কালেক্টিফ নৌস টৌটস
কালেক্টিফ নৌস টৌটস একটি ফরাসি নারীবাদ সংগঠনের নাম। যা নারীর প্রতি সহিংসতাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিয়োজিত।[১] [২]
ইতিহাস সম্পাদনা
গ্রুপটি ৩ জুলাই ২০১৮ সালে # মিটু এবং # ব্যালেন্সটনপর্ক আন্দোলনের পরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এর প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে ক্যারোলিন ডি হাসকে অন্তর্ভুক্ত করেছিল।
২০১৮ সালের দ্বিতীয়ার্ধ জুড়ে এই দলটি বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে - যার মধ্যে রয়েছে ২০ সেপ্টেম্বর যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা বিষয়ক একটি সম্মেলন এবং ২৪ নভেম্বর একটি প্রতিবাদ বিক্ষোভ - যেখানে পাঁচটি শহর জুড়ে ৮০,০০০ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।[৩] মার্চ ২০১৯ এর প্রথম দিকে এই দলটি প্যারিস জুড়ে ১৪০০ টি নকল রাস্তার নাম চিহ্ন স্থাপন করেছিল যার উপর বিখ্যাত নারী বা নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার শিকারদের নাম ছিল । দলটি উল্লেখ করেছে যে শহরের রাস্তার নামগুলোর মাত্র ২% নারীদের নামে নামকরণ করা হয়েছিল।[৪] জুলাই ২০১৯ সালে দলটি যৌন সহিংসতার বিষয়ে ম্যাক্রন সরকারের নীরবতার নিন্দা জানাতে প্লেস দে লা রিপাবলিক এ একটি বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল।[৫] ২৩ শে নভেম্বর ২০১৯ সালে এই দলটি প্যারিসে ১০০,০০০ সহ ১৫০,০০০ জন এরও বেশি বিক্ষোভের সাথে আরেকটি বড় বিক্ষোভের আয়োজন করে।[৬]
২০২০ সালের এপ্রিলে গ্রুপটি ইউনিসেফের সাথে অংশীদারিত্ব করে এবং মহামারী লকডাউন চলাকালীন শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধে সহায়তা করার জন্য একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করে ।[৭][৮] ফ্রান্সে কোভিড - ১৯ মহামারীর কারণে ২০২০ সালের নভেম্বরে এই গোষ্ঠীটি একটি গণ বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে পারেনি , তবে অনলাইন অনুষ্ঠানের আয়োজনে অন্যান্য বেশ কয়েকটি নারীবাদী গোষ্ঠীর সাথে যোগ দেয় ।[৯] ২০২০ সালের মার্চ মাসে দলটি একটি অনলাইন জরিপ শুরু করে , যেখানে ঘরোয়া সহিংসতার বিষয়ে পুলিশের কাছে রিপোর্ট করা নারীদের কাছ থেকে সাক্ষ্য গ্রহণের আহ্বান জানানো হয় । এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রায় দুই - তৃতীয়াংশ বলেছেন যে তারা পুলিশের কাছ থেকে প্রতিকূল অভ্যর্থনার মুখোমুখি হয়েছেন ।[১০] সেই মাসেই এই দল একটি প্রচারণা শুরু করে , যেখানে ফ্রান্স জুড়ে বেশ কয়েকটি বেকারি তাদের রুটির প্যাকেজিংয়ে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ফোন নম্বর হটলাইন স্থাপন করে।[১১]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ Pichard, Alexandra। "Pochoirs féministes : «L'histoire des trottoirs raconte des petits bouts de notre société»"। Libération (ফরাসি ভাষায়)।
- ↑ "Depuis #NousToutes, "une prise de conscience de la société" sur les violences faites aux femmes"। France Culture (ফরাসি ভাষায়)। নভেম্বর ২৩, ২০১৯।
- ↑ Mallaval, Catherine; Moran, Anaïs। "Une marche dans les pas de #MeToo"। Libération (ফরাসি ভাষায়)।
- ↑ "Paris: «NousToutes» a renommé 1400 rues avec des noms de femmes"। LEFIGARO (ফরাসি ভাষায়)। ৮ মার্চ ২০১৯।
- ↑ Zafimehy, Marie (জুলাই ৪, ২০১৯)। "Féminicides : un rassemblement pour dénoncer «le silence incroyable» de Macron"। leparisien.fr (ফরাসি ভাষায়)।
- ↑ "Tous pour #NousToutes - Libération"। ১২ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০২১।
- ↑ "Confinement et parentalité : #NousToutes lance un dispositif de soutien"। 50 - 50 Magazine (ফরাসি ভাষায়)। মার্চ ১৮, ২০২০।
- ↑ Figaro, Madame (এপ্রিল ৮, ২০২০)। "NousToutes et l'UNICEF s'unissent pour "faire entendre le cri" des enfants confinés et victimes de violences"। Madame Figaro (ফরাসি ভাষায়)।
- ↑ "Malgré le confinement, des collectifs féministes mobilisés contre les violences faites aux femmes"। France 24 (ফরাসি ভাষায়)। নভেম্বর ২২, ২০২০।
- ↑ "Violences conjugales : une association féministe dénonce le mauvais accueil des femmes par les forces de l'ordre"। LEFIGARO (ফরাসি ভাষায়)। ২৫ মার্চ ২০২১।
- ↑ "Quand 615 000 sacs à pain distribués par #NousToutes ont pour vocation d'alerter sur les violences sexistes et sexuelles"। France 3 Bretagne (ফরাসি ভাষায়)।