কড়ি খেলা বাংলাদেশের একটি গ্রামীণ খেলা।[] যে সব কৈশোর উত্তীর্ণ মেয়েদের চলাফেরা নিয়ন্ত্রিত সাধারণত তারাই কড়ি বেশি খেলে থাকে। কড়ি পাঁচ গুটির মতই সমান জনপ্রিয় একটি খেলা। গ্রাম অঞ্চলে ছোটো শামুককে কড়ি বলা হয়। প্রথমে এ শামুক দিয়ে খেলাকে কড়ি খেলা বলা হতো। পরে পাটখড়ি বা খেজুরের বিচি দিয়ে কড়ি বানিয়ে গ্রামে খেলা হয়ে থাকে।

কড়ি খেলা/ চার গুঁটি

খুশুর খুশুর দুর্গা মাসুর

তিন তালিয়া মার কেলিয়া
কুমড়ার চাক ধাপ্পা দিয়া

হাতের কড়ি হাতে থাক

খেলার নিয়মাবলী

সম্পাদনা

১ ) গুটির দুই সাইড। সমান ও বাঁকা অংশ। পয়েন্ট আকারে খেলা হয়। একটা নির্দিষ্ট পয়েন্ট পর্যন্ত খেলবেন তা নির্ধারণ করে নিন (যেমন ১০০)। ২ ) গুঁটি চারটি হাতের মুঠোয় নিয়ে আস্তে করে সামনে ফেলুন। যদি চার টা গুঁটিই বাঁকা অংশের দিকে পড়ে তবে আপনার খেলা শুরু। ( লুডুতে ৬ উঠার মত ) ৩ ) কারো যদি বাঁকা অংশে ৪ টা মিলে যায় তবে তার ৪ পয়েন্ট। এর পর সে আবার ফেলবে। এবার যদি অন্যান্য ভাবে থাকে যেমন ২ টা উল্টো পিঠ দুটো সোজা, অথবা ১ টা সোজা ৩ টা উল্টো পিঠ তবে ঠিক আছে। আপনার লক্ষ্য হলো এক গুঁটি দিয়ে অন্য গুটিকে টূকা স্পর্শ করা । এক গুটিকে আরেক গুঁটি স্পর্শ করলে ১ পয়েন্ট। এভাবে ২ বারই করতে পারলে ২ পয়েন্ট এবং আগের ৪ পয়েন্ট মোট ৬ পয়েন্ট। কিন্তু যদি এক বার স্পর্শ করে ২য় বার না করতে পারেন তবে আগের ৪ আর পরের এক বার এই ৫ পয়েন্ট হবে। স্পর্শ না করতে পারলে এবার আপনার প্রতিপক্ষের পালা। খেলার নিয়ম একই, তার ৪ টা একই রকম বাঁকা অংশ না উঠা পর্যন্ত টুকা দিত পারবেনা এবং পয়েন্ট গণনা হবেনা। ৪) যদি ৪ টা গুঁটিই সোজা অংশের দিকে পড়ে তবে আপনি তখন ৮ পয়েন্ট পাবেন । তখন টোকা দিতে হবেনা। ৫) যদি ফেলার সময় এক গুটির সাথে আরেক গুঁটি স্পর্শ লেগে থাকে অথবা উপরে থাকে তবে সেই জোড়া বাদ। সেই জোড়ার নাম হবে "পচা চাল"। অন্য জোড়া খেলবেন। ২ জোরাই একই রকম হলে প্রতিপক্ষের চাল। ৬) যদি ৩ টা সোজা পিঠ আর একটা বাঁকা পিঠ পড়ে তবে সেটা পচা চাল। প্রতিপক্ষ খেলবে। তবে যদি ৩ টা বাঁকা পিঠ আর একটা সোজা হয় তবে ঠিক আছে। ৭) যে আগে নির্দিষ্ট পয়েন্ট করবে সে জিতবে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. বাংলাদেশের খেলাধুলা, রশীদ হায়দার, বাংলা একাডেমী