ওমান-কেনিয়া সম্পর্ক

ওমান এবং কেনিয়া রাষ্ট্রদ্বয়ের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক

ওমান-কেনিয়া সম্পর্ক ওমান এবং কেনিয়া এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। এছাড়াও এই দুই দেশের মধ্যকার অতীতের ঐতিহাসিক সম্পর্ককেও নির্দেশ করে। ওমানের রাজধানী মাস্কাট এ কেনিয়ার একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে, অপরদিকে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে ওমানের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে।

ওমান-কেনিয়া সম্পর্ক
মানচিত্র Kenya এবং Oman অবস্থান নির্দেশ করছে

কেনিয়া

ওমান

ইতিহাস সম্পাদনা

১৭ শতক থেকেই এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বিদ্যমান। ১৭ শতকে, ওমানের সুলতান, কেনিয়ার মোম্বাসা এবং উপকূলবর্তী শহর দখল করে নেয়। তবে কেনিয়ার এসকল অঞ্চল শুধুমাত্র ওমানের দখলেই ছিল না। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় কেনিয়ার এই অঞ্চলগুলো পর্তুগাল এবং যুক্তরাজ্য এর অধীনে ছিল। তবে ১৭২৮ সাল থেকে মাত্র ১ বছরের জন্য পর্তুগালের অধীনে ছিল অঞ্চলগুলো। তবে এর মাঝে বিভিন্ন সময় এসব অঞ্চলের অধিকার হাতবদল হয়েছে। যেমন ১৬৯৮-১৭২৮ সাল পর্যন্ত এ অঞ্চল ওমানের অধীনে ছিল। আবার পরে ১৭২৯-১৮২৪ পর্যন্ত ওমানের অধীনে ছিল। পরবর্তীতে এটি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল। তবে সব মিলিয়ে কেনিয়ার উপকূলবর্তী এলাকাগুলো ১৮৬ বছর ওমানের অধীনে ছিল।

কেনিয়ার সেই অঞ্চলগুলোতে এখনও ওমানের স্থাপত্য এবং সংস্কৃতির নিদর্শন রয়েছে। মোম্বাসা কেনিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং ওমানী স্থাপত্য এবং সংস্কৃতির এক বৃহৎ নিদর্শন।[১]

১৯৭৬ সালে ওমান ও কেনিয়ার মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে নাইরোবিতে ওমান তাদের দূতাবাস স্থাপন করে। কিন্তু রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে ১৯৮৬ সালে সেই দূতাবাস বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে আবার, ২০১৩ সালে, নাইরোবিতে ওমানের দূতাবাস চালু করা হয়।[২]

২০১১ সালে মাস্কাটে, কেনিয়া তাদের দূতাবাস স্থাপন করেন। কেনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোসেস ওয়েতাঙ্গুলা দূতাবাসের উদ্ভোদন করেন।[২]

উন্নয়ন সমন্বয় সম্পাদনা

উভয় দেশই ভারত মহাসাগর রিম অ্যাসোসিয়েশন এর সদস্য। ক্রীড়া, পর্যটন, ব্যবসা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শ্রম এবং শিক্ষা খাতে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সমন্বয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে পমান এবং কেনিয়া একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষর করেছে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করছে। [১] এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমেই মোম্বাসা এবং মাস্কাট সিস্টার সিটির ভিত্তি তৈরি হবে।[১]

বাণিজ্য সম্পাদনা

কেনিয়া ও ওমানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ২৫.৭ মিলিয়ন (২.৫৭ কোটি) ইউরো এর। এর মধ্যে, ওমানে কেনিয়ার রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ১১.৫ মিলিয়ন (১.১৫ কোটি) ইউরো। অপরদিকে কেনিয়ায় ওমানের রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ১৪.২ মিলিয়ন (১.৪২ কোটি) ইউরো।[২]

ওমানে কেনিয়ার প্রধান রপ্তানি পণ্য হল; অপরিশোধিত তেল, খনিজ লবণ, চা, মাংস, সবজি, কফি, ফল, বাদাম প্রভৃতি।[২] অপরদিকে কেনিয়ায়, ওমানের প্রধান রপ্তানি পণ্য হল, পেট্রোলিয়াম, পাথর, যন্ত্রপাতি, অপরিশোধিত খনিজ, অ্যালুমিনিয়াম, জাহাজ এবং নৌকা প্রভৃতি।[২]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Abhishek G Bhaya, Muscat, Mombasa can be sister cities: Kenyan envoy ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে সংগৃহীত ২০ জানুয়ারি ২০১৫
  2. Kenya-Oman Bilateral Relations ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ মার্চ ২০১৭ তারিখে. সংগৃহীত ২০ জানুয়ারি ২০১৫

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা