ওমান-মালয়েশিয়া সম্পর্ক

ওমান এবং মালয়েশিয়া রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক

ওমান-মালয়েশিয়া সম্পর্ক, ওমান এবং মালয়েশিয়ার মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর এ ওমানের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে।[১] অপরদিকে ওমানের রাজধানী মাস্কাট এ মালয়েশিয়ার একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে।[২]

ওমান-মালয়েশিয়া সম্পর্ক
মানচিত্র Malaysia এবং Oman অবস্থান নির্দেশ করছে

মালয়েশিয়া

ওমান

ইতিহাস সম্পাদনা

১৯৮৩ সালে, ওমান এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়।[৩] ওই একই বছরই, মালয়েশিয়া, ওমানের রাজধানী মাস্কাটে তাদের দূতাবাস স্থাপন করে।[৪] তবে ওমান মালয়েশিয়াতে দূতাবাস স্থাপন করে এরও অনেক পরে। কুয়ালালামপুরে, ২০১১ সালে, ওমান তাদের দূতাবাস স্থাপন করে।[৫]

অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্পাদনা

ওমান এবং মালয়েশিয়া এই দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর থেকে প্রতি বছরই বৃদ্ধি পায়। ১৯৯৫ সালে এই দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২৮.১ মিলিয়ন (২.৮১ কোটি) মার্কিন ডলার। যা, ২০০৬ সালে বেড়ে দাঁড়িয়ে হয় ১.০৬ বিলিয়ন (১০৬ কোটি) মার্কিন ডলার। ২০০৬ সালে মালয়েশিয়ায় ওমানের রপ্তানি ৯৫৬ মিলিয়ন (৯৫.৬ কোটি) মার্কিন ডলার এবং অপরপক্ষে ওমানে মালয়েশিয়ার রপ্তানি আয় ছিল ১০৮ মিলিয়ন (১০.৮ কোটি) মার্কিন ডলার। ১৯৯৫ সালে এর পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ২৬.৪ মিলিয়ন (২.৬৪ কোটি) মার্কিন ডলার এবং ১.৭ মিলিয়ন (১৭ লক্ষ) মার্কিন ডলার।[৬] ২০০৯ সালে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য খাতে সমন্বয় বৃদ্ধি এবং সম্পর্কোন্নয়নে, ওমান এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত হয়।[৭] ওমানে, মালয়েশিয়ার প্রধান রপ্তানি পণ্য হল; ভোজ্য তেল, যন্ত্রপাতি, কাঠের পণ্য এবং আসবাবপত্র, বৈদ্যুতিক উপকরণ, যন্ত্রাংশ প্রভৃতি। অপরদিকে, মালয়েশিয়ায় ওমানের প্রধান রপ্তানি পণ্য হল খাদ্যদ্রব্য। সম্প্রতি, ওমান থেকে মালয়েশিয়ায় হিমায়িত মুরগির মাংস রপ্তানির বিষয়ে ওমান এবং মালয়েশিয়া একটি চুক্তি সাক্ষর করেছে। [৮] উভয় দেশই নিজেদের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।[৯][১০] ২০১১ সালে মালয়েশিয়া থেকে ওমানে এল পি জি গ্যাস বিক্রির বিষয়ে মালয়েশিয়া ও ওমানের মধ্যে একটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়। তবে চুক্তির অর্থের পরিমাণ ছিও অজ্ঞাত। [১১] ২০১৫ সালে, এই দুই দেশ সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে সমন্বয়ের জন্য একটি চুক্তি সাক্ষর করে।[১২]

২০১১ সালে, মালয়েশিয়ায়, ওমানের ১৩০০ ছাত্র অধ্যয়নরত ছিল এবং ওমানের প্রায় ৩০ হাজার পর্যটক মালয়েশিয়া ভ্রমণে গিয়েছিলেন। অপরদিকে, মালয়েশিয়ার ১,০০০ শ্রমিক ওমানে কর্মরত ছিলেন। শ্রমিকদের অধিকাংশই তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রে কর্মরত ছিলেন।[১৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Home"। ওমান দূতাবাস, কুয়ালালামপুর। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৭ 
  2. "মালয়েশিয়া দূতাবাস, মাস্কাট"। Ministry of Foreign Affairs, Malaysia। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৭ 
  3. মুইন আব্দুল মজিদ (১৫ জানুয়ারি ২০১১)। "Rosmah's visit to boost Oman-Malaysia ties, says diplomat"বার্নামা। নিউ স্ট্রেইটস টাইমস। ২৯ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ 
  4. "History"। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মালয়েশিয়া। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৭ 
  5. "History"। ওমান দূতাবাস, কুয়ালালামপুর। ২ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৭ 
  6. অনিতা জোসেফ (২০ জানুয়ারি ২০০৮)। "Oman, Malaysia ink trade and investment MoU"টাইমস অব ওমান। ইসকান্দার মালয়েশিয়া। সংগ্রহের তারিখ ১ জানুয়ারি ২০১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  7. The Report: Oman 2010। অক্সফোর্ড বিজনেস গ্রুপ। পৃষ্ঠা 18–। আইএসবিএন 978-1-907065-13-2 
  8. "M'sia first Islamic nation to supply frozen halal broiler chicken to Oman"বার্নামা। ইয়াহু! নিউজ। ৬ এপ্রিল ২০১১। ১২ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ 
  9. "Oman seeks to strengthen trade ties with Malaysia"। গালফ নিউজ জার্নাল। ২৫ জুন ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৭ 
  10. "Ithraa conducts successful Malaysian talks"। টাইমস অব ওমান। ২৬ জুন ২০১৫। ২ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৭ 
  11. "Shell Malaysia to divest LPG ops to Oman's National Gas"। দ্যা স্টার। ১০ মে ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৭ 
  12. পি.দিবাকরণ (২১ অক্টোবর ২০১৫)। "Malaysia, Oman ink cyber security agreement"। দ্যা স্টার। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৭ 
  13. "Oman provides business opportunities for Malaysia"বার্নামা। দ্যা মালয়েশিয়ান টাইমস। ৩ জানুয়ারি ২০১৩। ২ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৭