কমলাপেট কাঠবিড়ালি

স্তন্যপায়ী প্রাণীর প্রজাতি

কমলাপেট কাঠবিড়ালি (ইংরেজি: orange-bellied Himalayan squirrel), (বৈজ্ঞানিক নাম: Dremomys lokriah) যা কালো কাঠবিড়ালি, মান্দার বা চাঁচিয়া নামেও পরিচিত এক ধরনের কাঠবিড়ালি। এরা সাধারণত চুক-চুক আওয়াজ করে এবং গায়ের রঙ কালচে ধরনের।[২] বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[৩]

কমলাপেট কাঠবিড়ালি
Dremomys lokriah
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: প্রাণী জগৎ
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: Mammalia
বর্গ: Rodentia
পরিবার: Sciuridae
গণ: Dremomys
প্রজাতি: D. lokriah
দ্বিপদী নাম
Dremomys lokriah
(Hodgson, 1836)

আকার সম্পাদনা

কমলাপেট কাঠবিড়ালি মাঝারি আকারের স্তন্যপায়ী প্রাণী। লম্বায় ৪২ সেন্টিমিটার, যার মধ্যে দেহ ২০ সেন্টিমিটার ও লেজ ২২ সেন্টিমিটার। দেহের রং গাঢ় বাদামি, কালচে বাদামি বা কালো। গলা থেকে পেট পর্যন্ত অংশের রং কমলা। লেজ গাঢ় বাদামি থেকে কালচে। পা এবং কান ছোট ও লম্বাটে। কানের পেছনে সাদা দাগ রয়েছে। নাক খাটো।[২]

স্বভাব সম্পাদনা

গলার স্বর কর্কশ; কাঁপা কাঁপা স্বরে ‘চুক-চুক’ করে ডাকে। দিনের বেলা বেশ সক্রিয় থাকে। সারা দিন গাছে গাছে ঘুরে বেড়ায়। মাটিতেও নামে। একাকী বা জোড়ায় থাকে। বিভিন্ন ধরনের ফল, সবজি, বীজ ও গাছের ছাল খায়। ফলের বীজ ছড়িয়ে এদের বংশবৃদ্ধিতে বেশ সাহায্য করে।[২]

বাসস্থান সম্পাদনা

সাধারণত গাছের খোঁড়লে পাতা ও কাঠিকুটি দিয়ে বাসা বানায়। বাসার ভেতরে একটি অন্দরমহলও থাকে। বাসায় ঢোকার রাস্তা থাকে এক পাশে।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Molur, S. (2008). Dremomys lokriah. 2008 IUCN Red List of Threatened Species. IUCN 2008. Retrieved on 6 January 2009.
  2. সুদর্শন কমলাপেট কাঠবিড়ালি[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ],আ ন ম আমিনুর রহমান, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১০-০৩-২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
  3. বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০, ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা-১১৮৪৯১