কাপিতাল এ ইদেওলোজি
কাপিতাল এ ইদেওলোজি (ফরাসি: Capital et Idéologie; "পুঁজি ও মতাদর্শ")[১] ফরাসি অর্থনীতিবিদ তোমা পিকেতি রচিত ও ২০১৯ সালে প্রকাশিত একটি গ্রন্থ।[২] এটি ২০১৩ সালে প্রকাশিত পিকেতি-র পূর্ববর্তী গ্রন্থ ল্য কাপিতাল ও ভাঁতে-উ্যনিয়েম সিয়েক্ল নামক গ্রন্থের উত্তরসূরী গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত (পিকেতি-র নিজের ভাষ্যমতেই), যাতে পিকেতি ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক বৈষম্যের ইতিহাসের উপরে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিলেন।[৩] কাপিতাল এ ইদেওলোজি-র পরিধি অপেক্ষাকৃত বৃহৎ, এবং পিকেতি এই দ্বিতীয় গ্রন্থটিকে বেশি পছন্দ করেন বলে মত প্রকাশ করেছেন।[৪] এই গ্রন্থে পিকেতি সম্পদের পুনর্বণ্টনের সম্ভাব্য উপায়গুলির রূপরেখা প্রদান করেছেন এবং অর্থনৈতিক বৈষম্যের পক্ষে বিভিন্নজনের প্রস্তাবিত ঐতিহাসিক ও সমসাময়িক যুক্তিগুলি নিয়ে আলোচনা করেছেন।[৫][৬] সম্পদ পুনর্বণ্টনের লক্ষ্যে বইটিতে পিকেতি-র প্রস্তাবিত পদ্ধতিগুলির মধ্যে রয়েছে "সবার জন্য উত্তরাধিকার", যেখানে কোনও দেশের নাগরিকের বয়স ২৫ বছর হলে তাকে সরকারীভাবে অর্থপ্রদান করা হবে।[৫]
লেখক | তোমা পিকেতি |
---|---|
ভাষা | ফরাসি |
বিষয় | পুঁজিবাদ, অর্থনৈতিক ইতিহাস, অর্থনৈতিক বৈষম্য, সমাজবিজ্ঞান |
প্রকাশক | |
প্রকাশনার তারিখ | ১২ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ |
মিডিয়া ধরন | মুদ্রিত (শক্ত মলাট) |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ১১৫০ |
আইএসবিএন | ৯৭৮-২-০২-১৩৩৮০৪-১ (ফ্রান্স) |
গ্রন্থটি অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক মূল্যায়ন লাভ করেছে। এছাড়া পিকেতি বইটির অংশবিশেষ কর্তন করতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণেও বইটি আগ্রহের সঞ্চার করে, এবং এ কারণে গণচীনে বইটির প্রকাশনা নিষিদ্ধ করা হয়।[৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Riché, Pascal; Aeschimann, Eric (সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৯)। "Thomas Piketty : « Il est temps de dépasser le capitalisme »"। L'Obs (French ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ Charrel, Marie (১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। "Thomas Piketty : " Tous les discours décrivant les inégalités comme inévitables sont battus en brèche par l'histoire ""। Le Monde। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "A bestselling economist sets out the case for socialism"। The Economist। আইএসএসএন 0013-0613। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৬।
- ↑ Horobin, William (১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। "Thomas Piketty Is Back With a 1,200-Page Guide to Abolishing Billionaires"। Bloomberg। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ ক খ Elliott, Larry (৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। "Thomas Piketty's new War and Peace-sized book published on Thursday"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ Hadas, Edward (২০২০-০২-২৮)। "Breakingviews - Review: Piketty digs deep for fool's gold"। Reuters (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-০৩।
- ↑ Davidson, Helen (২০২০-০৮-৩১)। "Thomas Piketty refuses to censor latest book for sale in China"। The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-০১।