কাসুবির সমাধি, উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় অবস্থিত বুগান্ডার চার জন ‘কাবাকা’র (রাজা) সমাধিক্ষেত্র ও ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান[১]

কাসুবির সমাধি
ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান
মানদণ্ডঐতিহাসিক স্থান: i, iii, iv, vi
সূত্র1022
তালিকাভুক্তকরণ২০০১ (২৫তম সভা)
বিপদাপন্ন২০১০–বর্তমান
স্থানাঙ্ক০°১৯′৪৫″ উত্তর ৩২°৩৩′১২″ পূর্ব / ০.৩২৯১৭° উত্তর ৩২.৫৫৩৩৩° পূর্ব / 0.32917; 32.55333

১৬ মার্চ, ২০১০ সালের এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সেখানকার কিছু প্রধান ভবন প্রায় সম্পূর্ণ ধংস্ব হয়ে যায় যা এখনো তদন্ত করা হচ্ছে।[২] বুগান্ডা রাজ্য তাদের রাজাদের সমাধিস্থল পূননির্মাণ করেছিল এবং বর্তমানে উগান্ডা সরকার ও ইউনেস্কো সমাধিস্থলটি রক্ষায় ২০১৩ সালের ১ মার্চ একটি চুক্তি সাক্ষর করে।[৩]

সমাধি সম্পাদনা

 
The interior of the Muzibu Azaala Mpanga included relics and portraits of the buried kabakas

কাসুবি হিলের রাজাদের সমাধি, সিকাবাকার সমাধি নামেও পরিচিত। কেন্দ্র ভাগের এই সমাধিক্ষেত্রটি ১৮৮১ সালে নির্মাণ করা হয়। সমাধিক্ষেত্র নিয়ে পুরু এলাকাটি অনেক ভবন নিয়ে গঠিত। এখানে বুগান্ডার চার জন ‘কাবাকা’র (রাজা) সমাধিক্ষেত্র আছে যেগুলো খড় ও কাঠ দিয়ে নির্মিত। বুগান্ডার জনগনের কাছে এই জায়গা ধর্মীয় ও রাজনৈতিক গুরুত্ব বহন করে।[৪][৫] ২০০১ সালে ইউনেস্কো সমাধিক্ষেত্রটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে ঘোষণা করে।[৫]

এখানে যে চারজন কাবাকাসের সমাধি তারা হলেন :

  • প্রথম মাতিসা (১৮৩৫-১৮৮৪)
  • দ্বিতীয় মুয়াঙ্গা (১৮৬৭-১৯০৩)
  • দ্বিতীয় দাউদি চাও (১৮৯৬-১৯৩৯)
  • স্যার এডোয়ার্ড মাতিসা (১৯২৪-১৯৬৯)

আগুনে ক্ষতি সম্পাদনা

১৬ মার্চ, ২০১০ সালে স্থানীয় সময় রাত ৮.৩০ মিনিটে কাসুবির সমাধিক্ষেত্রটি আগুন লেগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।[৬] আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি। বুগান্ডা রাজ্য সরকার এই ঘটনা তদন্তের জন্য পুলিসের পাশাপাশি একটি স্বাধীন তদন্ত দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছিল।[৬] আগুন লাগার পরদিন ১৭ মার্চ বুগান্ডার প্রধানমন্ত্রী জন বস্কো ওয়ালোসিম্বাই বলেন,

বুগান্ডা রাজ্য এই ঘটনায় শোকাহত। এই ঘটনার শোক প্রকাশ করার মত কোন ভাষা নেই।

— The Guardian[৭]

আগুনে সমাধিস্থলের ভেতরের সমাধির কোন ক্ষতি হয়নি। বুগান্ডা রাজ্য প্রশাসন এটি পুনরায় পূননির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন।[৮][৯] এরপর তদন্ত দল উগান্ডা সরকারের কাছে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল যদিও এটা জনগণের কাছে এখনো প্রকাশ করা হয়নি।[১০] ডিসেম্বর ২০১২ তে বৈদেশিক সহয়তায় এটি ফূনর্গঠনের কাজ শুরু হয়[১১] যেখানে বুগান্ডা সরকারের সেনাবাহিনী নিরাপত্তার দ্বায়িত্ব পালন ও কাজ তদারক করে।[১২]

চিত্রশালা সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Tombs of Buganda Kings at Kasubi"। ইউনেস্কো। ২০০১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৫-২৩ 
  2. Siraje Lubwama (Sunday, 15 April 2012)। "Lawyers sue govt over Kasubi tombs fire"দ্য অবজারভার। সংগ্রহের তারিখ 2013-05-23  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  3. Frederic Musisi (Monday, December 3 2012)। "Plan to rebuild Kasubi Tombs starts"ডেইলি মোসন। ২০১৯-০৮-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ 2013-05-23  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  4. "Kasubi Tombs website"। Kasubitombs.org। ১২ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৩ 
  5. "Uganda army deploys after fire destroys historic tombs"। AFP। ২৪ মার্চ ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৩ 
  6. "Uganda's Kasubi royal tombs gutted by fire"। BBC News। ১৭ মার্চ ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৩ 
  7. Rice, Xan (17 March 2010)। "Three killed in Kampala clashes after royal mausoleum destroyed by fire"The Guardian। London। সংগ্রহের তারিখ 26 may 2013  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  8. Maseruka, Joseph (১৭ মার্চ ২০১০)। "Kabakas still intact, says Katikkiro"New Vision। ২২ মার্চ ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৩ 
  9. "Government to help restore Kasubi tombs"। Uganda Media Centre। ১৭ মার্চ ২০১০। ২৬ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৩ 
  10. Lawyers sue govt over Kasubi tombs fire
  11. "Plan to rebuild Kasubi Tombs starts"। ৩ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০১৩ 
  12. "New Security Measures for Kasubi Tombs"। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

  উইকিমিডিয়া কমন্সে কাসুবির সমাধি সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।