কালো–পা কিডিওয়েক

পাখির প্রজাতি

কালো–পা কিডিওয়েক (ইংরেজি: black-legged kittiwake), এ পাখির বৈজ্ঞানিক নাম rissa tridactyla। এ পাখির বাংলা নাম দেওয়া হয়নি এখনো। তবে কালো–পা কিডিওয়েক রাখা যেতে পারে।[২] এটি একটি পরিযায়ী পাখি

কালো–পা কিডিওয়েক
Calls, recorded on Skomer
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: Charadriiformes
পরিবার: Laridae
গণ: Rissa
প্রজাতি: R. tridactyla
দ্বিপদী নাম
Rissa tridactyla
(Linnaeus, 1758)
     Summer      Winter

বিবরণ সম্পাদনা

পাখিটির পা ছোট ও কালো এবং ডানার আগার পালক কালো। আকারে কালো মাথা গাঙচিলের মতো। দেহের দৈর্ঘ্য ৩৮-৪১ সেন্টিমিটার, ওজন ৩০৫-৫২৫ গ্রাম। শরীরের বেশির ভাগ অংশ সাদা। পিঠের পালক ধূসর নীল। ঠোঁট হলদে। পুরুষ ও স্ত্রী পাখি দেখতে একই রকম। তবে গবেষকদের মতে, স্ত্রী পাখি পুরুষ পাখির চেয়ে হয়তো কিছুটা ছোট।

সভাব ও খাদ্য সম্পাদনা

এ পাখি সাধারণত নিজেদের দলে থাকে। কখনো অন্য সামুদ্রিক পাখির সঙ্গে যোগ দেয়। অন্য পাখির খাবার চুরি করে খাওয়ার অভ্যাস আছে। খাবার তালিকায় আছে মাছ, স্কুইড, চিংড়ি, পাখির ডিম, সামুদ্রিক শৈবাল ইত্যাদি। প্রজননের সময় এরা উপনিবেশ তৈরি করে বসবাস করে ও সমুদ্র উপকূলের পর্বতে বাসা করে ডিম পাড়ে। একটি উপনিবেশে ১ লাখ কিডিওয়েক পাখি থাকতে পারে। উভয় পাখি মিলেমিশে বাসা বানায়। স্ত্রী পাখি ১-৩টি ডিম পারে। দুজনে পালা করে ডিমে তা দেয় এবং ২৪-২৮ দিনে ছানা বের হয়ে আসে। ছানা উড়তে শেখে ৩৪-৫৮ দিনে। প্রজননের পর এরা সমুদ্রে ফিরে যায়। নবাগতরা প্রায় ৩-৫ বছর একটানা খোলা সমুদ্রে কাটায়। তারপর ডিম পাড়তে আগের জায়গায় ফিরে আসে। এরা সাধারণত সমুদ্রের যে অংশে ঢেউ ও পুষ্টি উপাদান বেশি থাকে সেদিকে খাবার খোঁজে। একটি পাখি প্রায় ১৩ বছর বেঁচে থাকে। শিকার, ডিম সংগ্রহ ও সমুদ্রে তেলদূষণের কারণে এ পাখির সংখ্যা কমে যেতে শুরু করেছে। বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে এ পাখির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। কিডিওয়েক সামুদ্রিক বাস্তুসংস্থান পর্যবেক্ষণের জন্য একটি নির্দেশক পাখি হিসেবে বিশ্বে ও পরিবেশবিদদের কাছে বিবেচিত।[৩]

চিত্রশালা সম্পাদনা

টীকা সম্পাদনা

  1. BirdLife International (২০১২)। "Rissa tridactyla"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2013.2প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩ 
  2. http://www.prothomalo.com/bangladesh/article/755467/%E2%80%98%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%BE%E2%80%93%E0%A6%AA%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%95%E2%80%99
  3. দৈনিক প্রথম আলো, মুদ্রিত সংস্করণ, শেষ পাতা, ৩১ জানুয়ারি, ২০১৬ইং

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

টেমপ্লেট:Gulls