মনিটর বা ডিসপ্লে হলো কম্পিউটারের জন্য একটি ইলেকট্রনিক দৃষ্টি সহায়ক প্রদর্শক। একটি মনিটর সাধারণত ডিসপ্লে ডিভাইস, সার্কিট, আবরণ, এবং পাওয়ার সাপ্লাই দিয়ে গঠিত। কম্পিউটারের প্রধান আউটপুট ডিভাইস হিসাবেই বেশি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত মনিটর বলতে বুঝি টেলিভিশনের মতো বড় আকৃতির যন্ত্রকে, কিন্তু প্রযুক্তিতে মনিটরের ধারণা অ্যারও ব্যাপক অর্থে ব্যবহার হয়। মনিটর হল সেই সরঞ্জাম যাতে সিস্টেমে চলমান প্রক্রিয়া সরাসরি দেখা যায়।

এল সি ডি মনিটর

মনিটর একটি বহুল ব্যবহৃত আউটপুট সরঞ্জাম যা ছাড়া বর্তমানে কম্পিউটিং অসম্ভব। মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে মহাকাশ প্রযুক্তিতে মনিটর ব্যবহার হচ্ছে। অতিতে যখন মনিটর তৈরি করা হয় তখন তা ছিল আকার আকৃতিতে বিশাল, এতে প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ হত। প্রথম দিকে সব মনিটরে ক্যাথোড রে টিউব ব্যবহার হত। টিউব এর বিপরীত পাশে ফসফরাসের প্রলেপ লাগানো থাকতো। যখন টিউব থেকে প্রচণ্ড গতিতে ইলেকট্রন টিউব থেকে বেরিয়ে এসে ফসফরাসে আঘাত করে তখন তা আলো বিকিরণ করে এবং এই আলো সামগ্রিক ভাবে বোধগম্য চিত্র ফুটিয়ে তোলে। টিউব থেকে ইলেকট্রন বেরিয়ে আসার হার প্রতি সেকেন্ডে ৫০ থেকে ৭০ বার।থাম্ব|পুরাতন মনিটর

টিউব মনিটরের অনেক সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে বিকল্প খুঁজার প্রয়োজন হয়। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে মনিটরের আকার আকৃতি পরিবর্তন হয়। ফ্লাট মনিটরের আবিষ্কার হয়। এই ফ্লাট মনিটরে চার্জ যুক্ত বিদ্যুৎ পরিবাহী তরল ক্রিস্টাল ব্যবহার করা হয়। যখনই এই তরলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয় তখন তা নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে আলোকে বাঁধা প্রদান করার মাধ্যমে দৃষ্টিগোচর বিন্দুতে রূপান্তর করে ও সামগ্রিক ভাবে চিত্রে পরিণত হয়। ঘড়ীতে এই মনিটর ব্যবহার করা হতো আর এখন বর্তমানে মোবাইল ফোনে এই মনিটরের বহুল ব্যবহার হয়।

  1. সি আর টি / ক্যাথোড রে টিউব মনিটর[]
  2. ফ্লাট প্যানেল মনিটর

[]

ক্যাথোড রে টিউব মনিটর

সম্পাদনা
 
-ক্যাথোড রে টিউব

এই মনিটরে পিকচার টিউব ব্যবহার করা হয়। রঙ্গিন মনিটরের জন্য আরও তিনটি বেশি টিউব লাগানো হয়। এই মনিটরে কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

বৈশিষ্ট্য
  • পিকচার টিউব ব্যবহার করা হয়
  • ফসফরাসের প্রলেপ থাকে
  • বিদ্যুৎ খরচ বেশি
  • আকার আকৃতিতে বড়
  • মৌলিক রঙ তিনটি লাল সবুজ নীল
  • ইলেকট্রন গান ব্যবহার হয়

অতিতে ব্যবহৃত সাদা কালো / রঙ্গিন টিভি হল ক্যাথোড রে টিউব মনিটরের উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

ফ্লাট প্যানেল মনিটর

সম্পাদনা
 
-এল সি ডি মনিটর

যে সকল মনিটরে কোন পিকচার টিউব থাকে না সে মনিটর হল ফ্লাট প্যানেল মনিটর। বর্তমানে এ ধরনের মনিটরের মধ্যে বেশি ব্যবহার হয় (লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লে) মনিটর।

বৈশিষ্ট্য
  • বিদ্যুৎ খরচ কম হয়
  • পিকচার টিউব ব্যবহার হয় না
  • ক্রিস্টাল আলো বিকিরণ করে
  • তথ্য প্রদর্শনের মান ভাল
  • ওজনে হালকা পাতলা
  • আকার আকৃতিতে ক্ষুদ্র

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Cathode Ray Tube (CRT) Monitors"। Infodingo.com। ২০১১-০৩-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৫-২০ 
  2. "FDMI Overview" (পিডিএফ) 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা