কিয়াউকফিউ জেলা ( বর্মী: ကျောက်ဖြူခရိုင်) পশ্চিম মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের একটি জেলা। এর সদরদপ্তর কিয়াউকফিউ শহরে অবস্থিত।

অবস্থান ও ভূপ্রকৃতি সম্পাদনা

 
রাখাইন রাজ্যে অবস্থান

কিয়াউকফিউ হল বঙ্গোপসাগরের পূর্ব উপকূলে নিম্ন বার্মার (মিয়ানমার) আরাকান বিভাগের একটি জেলা। এটি প্রথমত, বঙ্গোপসাগর বরাবর মূল ভূখন্ডের একটি খণ্ডাংশ নিয়ে গঠিত। এটি এএন পাস থেকে প্রধান পরিসীমা জুড়ে মা-ই নদী পর্যন্ত বিস্তৃত। দ্বিতীয়ত জেলাটির বাকি অংশ জুড়ে রয়েছে দক্ষিণে আরও বেশকিছু দ্বীপসহ রামরি এবং চেদুবার বড় দ্বীপ গুলো। এগুলোর বেশিরভাগ স্যান্ডোওয়ের উপকূলে অবস্থিত। উত্তর এবং পূর্বের মূল ভূখণ্ডটি অত্যন্ত পাহাড়ি এবং বনে আচ্ছাদিত। অন্যদিকে জেলার নিম্নাংশ জোয়ার-ভাটা প্রবণ খাঁড়িগুলির জালের মতো বিস্তৃত হওয়ায় সেই অঞ্চল অসংখ্য দ্বীপে বিভক্ত। মূল ভূখণ্ড এবং রাম্রীর মধ্যে গভীর, সরু, লবণ-জলের প্রবেশপথ দ্বারা বিচ্ছিন্ন প্রায় ৩০ মিটার পর্যন্ত বিস্তৃত একগুচ্ছ দ্বীপ রয়েছে। এগুলো, যা কিয়াউকপিউ বন্দরের উত্তর-পূর্ব উপকূল বরাবর বিস্তৃত। এই জেলার প্রধান পর্বত হল আরাকান পর্বত। এখান থেকে সমুদ্র উপকূলে স্পার এবং সাব-স্পার আসে।

আন পাস হচ্ছে এখানকার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথ। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৬৬৪ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। ধা-লেট এবং আন নদী দুটি যথাক্রমে ২৫ এবং ৪৫ মিটার পর্যন্ত বড় নৌকা দ্বারা চলাচলযোগ্য। এই দূরত্বের বেশি উজানে নদী দুটি নিছক পাহাড়ি প্রবাহ। এখানে মূল্যবান কাঠের বড় বন প্রায় ৬৫০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। কিয়াউকপিউতে অসংখ্য "কাদা আগ্নেয়গিরি" রয়েছে, যেখান থেকে প্রায়শই মার্শ গ্যাস নিঃসৃত হয়, মাঝে মাঝে শিখার সমস্যা হয়। এর মধ্যে বৃহত্তমটি চেডুবা দ্বীপের কেন্দ্রে অবস্থিত।

এই জেলার ক্ষেত্রফল প্রায় ৪,৩৮৭ বর্গমিটার। ১৯০১ সালে জরিপ অনুযায়ী এখানকার জনসংখ্যা ছিল ১,৬৮,৮২৭। সেসময় এক দশকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২.৩%।[১]

খনিজ সম্পদ সম্পাদনা

এই জেলার বিভিন্ন স্থানে মাটিতে তেলের কূপ রয়েছে। যখন তেল উত্তোলন করে পৃষ্ঠে আনা হয় তখন এর রঙ সাদা-নীল রঙের পানির মতো দেখতে হয়। এর থেকে উজ্জ্বল খড়-রঙের রশ্মি বিচ্ছুরিত হয় এবং এর থেকে তীব্র গন্ধ নির্গত করে। এখানকার মাটির নিচে চুনাপাথর, লোহা ও কয়লাও পাওয়া যায়।

শহরাঞ্চল সম্পাদনা

এই জেলায় মোট চারটি শহরাঞ্চল রয়েছে:

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1.   One or more of the preceding sentences একটি প্রকাশন থেকে অন্তর্ভুক্ত পাঠ্য যা বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনেচিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। "Kyaukpyu"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ15 (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 958। 

টেমপ্লেট:রাখাইন রাজ্য