কিরিচ দুই দিকে ধার বিশিষ্ট ইন্দোনেশীয় ছোরা জাতীয় ধারালো অস্ত্র।[৬] এটি একটি কাঠের খাপের ভিতরে থাকে এবং খাপটি বিষাক্ত থাকে। কিরিচ এর ভিন্নধর্মী ঢেউ তোলা ফলার জন্য বিখ্যাত, তবে অনেকগুলি কিরিচের সোজা ফলাও রয়েছে। সমুদ্রতীরবর্তী দক্ষিণপূর্ব এশিয়া তথা মালয়েশিয়া, ব্রুনেই, ও দক্ষিণ ফিলিপাইন এবং দক্ষিণ থাইল্যান্ডের অধিকাংশ সম্প্রদায়ে কিরিচ ক্ষমতা ও গোষ্ঠীগত দম্ভের প্রতীক।

Indonesian Kris
বিভিন্ন ধরনের কিরিচ
দেশইন্দোনেশিয়া
সূত্র112
ইউনেস্কো অঞ্চলএশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়
অন্তর্ভূক্তির ইতিহাস
অন্তর্ভূক্তি২০০৮
তালিকাRepresentative
কিরিচ

The kris consists of three parts; blade (wilah), hilt (hulu) and sheath (warangka)
প্রকার ছোরা
উদ্ভাবনকারী জাভা, ইন্দোনেশিয়া[১][২][৩]
ব্যবহার ইতিহাস
ব্যবহারকাল Singhasari Kingdom, Majapahit Empire, Sunda Kingdom, Malacca Sultanate, Demak Sultanate, Mataram Sultanate, Yogyakarta Sultanate, Surakarta Sunanate, Brunei Sultanate, present day Indonesian archipelago[৪]
ব্যবহারকারী Javanese
Also familiar to Balinese, Sundanese, Malays, Banjarese, Madurese, Buginese and Makassarese
যুদ্ধে ব্যবহার Pamalayu expedition, Mongol invasion of Java, Battle of Bubat, Majapahit civil war, Siege of Batavia, Diponegoro War, Indonesian National Revolution
উৎপাদন ইতিহাস
উৎপাদনকাল অজ্ঞাত (?) - বর্তমান
সংস্করণসমূহ Kalis, Balasiong, Punyal (Gunong), Chundrik[৫]
তথ্যাবলি
ব্লেডের প্রকার দুই দিকে ধার বিশিষ্ট নিকেলযুক্ত লোহা বা ইস্পাত
হাতলের ধরন গজদন্ত, হাড়, শিং, কাঠ ও ধাতু। মাঝে মাঝে সোনা বা রূপা দিয়ে চিত্রালঙ্কিত করা হয় এবং রত্নপাথর দিয়ে সজ্জিত করা হয়।
খাপ/ধারক গজদন্ত বা ধাতু (সোনা, রূপা, কপার, লোহা, তামা, বা ইস্পাত) দিয়ে ঢাকা ও সজ্জিত কাঠের হাতল
কিরিচ

কিরিচকে তিনভাগে বিভক্ত করা যেতে পারে: ব্লেড (বিলা বা উইলা), হাতল (হুলু) এবং খাপ (ওরাংকা)। কিরিচের এই অংশগুলি হ'ল শিল্পকলার বস্তু, প্রায়শই সূক্ষ্ম বিশদে খোদাই করা হয় এবং ধাতু, মূল্যবান বা বিরল ধরনের কাঠ, বা স্বর্ণ বা আইভরির মত বিভিন্ন উপকরণ থেকে তৈরি হয়। কিরিচের নান্দনিক মান নির্ভর করে ধাপুর (প্রায় ৬০০টি রূপসহ ব্লেডের ধরন এবং নকশা), পামোর (ব্লেডের উপর ধাতব মিশ্রণের সজ্জিত প্যাটার্ন, প্রায় ২৫০টি রূপ রয়েছে) এবং টেংগাহের উপর, যা একটি কিরিচের বয়স এবং উৎস নির্দেশ করে।[৭] ক্রিসের গুণমান এবং ঐতিহাসিক মানের উপর নির্ভর করে এটি কয়েক হাজার ডলার বা তারও বেশি দামী হতে পারে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Keris Indonesia"Kebudayaan.kemendikbud.go.id (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। ২০২৩-০৪-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-২২ 
  2. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Cultural Wonders of Indonesia নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  3. Pires, Tomé (১৯৯০)। The Suma Oriental of Tome Pires: An Account of the East। New Delhi: Asian Educational Services। পৃষ্ঠা 179। আইএসবিএন 81-206-0535-7 
  4. Albert G Van Zonneveld (২০০২)। Traditional Weapons of the Indonesian Archipelago। Koninklijk Instituut Voor Taal Land। আইএসবিএন 90-5450-004-2 
  5. James Richardson Logan (১৮৫৩)। The Journal of the Indian Archipelago and Eastern Asia, Volume 7। Miss. Press। পৃষ্ঠা 281। 
  6. Tantri Yuliandini (এপ্রিল ১৮, ২০০২)। "Kris, more than just a simple dagger"দ্য জাকার্তা পোস্ট। ২৯ জুলাই ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০২০ 
  7. "UNESCO - Indonesian Kris"ich.unesco.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০২০ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা