কান্তিপুর (দৈনিক)

কান্তিপুর (নেপালী: कान्तिपुर) একটি নেপালি ভাষার দৈনিক পত্রিকা যা কাঠমান্ডু, বিরাটনগর, নেপালগঞ্জ এবং নেপালের ভারতপুর থেকে এক সাথে প্রকাশিত হয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শ্যাম গোয়েঙ্কা[৩] কান্তিপুরের প্রকাশকরা জানাচ্ছে যে, এই পত্রিকার প্রচলন শুধুমাত্র দিন প্রতি ৪৫৩০০০ কপির উপরে হয়। এটি নেপালের মধ্যে সর্বাধিক বহুল পঠিত সংবাদপত্রের মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত, পাশাপাশি নেপালি প্রবাসীদের জন্য স্বদেশের তথ্যের একটি ভাল উৎস। সুধীর শর্মা আগস্ট, ২০১৯ সাল থেকে পত্রিকাটির প্রধান-সম্পাদক ছিলেন (প্রায় দেড় বছর পরে দ্বিতীয়বার যোগ দিয়েছেন)। দৈনিক কান্তিপুরের অন্যান্য প্রকাশনাগুলি হলো নারি ম্যাগাজিন (মাসিক পত্রিকা), নেপাল ম্যাগাজিন (সাপ্তাহিক পত্রিকা), সপ্তহিক (সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন)।

কান্তিপুর
কান্তিপুর দৈনিক.jpg
কান্তিপুর দৈনিক, ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭.jpg
প্রথম পাতা কান্তিপুর ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
ধরনদৈনিক সংবাদপত্র
ফরম্যাটব্রডশিট
মালিককান্তিপুর মিডিয়া গ্রুপ
প্রতিষ্ঠাতাশ্যাম গোয়েঙ্কা
প্রকাশককৈলাশ শিরোহিয়া
প্রধান সম্পাদকশুধীর শর্মা
প্রতিষ্ঠাকাল২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৩; ৩০ বছর আগে (1993-02-20)[১]
ভাষানেপালি
সদর দপ্তরকেন্দ্রীয় বাণিজ্য পার্ক, থাপাথালি, কাঠমান্ডু
প্রচলন৪,৫৩,০০০[২]
ওয়েবসাইটekantipur.com

ইতিহাসসম্পাদনা

কান্তিপুর সর্বপ্রথম ৭ ফাল্গুন,২০২৯ খ (১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৩) এ প্রকাশিত হয়েছিল। এটি সহপ্রকাশনা হিসেবে দ্য কাঠমান্ডু পোস্টের সাথে প্রায়শই দেশে মুক্ত প্রেস এবং পেশাদার সাংবাদিকতা প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে কৃতিত্বপ্রাপ্ত হয়। কান্তিপুর নেপালে বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং প্রেসের স্বাধীনতার প্রতি এর অবস্থানের জন্য শুধু প্রশংসিতই হয়নি, সরকারের তদন্ত ও দমন-পীড়নের মুখোমুখিও হয়েছে।

বিতর্কসম্পাদনা

২০০১ সালে রয়্যাল গণহত্যার বিষয়ে তৎকালীন বিদ্রোহী নেতা বাবু রাম ভট্ট রায়ের নিবন্ধ প্রকাশের পর, সরকার তৎকালীন সম্পাদক যুবরাজ ঘিমিরেকে এবং অন্যান্য ব্যবস্থাপনা দলের সদস্যদের (পরিচালক- কৈলাশ শিরোহিয়া এবং বিনোদ জ্ঞেওয়ালি) গ্রেপ্তার করেছিল। [৪] ২০১০ সালের জুনে, কান্তিপুর অভিযোগ করেছিল যে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে কোম্পানির কাছ থেকে শাস্তি দিয়ে বিজ্ঞাপন প্রত্যাহার করে এবং ভারত থেকে নিউজপ্রিন্টের শিপমেন্ট বিলম্বিত করে এর প্রচ্ছদ নিয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। [৫]

২০১৮ সালের মার্চে, দৈনিক কান্তিপুর নেপাল প্রধান বিচারপতি গোপাল প্রসাদ পরাজুলির দ্বারা উপস্থাপিত হয়েছিলো। [৬] কান্তিপুরের প্রধান সম্পাদক, চেয়ারম্যান, একটি কোম্পানির পরিচালক এবং একজন রিপোর্টার নেপালের সুপ্রিম কোর্টের সামনে হাজির হয়েছিল, কারণ দৈনিক কান্তিপুরকে একাধিক নিবন্ধের জন্য আদালতে অবমাননার অভিযোগ করা হয়েছিল, যা ইঙ্গিত দিয়েছিলো যে নেপালের প্রধান বিচারপতি গোপাল প্রসাদ পরজুলির বেশ কয়েকটি সরকারী নথিতে বিভিন্ন জন্ম তারিখ দেওয়া ছিলো। [৬][৭][৮][৯]

সম্পূরক অংশসম্পাদনা

কান্তিপুর শুক্রবার, শনি ও রবিবারে শুক্রবার, কোশেলি এবং কোপিলা নামে তিনটি পরিপূরক প্রকাশ করে। শুক্রবার মূলত যুুবসমাজকে লক্ষ্য করে এবং গ্যাজেটস, ফ্যাশন এবং প্রবণতা সম্পর্কিত নিবন্ধগুলি প্রকাশ করে। কোপিলা ধাঁধা, কলা এবং গল্পের বাচ্চাদের দিকে লক্ষ্য করে, যেখানে কোশেলিতে রয়েছে বৈচিত্র্যতা।

আরো দেখুনসম্পাদনা

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. "Kantipur marks 23rd anniversary"। The Kathmandu Post। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
  2. "Kantipur"। Kantipur Media Group। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  3. Yubaraj Ghimire, (n.d.), Nepali Media at Crossroad: Can they Mediate Constitution-Making and Peace Processes? ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ জুলাই ২০১০ তারিখে, Nepal Democracy. Accessed July 23, 2016
  4. "Kantipur editor, publishers arrested"। Human Rights Server। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১১ 
  5. "Attacks on Press: Nepal"। Committee to Protect Journalist। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০১১ 
  6. http://www.gulf-times.com/story/583635/Nepal-newspaper-summoned-over-contempt-charges
  7. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৩ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০২০ 
  8. http://kathmandupost.ekantipur.com/news/2018-03-04/contempt-of-court-case-kantipur-team-to-reach-sc-at-11am-to-record-statements.html
  9. https://thehimalayantimes.com/kathmandu/supreme-court-begins-hearing-contempt-court-cases/

সামাজিক মাধ্যমসম্পাদনা