ওমান–ইয়েমেন সম্পর্ক

(ওমান-ইয়েমেন সম্পর্ক থেকে পুনর্নির্দেশিত)

ওমান–ইয়েমেন সম্পর্ক ওমান ও ইয়েমেনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ব্যাখ্যা করে থাকে। দুই দেশই একটি সীমান্ত নিয়ে বিরাজ করছে। ওমান ও ইয়েমেন উভয়ই পারস্য সাম্রাজ্যের অংশ ছিল, এবং পরে উমাইয়া এবং আব্বাসীয় খলিফাদের খলিফাতের অন্তর্ভুক্ত ছিল। মাস্কাটে ইয়েমেনের একটি দূতাবাস রয়েছে। সানায় ওমানের একটি দূতাবাস রয়েছে। উভয় দেশই আরব লীগ ও ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার সদস্য। তারা একে অপরের প্রতিবেশী, পশ্চিমে ইয়েমেন এবং পূর্বে ওমানের সাথে।

ওমান – ইয়েমেন সম্পর্ক
মানচিত্র Oman এবং Yemen অবস্থান নির্দেশ করছে

ওমান

ইয়েমেন

ইতিহাস সম্পাদনা

১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে ওমান এবং তার প্রতিবেশী গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র ইয়েমেন (দক্ষিণ ইয়েমেন) এর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ১৯৭৪ সাল থেকে ওমানের মুক্তির জন্য পিপলস ফ্রন্ট নামে পরিচিত গেরিলা সংস্থার সাথে ধোফার প্রদেশে দ্বন্দ্বের পরে এই সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়। যা দক্ষিণ ইয়েমেনি সরকার সমর্থন করেছিল। যদিও ১৯৭৬ সালের মার্চ মাসে সৌদি আরবের দ্বারা যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করা হয়েছিল, তবুও পরিস্থিতি অনেক খারাপ ও উত্তেজনাপূর্ণ ছিল।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ১৯৮৩ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ ইয়েমেন ও ওমানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে পিএফএলও এর হুমকি অনেকাংশে হ্রাস পায়। এবং দক্ষিণ ইয়েমেন ওমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম কমিয়ে দেয়। ১৯৮৭ সালের শেষের দিকে, দক্ষিণ ইয়েমেনের আদেন শহরে ওমান একটি দূতাবাস চালু করে এবং তাদের দেশের প্রথম আবাসিক রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত করে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

উপসাগরীয় যুদ্ধের পর সংযুক্ত ইয়েমেন এবং প্রতিবেশী ওমানের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। ১৯৯০ সালের মে মাসে উত্তর ও দক্ষিণ ইয়েমেন একীভূত হওয়ার পর ১৯৯২ সালের ১ অক্টোবর ওমান নতুন সংযুক্ত ইয়েমেন প্রজাতন্ত্রের সাথে তার সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করে। ওমান ইয়েমেনের তেল বিকাশে অংশ নেবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করে।[১]

২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে, এই দুই দেশ জলদস্যুতা মোকাবেলায় আঞ্চলিক কেন্দ্র গঠনের জন্য আলোচনা শুরু করে। ২০০৯ সালের মে মাসে ওমান দক্ষিণ ইয়েমেনের রাজনীতিবিদ আলী সেলিম আল বিধ এর ওমানি নাগরিকত্ব প্রত্যাহারের মাধ্যমে ইয়েমেনের অখণ্ডতা এবং রাষ্ট্রপতি আলী আবদুল্লাহ সালেহ এর সরকারের প্রতি সমর্থনের ইঙ্গিত দেয়। আলী আবদুল্লাহ সালেহ দক্ষিণ ইয়েমেনে বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব পোষণ করছিলেন বলে মনে করা হয়।[২]

২০১১ সালের জানুয়ারিতে মিশর এর শার্ম আল-শেখ শহরে অনুষ্ঠিত আরব অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিকাশের দ্বিতীয় আরব সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে ইয়েমানী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবু বকর আল কির্বি এবং ওমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ইউসুফ বিন আবদুল্লাহ ইয়েমেন ও ওমানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং তাদের পরস্পরকে সাহায্য করার বিভন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।[৩]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Philip Bowring (মে ১৪, ১৯৯৩)। "Oman and Yemen: Good News From the Arabian Peninsula"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-২৩ 
  2. Oman: Reform, Security, and U.S. Policy. Kenneth Katzman, U.S Congressional Service.
  3. "26 September News- Yemen, Oman discuss bilateral relations"26sep.net। ২০১১-০১-১৮। ২০১৬-১০-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-২৩