কিশ্বর দেসাই
কিশ্বর দেসাই (বা বিবাহপূর্ব কিশ্বর রোশা; জন্ম: ১লা ডিসেম্বর ১৯৫৬) হলেন একজন ভারতীয় লেখিকা এবং সংবাদপত্রের বিভাগীয় লেখক। তিনি আর্টস অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজ ট্রাস্টের (টিএএএচটিটি) চেয়ারম্যান; এই সংস্থাটি ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের অমৃতসরের টাউন হলে বিশ্বের প্রথম বিভাজন যাদুঘর স্থাপন করেছে। এটি একটি অলাভজনক ট্রাস্ট বা এনজিও, যা মানুষের অনুদানের মাধ্যমে সংগ্রহশালা তৈরি করেছে; বিভাজন থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষ, তাদের পরিবার এবং দাতাদের সাহায্যে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই জাদুঘরটি স্বর্ণ মন্দির এবং জালিয়ানওয়ালাবাগ থেকে মাত্র পাঁচ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত। ২০১৭ সালের ১৭ই আগস্ট তারিখে বিভাজন স্মরণ দিবসে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এই ভবনটির উদ্বোধন করেছেন।
কিশ্বর দেসাই | |
---|---|
জন্ম | কিশ্বর রোশা ১ ডিসেম্বর ১৯৫৬ |
মাতৃশিক্ষায়তন | লেডি শ্রী রাম কলেজ |
পেশা | লেখিকা |
দাম্পত্য সঙ্গী | লর্ড দেসাই |
ওয়েবসাইট | www |
তিনি গান্ধী স্ট্যাচু মেমোরিয়াল ট্রাস্টেরও একজন অছি, এর মাধ্যমে তিনি লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার স্কোয়ারে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি স্থাপনে সহায়তা করেছিলেন। সরকার দ্বারা স্থান বরাদ্দের সময়, লর্ড মেঘনাদ দেসাইয়ের সভাপতিত্বে দাতব্য এই সংস্থাটিকে মূর্তি নির্মাণের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে হয়েছিল। ২০১৫ সালে যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এই মূর্তির উদ্বোধন করেছিলেন। পরে ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে ডেভিড ক্যামেরন এবং কিশ্বরকে সাথে নিয়ে গান্ধী মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানান।
একজন ঔপন্যাসিক হিসাবে, তাঁর শেষ উপন্যাস দ্য সি অফ ইনোসেন্স ২০১৪ সালে ভারতের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়ায় প্রকাশিত হয়েছিল। এই উপন্যাসে গণধর্ষণের মত সামাজিক সমস্যা নিয়ে লেখা হয়েছে বলে ব্যাপক আলোচিত হয়েছিল। তাঁর প্রথম উপন্যাস উইটনেস দ্য নাইট, ২০১০ সালে "সেরা প্রথম উপন্যাস" বিভাগে কোস্টা বুক পুরস্কার লাভ করেছে[১][২] এবং এই উপন্যাসটি ২৫টিরও বেশি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। এটি লেখক ক্লাব প্রথম উপন্যাস পুরস্কারের জন্যও মনোনীত হয়েছিল এবং ম্যান এশিয়ান সাহিত্য পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পেয়েছিল। সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত তাঁর উপন্যাস, ওরিজিনস অফ লাভ, ২০১২ সালের জুন মাসে প্রকাশিত হয়েছিল।[৩][৪][৫] কিশ্বর একটি জীবনী লিখেছেন, ডার্লিংজি: দ্য ট্রু লাভ স্টোরি অফ নার্গিস অ্যান্ড সুনীল দত্ত।[৬]
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাকিশ্বর রোশা ১৯৫৬ সালের ১লা ডিসেম্বর তারিখে ভারতের পাঞ্জাবের (বর্তমানে হরিয়ানা) আম্বালায় পদম ও রজনী রোশার ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি চণ্ডীগড়ে তাঁর শৈশব অতিবাহিত করেছেন, যেখানে তাঁর বাবা পাঞ্জাব পুলিশের প্রধান ছিলেন। কিশ্বর ১৯৭৭ সালে লেডি শ্রী রাম কলেজ থেকে অর্থনীতি বিভাগে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন।
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনাপ্রথম বিয়ের পরে, তিনি তাঁর নাম পরিবর্তন করে কিশ্বর আহলুওয়ালিয়া রাখেন।[৭] উক্ত স্বামীর সাথে তাঁর গৌরব নামে এক পুত্র এবং মালিকা নামে এক কন্যা রয়েছে। বিবাহ বিচ্ছেদের পরে ২০০৪ সালের ২০শে জুলাই তারিখে তিনি ব্রিটিশ হাউস অফ লর্ডসের সদস্য অর্থনীতিবিদ মেঘনাদ দেসাইকে বিবাহ করেন।[৮][৯][১০] তিনি বর্তমানে লন্ডন, নতুন দিল্লি এবং গোয়ায় ঘুরে ফিরে বসবাস করেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "No Girlhoods" আর্কাইভইজে আর্কাইভকৃত ৩১ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে. Outlook India. 5 January 2011. Retrieved 2012-07-28.
- ↑ "Two books on India in UK literary award shortlist". The Times of India. 18 November 2010. Retrieved 2012-07-28.[১] ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১২-১১-০৪ তারিখে
- ↑ "No Girlhoods". Outlook India. 5 January 2011. Retrieved 2012-07-28.
- ↑ "Origins of Love". The Independent. 15 July 2012. Retrieved 2012-07-28
- ↑ "Origins of Love". ABC Radio National. 11 July 2012. Retrieved 2012-07-28.
- ↑ "The Queen and the Commoner". India Today. 25 October 2007. Retrieved 2012-07-28.
- ↑ "People: Kishwar Ahluwalia Profile". Business Today. 22 June 2000.
- ↑ "Made for Each other". The Tribune. 8 August 2009.
- ↑ "Lord Meghnad weds his lady love" আর্কাইভইজে আর্কাইভকৃত ২০১৩-০১-০৩ তারিখে. The Times of India. 20 July 2004.
- ↑ "Desai unravels economics of Pound: Khushwant Singh". The Tribune. 13 May 2006.