ওয়াহিদা খলিল
ওয়াহিদা খলিল , একজন ইরাকি গায়িকা ও অভিনেত্রি। যার আসল নাম মরিয়ম আবদুল্লাহ জুমা (১৯২৪ - ১৯৯৫), ইরাকে গান গাওয়ার পারফরম্যান্সের জন্য তিনি অনন্য। [১]
ওয়াহিদা খলিল | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্মনাম | ওয়াহিদা খলিল |
জন্ম | ১৯২৪ খৃ বসরা, ইরাক |
উদ্ভব | ইরাকি |
মৃত্যু | ১৯৯৫ খৃ বাগদাদ, ইরাক |
ধরন | ইরাক |
পেশা | গায়িকা, অভিনেত্রি |
কার্যকাল | ১৯২৪–১৯৯৫ |
জন্ম
সম্পাদনাতিনি ১৯২৮ সালে ইরাকের বসরা শহরের রিবাত আস সগির গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা-মাতা দু’জনেই ইরাকি। ছোটকালে পিতা মৃত্যুবরণ করেন এবং মাতার তত্বাবধানে লালিতপালিত হন।
সংগীত জীবন
সম্পাদনাতিনি অনেক দুঃখ-কষ্টের মধ্যে জীবন যাপন করেন। পিতৃহীন জীবনযাপনের যে কষ্ট সেটা জীবনে পাওয়া যায়্। সংসারের অভাব অনটনে তার সংগীতই ছিল একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম। ১৯৪০ সালে বাগদাদে আসেন এবং সেখানে সংগীত, চারুকলাসহ বিভিন্ন বিষযয়ে পড়াশুনা ও চর্চা করা শুরু করেন। ১৯৪৮ সালে শিল্পী সাইয়েদ উম্মু কুলসুম এবং অভিনেত্রি ও গায়ক লাইলি মুরাত এবং অন্যান্যদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সংগীত চর্চা শুরু করেন। তিনি সে সময়কার সংগীত শিল্পী গীতিকার, সুরুকার হাদিরি ওবায়জিজ, দাখিল হাসার প্রমুখ শিল্পীর সহযোগিতায় নেন। ১০৫০ সালে তিনি রেডিও বাগদাদে গান পরিবেশ করার সুযোগ পান এবং সবার মাঝে নিজের স্থান করে নেন। রেডিওতে তার প্রথম গান ছিল يا يمه ذاك اهواي “ইয়া ইয়াম্মা যাকা হাওয়ায়ি অর্থ- ও নদী এটাই আমার কামানা। এ গানটির সুর করেন বিখ্যাত সুরুকার নাজিম নাঈম। তার গানে সুর প্রদান করতেন ইরাকের বিখ্যাত সুরুকার আব্বাস জামিল, মুহাম্মদ নোশি এবং অন্যান্যরা। তিনি যখন রেডিও ইরাকে গান করেন সে সময় তার অসংখ্য গানের সিডি বের হয়। গানের এ সিডি গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-" دللول يا الولد يا أبني " অর্থ- ও বাবা ও ছেলে আমাকে পথ দেখাও। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ওয়াহিদা খলিলের গান ইরাকের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। দোকান, বাড়ি, অফিস সবখানে তার গান বাজতে থাকে। তিনি বাগদাদের বাড়িতে বা কোন অনুষ্ঠানে গান গাওয়া শুরু করেন। তার অনুষ্ঠানে অসংখ্য মানুষ উপস্থিত হত। তিনি নিজেকে এ খ্যাতির মধ্যে না রেখে তার গান বিভিন্ন থিয়েটার, ক্লাব ও মঞ্চে পরিবেশন করা শুরু করেন। ফলে সে সময়কার বড় বড় সংগীত শিল্পগণ তার গানের প্রসংশা করতে থাকে। সংগীত শিল্পী ওয়াহিদা খলিলের অনেক গান ইরাকিরা সংগ্রহ করতে থাকে। ইরাকি সংগীত সংঘ তার গান সংগ্রহ করে এবং এতে তারা আশ্চার্য হয়। তারা সবাই ওয়াহিদা খলিলের গান, কণ্ঠ, সাবলিল সুরের প্রসংশা করে। আর বলে এ যুগের শ্রেষ্ট সংগীত শিল্পী হচ্ছে ওয়াহিদা খলিল। তার সুমধুর গানের সুর আজও ইরাকের পথে প্রান্তরে, শহর-গ্রামে বাজে। মনে হয় যেন এক শিশু শিল্পী গান করছে। ১৯৬১ সালে তিনি “ফজরুল হুররিয়াত” সিনেমায় অভিনয় ও সংগীত পরিবেশন করেন। এ সিনেমায় তিনি-" هذا منو دق الباب " গানটি গান।
মৃত্যু
সম্পাদনা১৯৯৫ সালে এই গায়িকা মারা যান।
জনপ্রিয় গান
সম্পাদনাতার অনেক গান প্রসিদ্ধি লাভ করে তন্মধ্যে-
- أنا وخلي تسامرنة وحجينه “আনা ওয়া খালি তাসামারনা ওয়া হাজিনা।”
- لا هو جرح ويطيب “লা হুয়া জরহুন ওয়া ইয়াতলুব।”
- عليمن ياقلب تعتب عليمن “আলিমান ইয়া কলবি তা‘তাবু আলিমা”
- حرت والله بزماني “হারাত ওয়াল্লাহে বি যমানি”
- سبحانة الجمعنة “সুবহানাতাল জুমাআনা”
- هذا منو دق الباب “হাযা মানু দাক্কল বাবা”
- امس واليوم “আমসি ওয়াল ইয়াওম “
- ارد اوقف بحي الولف “উরেদু আওকাফু বি হাইয়েল উলফা”
- على بالي ابد “আলা বালি আবাদা”
- اقولك لو عواذلنا تقولك “আকুলুকা লাও আওয়াজাল না তাকুলুকা”
- بسكوت اون بسكوت “বি সুকুতি আওয়ানে বি সুকুতি”
- يمة هنا “ইয়াম্মা হুনা”
- ماني صحت “মানি সাহাত”
- جان الحي حلو بعيني “জানুল হাইয়ে হুলুবুন বি আইনে”
- اليه يحفظج يا يمة “এলাইহে ইয়াহফেজা ইয়া ইয়াম্মাহ”
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ مبدعات عراقيات في الغناء والموسيقى ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০২০-০৫-৩০ তারিখে