কলকে ফুল
কলকে বা হলদে করবী বা পীতকরবী (বৈজ্ঞানিক নাম: Thevetia peruviana) এপোসিনাসি পরিবারের একটি উদ্ভিদ প্রজাতি। ওয়েস্ট ইন্ডিজে পীতকরবীর ফল ‘লাকি নাট’ নামে পরিচিত। সমবৈজ্ঞানিক নামের 'থিভেটিয়া' শব্দ থেকে বোঝা যায় এর আদি নিবাসের কথা। ষোড়শ শতাব্দিতে ফরাসী দরবেশ ও উদ্ভিদ সংগ্রাহক ‘আঁদ্রে থিভেট’ একে আবিষ্কার করেন দক্ষিণ আমেরিকায়, হয়ত পেরু অঞ্চলে, যেকারণে বৈজ্ঞানিক নামের এপিথেট-এ উল্লেখ করা হয় ‘পেরুভিয়ানা’।
কলকে ফুল Thevetia peruviana | |
---|---|
Flowers and leaves | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
শ্রেণীবিহীন: | সপুষ্পক উদ্ভিদ |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Asterids |
বর্গ: | Gentianales |
পরিবার: | Apocynaceae |
গণ: | Cascabela |
প্রজাতি: | C. thevetia |
দ্বিপদী নাম | |
Cascabela thevetia (L.) Lippold | |
প্রতিশব্দ[১] | |
|
বিবরণ
সম্পাদনাফুল দেখতে হুঁকার কল্কের মতো, তাই সহজভাবেই বাংলায় এর এক নাম হয়েছে কল্কে। কেউ কেউ একে কল্কা ফুল বলে থাকেন যা হয়ত কল্কে নামেরই ঈষৎ রূপান্তর।[২]
ব্যবহার
সম্পাদনাপারস্যে ব্যবহৃত ‘কল্কা’ নামটির আগমন ঘটেছে তুর্কী শব্দ কল্গা থেকে যার অর্থ পাতা। এই পাতাকে ‘মোটিফ’ হিসেবে বহুবার ব্যবহার করে তৈরি করা হয় শাড়ি, নকশিকাঁথা ও কাশ্মীরী শাল। প্রাচীনকালে এই বীজকে ছিদ্র করে মালা বানিয়ে গলায় ধারণ করতো পেরুর অধিবাসী।
বিষাক্ত অংশ
সম্পাদনাএই গাছের সব অংশই বেশিরভাগ মেরুদন্ডীপ্রাণীর জন্য বিষাক্ত কারণ এতে হৃৎপিণ্ডের ক্ষতিকারক গ্লাইকোসাইড থাকে। কলকে ফুল নিয়ে মানুষের ইচ্ছাকৃত এবং দুর্ঘটনাজনিত বিষক্রিয়ার অনেক ঘটনা জানা যায়।[৩] বিষক্রিয়ার ধরন হচ্ছে ফল মারাত্মক অবসাদক, পঙ্গুত্ব আরোপক ও ঘাতক।
রোপণের জায়গা
সম্পাদনাকলকে গাছ ছোট বৃক্ষের উচ্চতাসম্পন্ন বলে পৃথিবীর নানা দেশে একে রাস্তার পাশে, বাগানে ও পার্কে ভূদৃশ্যের জন্য লাগানো হয়। এই ফুলের ঘ্রাণ তীব্র না হলেও হাজারটা ফুল থেকে স্বতন্ত্র।
চিত্রশালা
সম্পাদনা-
পাতা ও কুঁড়িসহ কলকে ফুল
-
হলদে কলকে ফুলের কুঁড়ি
-
কমলা রঙা কলকে ফুল
-
কলকে গাছের কাণ্ড
-
কলকে ফল
-
শুকনো অবস্থায় কলকে ফল
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "The Plant List: A Working List of All Plant Species"। এপ্রিল ১৫, ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ১৭, ২০১৪।
- ↑ দ্বিজেন শর্মা লেখক; বাংলা একাডেমী ; ফুলগুলি যেন কথা; মে, ১৯৮৮; পৃষ্ঠা-১৭, আইএসবিএন ৯৮৪-০৭-৪৪১২-৭
- ↑ Shannon D. Langford & Paul J. Boor (1996). "Oleander toxicity: an examination of human and animal toxic exposures". Toxicology. 109 (1): 1–13. doi:10.1016/0300-483X(95)03296-R. PMID 8619248.