কেরলা এক্সপ্রেস
কেরলা এক্সপ্রেস হলো ভারতীয় রেলওয়ে এর অত্যন্ত দ্রুতগতি সম্পন্ন একটি ট্রেন যা নয়া দিল্লী এবং কেরলা রাজ্যের তিরুৱনন্তপুরম সেন্ট্রালের মধ্যে চলাচল করে।[১] এটা যখন দিল্লী থেকে ত্রিভান্ড্রুম এর পথে চলাচল করে তখন ৩,০৩৬ কিমি পথ পাড়ি দিতে ৪০ টি স্থানে থামে এবং গড়ে ৬০ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগে চলে। এটা মালাঙ্গা লাক্সাদীপ এক্সপ্রেস (৩০৬৬ কিমি ৬২ কিমি/ঘণ্টা) এর পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম দৈনিক চলাচলকৃত ট্রেন, যে ট্রেনটি কেরালা রাজ্য (এর্নাকুলম জংশন) এবং দেশের রাজধানীকে (হযরত নাজিমুদ্দীন) সংযুক্ত করে।
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||||
---|---|---|---|---|---|
পরিষেবা ধরন | দ্রুতগতির ট্রেন | ||||
বর্তমান পরিচালক | ভারতীয় রেল | ||||
যাত্রাপথ | |||||
শুরু | নয়া দিল্লি রেল স্টেশন | ||||
বিরতি | ৩৮ | ||||
শেষ | ত্রিভান্ড্রুম সেন্ট্রাল | ||||
ভ্রমণ দূরত্ব | ৩,০৩৬ কিলোমিটার (১,৮৮৬ মাইল) | ||||
যাত্রার গড় সময় | ৫০ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট | ||||
পরিষেবার হার | দৈনিক | ||||
রেল নং | ১২৬২৫ / ১২৬২৬ | ||||
যাত্রাপথের সেবা | |||||
শ্রেণী | ২টি ২ সারি বিশিষ্ট এসি ও ৩ সারি এসি, এসএল, সাধারণ | ||||
আসন বিন্যাস | হ্যাঁ | ||||
ঘুমানোর ব্যবস্থা | হ্যাঁ | ||||
খাদ্য সুবিধা | হ্যাঁ | ||||
পর্যবেক্ষণ সুবিধা | বড় জানালা | ||||
কারিগরি | |||||
গাড়িসম্ভার | ৭ | ||||
ট্র্যাক গেজ | ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি) | ||||
পরিচালন গতি | হল্টসহ গড় ৫৯.৮৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা (৩৭.২০ মাইল প্রতি ঘণ্টা) | ||||
|
ইতিহাস
সম্পাদনাট্রেনটিকে ১৯৭৬ সালে কেরলা-কর্ণাটক এক্সপ্রেস (কেকে এক্সপ্রেস) হিসাবে উদ্বধোন করা হয়েছিল যা নয়া দিল্লী থেকে তিরুৱনন্তপুরম এবং বেঙ্গলুরু যেত, এবং যা জল্তাপুর জংশনে দ্বিখন্তিত হয়ে যেত। প্রথম দিকে এটা সম্পূর্ণ যাত্রাপথ ৪৬.৫ ঘণ্টায় পাড়ি দিত যেখানে একটা বিশাল যাত্রাবিরতী থাকতো জলাপট্টিতে কেরলা/কর্ণাটক বগি সমূহের সংযোগ/খোলার কাজ সম্পন্ন করার জন্য। ১৯৮০ সালে, এটা দুইটি ট্রেনে ভেঙ্গে যায়, কেরালা এক্সপ্রেস এবং কর্ণাটক এক্সপ্রেস হিসাবে পরবর্তীতে কেরলা এক্সপ্রেস আবারো পালঘাট জংসনে ভেঙ্গে যেত এবং একটি অংশ মাঙ্গালোরের দিকে ধাবিত হতো। এটি জয়ন্তি জনতা এর সহিত মিলিত হতো যা কিনা সোরানুরে দ্বিখন্ডিত হতো যেখানে একটি অংশ যেত কোচিনে এবং অন্য অংশ যেতো মঙ্গলে। পরবির্ততে, এই দুটি ট্রেন একত্রিত হয়ে কেরলা মঙ্গালা এক্সপ্রেস গঠন করে। ১৯৯০ সালে, মেঙ্গালোরে একটি ভিন্ন ট্রেন চালু করা হয়েছিল, এটার বর্তমানে যে পথ ধরে যায় সেভাবেই। কেরলা এক্সপ্রেস প্রতি দিনের ট্র্রেন ছিল না এবং তমিল নাড়ু এক্সপ্রেস, আন্ধ্র প্রদেশ এক্সপ্রেস এবং কর্ণাটক এক্সপ্রেস এর সাথে তাদের একই সময়ে চলতো। যদিও, এটা যখন দৈনিক ট্রেনে পরিনত হয় তখন এটা নিজস্ব সময় সীমা প্রাপ্ত হয়।[২]
এটা প্রাথমিকভাবে ১২৫/১২৬ নম্বরে সংখ্যায়িত করা হয়েছিল যা পরবর্তিতে পরিবর্তন হয়ে ১৯৮৯ সালে যখন ভারতীয় রেলওয়ে চার সংখ্যার নাম্বার ব্যবস্থা গ্রহণ করে তখন ২৬২৫/২৬২৬ নম্বর প্রাপ্ত হয়।[৩] ২০১০ সালের ডিসেম্বরে ভারতীয় রেলওয়ে পাঁচ সংখ্যার নাম্বার ব্যবস্থা গ্রহণ করে যেখানে কেরলা এক্সপ্রেসের বর্তমান নাম্বার হয় ১২৬২৫ সম্মুখ যাত্রায় এবং ১২৬২৬ বিপরীত যাত্রায়।[৪][৫]
আন্ধ্রপ্রদেশ এক্সপ্রেস এর তুলনায় কেরলা এক্সপ্রেস আন্ধ্রপ্রদেশের বেশি অংশে স্পর্শ করে, তমিল নাড়ু এক্সপ্রেসের তুলনা তমিলনাড়ুর বেশি অংশ স্পর্শ করে যার ফলে দক্ষীন ভারতের তিনটি অঙ্গরাজ্য থেকে দিল্লী যাবার যাত্রীরা এটাকে অনেক বেশি উৎসাহ প্রদান করে। দু:খজনক ভাবে কেরলা এক্সপ্রেসকে টিএন এক্সপ্রেসের তুলনায় কম গুরুত্ব প্রদান করা হয় এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের প্রভাবে অনেক বাজে চুক্তি করা হয়ছিল অনেক ছোট ছোট স্টপেজে এটাকে থামানোর জন্য। ফলে টি.এন. এক্সপ্রেসের গড় গতি ৬৭ কিমি/ঘণ্টা যেখানে কেরলা এক্সপ্রেসের গতি ৬০ কিমি/ঘণ্টা।
লম্বা দুরত্বের যাত্রিরা প্রত্যাশা করে রেলওয়ে বোর্ড কেরলা এক্সপ্রেস এর গতি এমনভাবে বৃদ্ধি করবে যাতে করে এটা দুপুরের পর এটার যাত্রা শুরুর স্থান থেকে ছেড়ে দিবে এবং তৃতীয় দিনের দুপুরের পূর্বেই গন্ত্যবে পৌছে যাবে।
বগি তুলনা
সম্পাদনাএটি একটি ২৪ বগি বিশিষ্ট্র ট্রেন যার রয়েছে ৭ টি এসি বগি (২ টি কামড়া ২ টায়ার এসি, ৫ টি কামড়া তিন টায়ার এসি), ১২ টি এসএল বগি, ৪ টি সাধারন বিগ এবং একটি পেন্ট্রি কার। এই ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতিসীমা ১১০ কিমি প্রতি ঘণ্টায়।
প্রধান বিরতিস্থান
সম্পাদনা- তিরুভননথপুরম
- কোল্লম
- কায়মকুলম
- মাভেলিকরা
- চেঙ্গন্নূর
- তিরুভল্লা
- চন্গনাছেরি
- কোটয়ম
- এর্নাকুলম
- আলুভা
- থ্রীসুর
- পালক্কাডু
- কোযমবতূর
- তিরুপ্পূর
- ঈরোডু
- সেলম
- জোলাপেট্টাই
- কাটপাডি
- তিরুপ্পতি
- রেনিগুণ্টা
- গূডূর্
- নেরোরে
- ভিজয়াদা
- ওরাঙ্গাই
- বালহার্সা
- নাগপুর
- ভোপাল
- জাংসি
- গোয়ালিয়র
- আগ্রা
- থুরা
- নয়া দিল্লী
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ http://indiarailinfo.com/train/timetable/935/59/664
- ↑ "Altered Trains"। IRFCA।
- ↑ "Old Train Numbers"। IRFCA।
- ↑ "Kerala Express-12625"। cleartrip.com। ১৪ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ "Railways migrate to 5-digit number scheme to monitor trains"। Times of India। ২০ ডিসে ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]