্টিক ব্যবহার ৭৫ এবং ৪০০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। দক্ষিণ কোরিয়ার আন্তর্জাতিক পর্যটন এর সাথে কে-বিউটি প্রোডাক্ট এর উপস্থিতিও কাজ করছে দক্ষিণ কোরিয়ান কস্মেটিক্স বিক্রি বাড়াতে।[২০]
এশিয়ার বিউটি প্রোডাক্ট এবং ট্রেন্ড ক্রমশ নিজের জায়গা করে এক বিবর্তনশীল ইন্ডাস্ট্রিতে যা এশিয়া ও পাশ্চাত্যে বিউটির ব্যবসাকে ক্রমশ বৃদ্দ্বি করছে। ৮০% গ্লোবাল রূপচর্চার সামগ্রীর আয় আসে এশিয়া থেকে।কে-বিউটি এর একটি বিশাল প্রভাব থাকায় এই সামগ্রী গুলি নতুনের উদ্ভাবন করতে আগ্রহী। ত্বক চর্চা, কেশ চর্চা প্রসাধনীতে আর সীমাবদ্ধ না। নেল কেয়ার(nail care) , ওয়েল বিং (well being), স্পা প্রোডাক্ট (spa product), টয়েলেট্রিস (toiletries), পার্সোনাল কেয়ার (personal care), ন্যাচারাল হেল্থ প্রোডাক্টস (Natural health products) সবই দক্ষিণ কোরিয়া বানাচ্ছে।[২১] গ্লোবাল কে-বিউটি প্রোডাক্ট এর বাজার মূল্য $৯.৩ বিলিয়ন ছিল ২০১৮ তে এবং লক্ষ্য $২১.৮ বিলিয়ন ২০২৬ এর মধ্যে।[২২] কে-বিউটি প্রোডাক্ট গুলোতে বিশুদ্ধ উপাদান এবং আকর্ষণীয় প্যাকেজের ব্যবহার করা হয়। এই সব প্রোডাক্ট এর অন্তর্ভুক্ত হলো স্নেল ক্রিম (Snail Cream), সিট্ মাস্ক্ (Sheet mask), প্যাকিং উইথ পপি কালার (Packing with poppy color), অদ্ভুত আকারের বোতল যেমন পান্ডা (Panda) এবং ভাঙা সেদ্ধ ডিমের মত এবং কোনো অর্থহীন নাম যেমন টনিমলি (Tonymoly)। উপাদান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা যায় স্নেল মিউসিন (Snail Mucin), যা কোষের পুণরজন্মতে সাহায্য ও বৃদ্দ্বি করে। মৌ-মাছির বিষ(Bee venom) বিরোধী প্রদাহজনক "ফাউক্স-টক্স"(faux-tox) যা মুখের মাংস পেশীকে আরাম প্রদান করে। শুয়োর এর কোলাজেন(collagen) ব্যবহার করা হয় ত্বককে শক্ত ও মজবুত করতে এবং তারা মাছের নির্যাস ব্যবহার করা হয় আদ্রর্তার জন্য।[৩]
কিন্তু এই সামগ্রীর প্রধান লক্ষ্য ত্বকের মূল তত্ব স্বাস্থ্য, হাইড্রেসন (hydration) ঊজ্জ্বলতা পূর্ণ গঠন। উজ্জ্বল 'কাঁচ' ত্বক সবসময় দক্ষিণ কোরিয়ানদের প্রিয়। অনেক স্তর ফাউন্ডেশন (Foundation) লাগানোর থেকে একটা দীর্ঘ ত্বক চর্চা যার লক্ষ্য টোনিং (Toning) ও ত্বক পরিষ্কার করা তা বেশি পছন্দ করা হয়।[২২] ব্যাপ্ত কোরিয়ান রূপ চর্চার বিধিতে সাধারণত ১০টি ধাপ থাকে। এটি সাধারণত শুরু হয় দুবার ক্লিনিং(Cleaning) দিয়ে, তারপর বিভিন্ন সিট্ মাস্ক্ (Sheet mask), এসেন্স লোসান (essences lotions), সিরাম (serum), এবং ময়েস্চারাইজার (moisturizer) ও দিনের জন্য শেষ হয়ে SPF যুক্ত সানস্ক্রিন (sunscreen) দিয়ে এবং রাত্রে সানস্ক্রিন এর বদলে ঘন স্লিপ ক্রিম (Sleep cream)।[৩] রূপ চর্চার প্রোডাক্ট এতটা সাফল্য অর্জন করছে তার কারণ হল উন্নয়ন করা হচ্ছে নতুন নতুন সামগ্রীর উপর এবং তার দুই তৃতীয়াংশ (৬৮%) প্রোডাক্ট তৈরী করা হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়াতে।[২৩] কে-বিউটির লক্ষ্য মূলত মহিলাদের করা হলেও পুরুষদের আগ্রহ ক্রমশ বাড়তে দেখা যাচ্ছে । কে-পপ্ (K-Pop) তারকারা যারা বিস্তৃত সার্জারির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তাদের আদর্শায়িত করা হচ্ছে। YouTuber রা টিউটোরিয়াল (tutorial) এর মাধ্যমে দেখাচ্ছে কি করে কস্মেটিক্স এবং রূপ চর্চার প্রোডাক্ট গুলো ব্যবহার করতে হয়। সৌন্দর্যের বিজ্ঞাপন গুলো প্রতিনিয়ত বাস, সাবওয়ে (subway), ও টেলিভিশনে দেখিয়ে মহিলাদের বুঝানো হচ্ছে সৌন্দর্যের মান কেমন হওয়া উচিত। [২৪]
কোরিয়ান ওয়েভ্ (Korean wave) অবাস্তবিক সৌন্দর্যের মান তৈরী করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার যুব সমাজের উপর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক বেশি কস্মেটিক্স ও রূপ চর্চার সামগ্রীর বিজ্ঞাপন বেশি দেখা যায় দক্ষিণ কোরিয়ার ম্যাগাজিনে। এটাই প্রমাণ দক্ষিণ কোরিয়ার দৃঢ় আকর্ষণ বাহ্যিক সৌন্দর্যের প্রতি।[২৫] দক্ষিণ কোরিয়াতে সবচেয়ে বেশি কস্মেটিক্স সার্জারি (Cosmetics Surgery) হয়ে থাকে। এটি এখন নিপ অ্যান্ড টাক্ পর্যটনের (nip and tuck) একটি গন্তব্য স্থল।[২৪] দক্ষিণ কোরিয়ার সৌন্দর্যের মান শক্ত হয়াতে শুরু হয় 'এস্কেপ্ দ্য কর্সেট্'(Escape the Corset) আন্দোলন যা মূলত এই সৌন্দর্যের মান কে পরিত্যাগ করার জন্য। এই আন্দোলন তৈরী করেছিল এক দল মহিলা, সৌন্দর্যের প্রতি অন্ধ বিশ্বের রাজধানী গুলোর বিরুদ্ধে আপত্তি ও তাদের প্লাস্টিক সার্জারি (Plastic surgery) এবং কস্মেটিক্স এর প্রতি সাদর গ্রহণ স্বীকৃত মনোভাবের জন্য। এই আন্দোলন অনুপ্রাণিত হয় #মি টু মুভমেন্ট (#Me too Movement) দ্বারা।[২৪] বাহ্যিক সৌন্দর্যের যে মান দক্ষিণ কোরিয়া রেখেছে তা এক জন মানুষের আত্মসম্মান, অন্তঃব্যক্তিগত ও প্রেমের সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে।[২৫] মেক আপ ব্যবহার করার সামাজিক চাপ এবং বোঝানো যে ছোটো হার্ট আকারের মুখই শক্তিশালী। দক্ষিণ কোরিয়ার মূলধারা পথ ছেড়ে যাওয়া মানুষদের সাথে সহিংসতা অন্যান্য দেশের তুলনায় অত্যন্ত তীব্র। [২৪]
সামগ্রী
সম্পাদনাকোরিয়ান সৌন্দর্যের মান অনুযায়ী ২১শতকে তারুণ্যে ভরপুর এবং ত্বকে আর্দ্রতার উপস্থিতি যার ফল স্বরূপ এখন পাউডারের বদলে ক্রিমের প্রাধাণ্য বেশি। কে-বিউটি প্রোডাক্ট এমন করে তৈরী করা হচ্ছে যা দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে আমদানির বিকল্প শিল্পায়ন (Import substitution industrialization)।[২৬] প্রোডাক্ট উপাদানের বেশীর ভাগ ব্যবহার করা হয় প্রাকৃতিক উৎস থেকে যেমন গ্রিন টি পাতা (Green tea leaves), অর্কিড (orchid), সয়াবিন (soybean)[২৭] থেকে শুরু করে স্নেল স্লাইম (snail slime), মোর্ফিং মাস্ক্ (morphing mask), মৌ-মাছির বিষ(bee venom) (একটি বিরোধী প্রদাহজনক(anti-inflammatory) "ফাক্স - টাক্স"(faux-tox) যা মুখের মাংস পেশীকে আরাম প্রদান করতে সাহায্য করে) তারা মাছের আর্দ্রতা পূর্ণ নির্যাস এবং শুয়োরের কোলাজেন (collagen)।[২৮][২৯][৩০] রূপ চর্চার বিধির অন্তর্গত বিভিন্ন ধাপের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ক্লেনজিং (cleansing) (তেল যুক্ত এবং জল যুক্ত প্রোডাক্ট), সেটা মাস্ক্ (sheet mask), এসেন্স্ (essences), সিরামস্ (serums), ময়েস্চারাইজার(moisturizer), কুশান কম্প্যাক্ট (cushion compact), ফার্মেন্টেড্ প্রোডাক্ট (fermented products), এবং SPF ৩৫ সানস্ক্রিন (sunscreen) । রাতে সানস্ক্রিন এর বদলে "স্লিপ্ ক্রিম"(sleep cream)।[৩][২৮] হরমোনের ওঠানামা এবং জীবনযাত্রার পছন্দগুলি সহ জটিলতার কারণগুলির উপর নির্ভর করে প্রতিটি পদ্ধতিকে আলাদাভাবে সম্বোধন করা হয়।[৩১]
তথ্যসমূহ
সম্পাদনা- ↑ Herald, The Korea (২০১৬-০৭-২২)। "K-beauty attracts investment from international big shots"। www.koreaherald.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ Ramoran-Malasig, Carol। "This Year-Old Startup Is Now Southeast Asia's Largest Online Korean Beauty Market"। Forbes (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ ক খ গ ঘ Wood, Dana (২০১৬-০৪-০৬)। "K-Beauty: The Exhausting Skin-Care Regimen That May Be Worth the Effort"। Wall Street Journal (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0099-9660। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ Yamada, Mio (২০১২-০৭-১৩)। "The Korean beauty secrets are out"। The Japan Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ "Hallyu and The Rise of Korean Cosmetics in China | City Weekend"। web.archive.org। ২০১৭-১০-১৩। Archived from the original on ২০১৭-১০-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ Kim, Sangmin। "K-Pop in K-Town" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ "How South Korean Beauty Brands Are Winning Consumers in India"। TranslateMedia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৮-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ "A Korean Wave: The Rise Of K-Beauty In Sri Lanka"। www.magzter.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ "5 Skincare brands found in Malaysia that are worth trying"। Marie France Asia, women's magazine (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৯-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ Li, Mak Lawrence। "K-pop a boon for cosmetics shops"। www.phnompenhpost.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ migration (২০১৫-০৬-১৩)। "The rise of K-beauty in Singapore and globally"। The Straits Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ Herald, The Korea (২০১৬-০২-১৬)। "Western brands want in on K-beauty action"। www.koreaherald.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ "Why K-Beauty Is the Holy Grail of Skincare"। www.yahoo.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ "How Charlotte Cho and Soko Glam Changed the US Beauty Landscape"। JustLuxe (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ Claire, Marie (২০১৬-০৬-০৯)। "Here's why K-Beauty is killing it"। Marie Claire (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ March, Bridget; Dyer, Gabrielle (২০১৯-১১-২৬)। "Ever wondered what goes into a Korean skincare routine? Here's every single step explained..."। Cosmopolitan (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ Nov 27, Shobita Dhar | TNN |; 2016; Ist, 00:03। "10-step K-beauty routine is the latest fad to hit desi shores - Times of India"। The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ hermes (২০১৬-০৮-১১)। "The draw of fast K-beauty"। The Straits Times (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ Team, ELLE Beauty (২০১৯-০৯-২৩)। "Treatment Ampoules To Sleeping Packs - What Exactly Is K-Beauty?"। ELLE (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ Hoontrakul, Pongsak. "Asia’s Vanity Capital." Economic Transformation and Business Opportunities in Asia. Palgrave Macmillan, Cham, 2018. 61-92.
- ↑ Expo 2016, Beauty। "Asian Beauty Standards and Products Make Way for Innovation and Influence Markets in the West"। www.prnewswire.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ ক খ http://bi.gale.com/essentials/article/GALE%7CA616437163/c6c88c3423d1af89ed14b6aa7bb37b98
- ↑ Team, Mintel Press। "A bright future: South Korea ranks among the top 10 beauty markets globally"। Mintel (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ ক খ গ ঘ Stevenson, Alexandra (২০১৮-১১-২৩)। "South Korea Loves Plastic Surgery and Makeup. Some Women Want to Change That."। The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ ক খ Baek, Eunsoo; Choo, Ho Jung (২০১৮-০৭-৩০)। "Everybody loves beauty? The moderated effect of body attractiveness among young Koreans"। Fashion and Textiles (ইংরেজি ভাষায়)। 5 (1): 16। আইএসএসএন 2198-0802। ডিওআই:10.1186/s40691-018-0130-8।
- ↑ "Pretty Hurts : Code Switch"। NPR.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ "Natural Ingredients"। innisfree (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ ক খ Schuman, Rebecca (২০১৬-০১-০৭)। "The 10-Step Korean Skin Care Routine Is a Radical Act of Feminist Self-Care"। Slate Magazine (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ "K-beauty grows!"। koreatimes (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৩-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ Network, Real Style। "Hair Essences- What To Know About This Korean Beauty Innovation"। Real Style Network। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।
- ↑ "Gamechanger: I Do K-Beauty (And You Can, Too)"। Clinique (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০৮।