কিয়েভ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল ভবন
কিয়েভ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল ভবন বা রেড ইউনিভার্সিটি বিল্ডিং (ইউক্রেনীয়: Червоний корпус Київського університету) ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের ৬০ ভোলোডিমিরস্কা সড়কে অবস্থিত কিয়েভ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান এবং প্রাচীনতম ৪-তলা ভবন। এই ভবনটি কিয়েভ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউক্রেনের মৌলিক উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থার একটি বিখ্যাত প্রতীক।
কিয়েভ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল ভবন | |
---|---|
সাধারণ তথ্য | |
স্থাপত্য রীতি | প্রাচীন শিল্প |
শহর | কিয়েভ |
দেশ | ইউক্রেন |
স্থানাঙ্ক | ৫০°২৬′৩০.৯৯″ উত্তর ৩০°৩০′৪০.৫৩″ পূর্ব / ৫০.৪৪১৯৪১৭° উত্তর ৩০.৫১১২৫৮৩° পূর্ব |
নির্মাণকাজের আরম্ভ | ১৮৩৭ |
নির্মাণকাজের সমাপ্তি | ১৮৪৩ |
নকশা এবং নির্মাণ | |
স্থপতি | ভিনসেন্ট ই. বেরেটটি |
ইতিহাস
সম্পাদনাএটি ১৮৩৭-১৮৪৩ সালের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল। রাশিয়ান সাম্রাজ্যের জন্য কাজ করা ইতালীয় বংশোদ্ভূত স্থপতি ভিনসেন্ট আই বেরেত্তি শিল্পের প্রাচীন ধরন অনুসারে এটি নির্মাণ করেন। ভবনটি একটি প্রাঙ্গণ ঘেরা বিশাল এলাকার মাঝে অবস্থিত, এর সম্মুখভাগের দৈর্ঘ্য ১৪৫.৬৮ মিটার (৪৭৮.০ ফু)। বিল্ডিংয়ের দেয়ালে লাল রঙ করা হয়েছে এবং কলামের মাথা ও ভিত্তিগুলি কালো রঙ করা হয়েছে, যা সেন্ট ভ্লাদিমিরের (১৭৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত) স্ট্রাইপের রঙের সাথে মিলে যায়, কারণ কিয়েভ বিশ্ববিদ্যালয় এটির নাম বহন করত। পাহাড়ের চূড়ায় নির্মিত এই ভবনটি ১৯ শতকে কিয়েভের স্থাপত্য বিন্যাসকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করেছে।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ান আক্রমণের সময় এই বিল্ডিংয়ের আশেপাশে বিস্তৃত গোলাগুলি করা হয়েছে। এখানে গোলাগুলির একটি ঘটনা স্মার্টফোনে খুব কাছ থেকে ভিডিও করা হয়েছিলো।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- উইকিমিডিয়া কমন্সে কিয়েভ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল ভবন সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।