কাজী মো. আনোয়ার হোসেন
কাজী মো. আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। ১৯৮৬, ১৯৮৮ ও ১৯৯১ সালে জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে চার দলীয় ঐক্যজোটের বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রাপ্ত হয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালে বিএনপিতে যোগদান করে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ লাভ করেন। ২০১৬ সালে বিএনপির কাউন্সিলের পর তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পদে নিযুক্ত হন।[১][২][৩][৪]
কাজী মো. আনোয়ার হোসেন | |
---|---|
![]() | |
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ৭ মে ১৯৮৬ – ২৪ নভেম্বর ১৯৯৫ | |
পূর্বসূরী | আসন শুরু |
উত্তরসূরী | মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান |
কাজের মেয়াদ ১ অক্টোবর ২০০১ – ২৯ অক্টোবর ২০০৬ | |
পূর্বসূরী | মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান |
উত্তরসূরী | শাহ জিকরুল আহমাদ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯৫৫ জশাতুয়া গ্রাম, নবীনগর উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ৩ মার্চ ২০১৭ এপোলো হাসপাতাল, ঢাকা |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | জাতীয় পার্টি (এরশাদ) (২০০১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (২০০৬ সালের পূর্বে) |
সন্তান | কাজী নাজমুল হোসেন তাপস (ছেলে) |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন সম্পাদনা
কাজী মো. আনোয়ার হোসেন ১৯৫৫ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার জশাতুয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতার নাম মরহুম কাজী আরফান উদ্দিন। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যূত্থানে এবং ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। ছাত্র জীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সমর্থক ছিলেন। ১৯৭৪ সালে নিউ মডেল ডিগ্রী কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।
রাজনৈতিক ও কর্মজীবন সম্পাদনা
কাজী মো. আনোয়ার হোসেন ১৯৭৬ সালে মাচের্ন্ট নেভী, হেলেনিক, পার্ক এভিনিউ, নিউইয়র্ক-তৃতীয় কর্মকর্তা ( ডেক) হিসেবে যোগদান করে যুক্তরাষ্ট গমন করেন।
১৯৭৯ সালে দেশে ফিরে এসে ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পর্যায় ক্রমে ১৯৮৮ ও ১৯৯১ সালে জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান পদ লাভ করেন। ২০০১ সালে চার দলীয় ঐক্যজোটের বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রাপ্ত হয়ে পুনরায় জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সময় তিনি বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার ছিলেন।[১][২][৩][৪] তিনি ২০০৬ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) যোগদান করে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ লাভ করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি থেকে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন।[৫] ২০১৬ সালে বিএনপির কাউন্সিলের পর তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পদে নিযুক্ত হন।
মৃত্যু সম্পাদনা
কাজী মো. আনোয়ার হোসেন ০৩ মার্চ ২০১৭ ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে উনার বয়স ছিল ৬৪ বছর।[৬][৭]
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ "৩য় জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ "৪র্থ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ ক খ "৫ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ "৮ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "কাজী মো. আনোয়ার হোসেন"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২১।
- ↑ "নবীনগরের সাবেক এমপি আনোয়ার হোসেন মারা গেছেন"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২১।
- ↑ "সাবেক এমপি কাজী আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ"। দৈনিক নয়াদিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-২১।