করুণা মেরি ব্রাগানজা

মেরি ব্রাগানজা (জন্ম: ১৯২৪; করুণা মেরি নামেও পরিচিত) হলেন একজন ভারতীয় ক্যাথলিক মঠবাসিনী, শিক্ষিকা, সমাজসেবক, লেখিকা, উন্নয়নমূলক শিক্ষা প্রচারক এবং মুম্বইয়ের সোফিয়া কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন।[১] তিনি সোসাইটি অফ দ্য স্যাক্রেড হার্টের (আরএসসিজে) একজন সদস্য,[২] সিনিয়র করুণা মেরি-এর (যেটি প্রায় ২০৪টি কলেজ পরিচালনা করেছে) একজন সদস্য ছিলেন।[৩] ১৯৭০ সালে সোফিয়া কলেজে তাঁর দায়িত্ব পালনকালে এই প্রতিষ্ঠানটি সোফিয়া পলিটেকনিক শুরু করেছিল।[৪] ২০০৮ সালে ভারত সরকার তাঁকে সামাজিক অবদানের জন্য ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী প্রদান করেছিল।[৫]

করুণা মেরি ব্রাগানজা
জন্ম১৯২৪
পেশাশিক্ষাবিদ
সমাজকর্মী
কর্মজীবন১৯৫০ পর্যন্ত
পুরস্কারপদ্মশ্রী

শৈশব সম্পাদনা

করুণা মেরি ব্রাগানজা ১৯২৪ সালে ভারতের গোয়া রাজ্যের মাপুসায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি তাঁর বাবা মায়ের দশটি সন্তানের মধ্যে পঞ্চম ছিলেন। তিনি মুম্বইয়ের বান্দ্রা শহরে তাঁর শৈশব অতিবাহিত করেছিলেন।[৬]

শিক্ষা ও কর্মজীবন সম্পাদনা

তিনি মুম্বইয়ের সেন্ট জাভেয়ার্স কলেজ থেকে স্নাতক এবং একই প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি কলেজে থাকাকালীন সময় থেকেই সামাজিক কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। উক্ত সময়ে তিনি তালসারিতে মিশন শিবিরের আয়োজন করেছিলেন। তিনি ১৯৫০ সালে সোসাইটি অফ দ্য স্যাক্রেড হার্টে একজন হয়ে মঠবাসিনী বা প্রব্রাজিকা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁর অধ্যাদেশ ইংল্যান্ড থেকে জারি করা হয়েছিল। ভারতে ফিরে, তিনি বেঙ্গালুরুর সোফিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হিসেবে বেশ কয়েক বছর চাকরি করার পরে মুম্বইয়ের সোফিয়া কলেজে ইংরেজি বিভাগে যোগদান করেছিলেন। তিনি ১৯৬৫ সালে প্রথম ভারতীয় হিসেবে এই বিভাগের প্রধান, উপাধ্যক্ষ, কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষের পদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন।[৭]

সেবা মূলক কাজ সম্পাদনা

কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন তিনি বেশ কয়েকটি শিক্ষামূলক এবং সামাজিক প্রকল্প শুরু করেছিলেন। তিনি স্নাতক স্তর পর্যন্ত বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য কলেজের একটি অংশ ভাবা ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং সমাজবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান এবং জৈব রসায়নের জন্য নতুন বিভাগ শুরু করেন। [৩] ১৯৭০ সালেএই কলেজটি সোফিয়া পলিটেকনিক নামে একটি বৃত্তিমূলক শিক্ষা কেন্দ্র শুরু করেছিল এবং পাঁচ বছর পর একটি জুনিয়র কলেজ শুরু করে।[৮] তাঁর আর একটি বড় অবদান ছিল কলেজ ক্যাম্পাসে উন্নয়ন চ্যালেঞ্জের জন্য এস. পি . জে .সাধনা স্কুল প্রতিষ্ঠা, যেখানে বিশেষ দক্ষতা সম্পন্ন শিশুদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল এবং তাদের পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছিল।[৯] তিনি শিক্ষার্থীদের সামাজিক কার্যক্রম গ্রহণে উৎসাহিত করেছিলেন বলেও জানা যায়; ওয়ারলী আদিবাসীদের সাথে এবং কোসবাদে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা এ জাতীয় দুটি অনুষ্ঠান ছিল।[৭]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Sr Karuna Mary Braganza on Archives.org"। Archives.org। ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ 
  2. "RSCJ"। Vidimus Dominum। ২১ মে ২০১৪। ৫ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  3. "Mary has a little lamp"। Times of India। ১৮ অক্টোবর ২০০১। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ 
  4. "About Sophia Polytechnic"। Sophia Polytechnic। ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ 
  5. "Padma Awards" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs, Government of India। ২০১৬। ১৫ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৬ 
  6. "A school, a flood and an 84-yr-old nun who is always on the move"। Times of India। ৭ মে ২০০৮। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০১৬ 
  7. "A Nun Named Compassion" (পিডিএফ)। Sparrow Online। এপ্রিল ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  8. "Milestones"। Sophia College। ২০১৬। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  9. "S.P.J. Sadhana School for the Developmentally Challenged"। Karmayog। ২০১৬। ২৬ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬