ওম্যান ইন সাইন্স (বিজ্ঞানে নারী)[১] ১৯১৩ সালে প্রকাশিত এইচ জে মোজানস (জন অগাস্টাইন জহমের ছদ্মনাম) রচিত একটি বই। বইটিতে, ১৯১৩ সাল অবধি বিজ্ঞানে অবদান রেখেছিল এমন মহিলাদের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।

ওম্যান ইন সাইন্স
বইটির প্রচ্ছদ (১৯১৩)
লেখকএইচ. জে. মোজানস
ভাষাইংরেজি
প্রকাশনার তারিখ
১৯১৩
পৃষ্ঠাসংখ্যা৪২৭

বিষয়বস্তু সম্পাদনা

সাইন্স ইন ওম্যান বইজুড়ে যে বিস্তৃত বিষয়বস্তু চিত্রিত হয়েছে তা হলো মহিলাদের জৈবিক ক্ষমতা। এটি দৃঢ়ভাবে বলা হয়েছে যে নারীরা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়ে কম বিশিষ্ট (বিখ্যাত) হওয়ার কারণ মস্তিষ্কের আকার বা কাঠামোর জৈবিক দিকগুলির কারণে নয়, বরং শিক্ষাগত এবং কর্মজীবনে সুযোগের অভাবে তারা পিছিয়ে। এছাড়াও, বইটি ইতিহাস জুড়ে বিজ্ঞানের অনেকগুলি উন্নতির কথা লেখা হয়েছে। লেখকের অথবা গ্রন্থটির মূল লক্ষ্য ছিল বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী মহিলাদের জন্য শিক্ষাগত এবং ক্যারিয়ারের সুযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি তাদের বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে আরও বেশি যুক্ত হওয়ার এবং সম্মানজনক অবস্থান অর্জন করার বিষয়টি উপলব্ধি করানো। এটি বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের নারীদের অবদানের প্রথম সহযোগিতাগুলির একটি এবং এটি "বিজ্ঞানে নারীদের অংশগ্রহণের প্রতিবন্ধকতাগুলি আবিষ্কার করেছিলো।"[২]

বইয়ের অধ্যায়গুলি সম্পাদনা

  • প্রথম: নারীর দীর্ঘ সংগ্রামের জন্য মনস্থির৷
  • দ্বিতীয়: বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের জন্য নারীর সক্ষমতা।
  • তৃতীয়: গণিতে মহিলা৷
  • চতুর্থ: জ্যোতির্বিদ্যায় মহিলা৷
  • পঞ্চম: পদার্থবিদ্যায় মহিলা৷
  • ষষ্ঠ: রসায়নে মহিলা৷
  • অষ্টম: প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে মহিলা৷
  • অষ্টম: মেডিসিন ও সার্জারিতে মহিলা৷
  • নবম: প্রত্নতত্ত্বের মহিলা৷
  • দশম: উদ্ভাবিত মহিলা৷
  • একাদশ: বিজ্ঞানে অনুপ্রেরক ও সহযোগী হিসাবে মহিলা৷
  • দ্বাদশ: বিজ্ঞানে নারীর ভবিষ্যত: সংক্ষিপ্তসার এবং এপিলোগ৷

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Woman in Science, by H. J. Mozans (MIT Press, 1974)
  2. Schiebinger, Londa। Has Feminism Changed Science? (ইংরেজি ভাষায়)। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। পৃষ্ঠা ২৩। আইএসবিএন 978-0-674-00544-0